পবিত্র রমজান মাসে পবিত্র আল আকসা মসজিদে দ্বিতীয়বারের মতো হামলা চালানোর মাধ্যমে ইসরায়েল প্রমাণ করেছে ইহুদিবাদ ক্রমান্বয়ে নাৎসিবাদের রূপ ধারণ করতে যাচ্ছে। ইসরায়েল দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ মুসলমানদের ধর্মীয় সংবেদনশীলতার অংশ। পবিত্র কাবা এবং মদিনার মসজিদের পর এটি তৃতীয় কাবা এবং মদিনার মসজিদের পর এটি তৃতীয় পবিত্র মসজিদ। মুসলমানরা প্রথমদিকে জেরুজালেমের এই পবিত্র মসজিদের দিকে ফিরে নামাজ পড়তেন। সেদিক থেকেও আল আকসা বিশেষ মর্যাদার অধিকারী। প্রতি বছরই রমজানে আল আকসায় নামাজ আদায়ে মুসল্লিদের ঢল নামে। মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিতে পবিত্র রমজান মাসে টানা দ্বিতীয় রাতের মতো আল আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। অভিযানকালে তারা ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের লক্ষ্য করে শব্দবোমা ও রাবার বুলেট ছোড়ে। অভিযানকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। ইসরায়েলি পুলিশের এ অভিযানে ছয় ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। পূর্ব জেরুজালেমের ইসরায়েল অধিকৃত ওল্ড সিটিতে পবিত্র এ মসজিদে আগের রাতেও অভিযান চালিয়েছিল ইসরায়েলের পুলিশ। এতে ১২ ফিলিস্তিনি আহত হন। মসজিদ থেকে প্রায় ৪০০ ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করা হয়। ৬ এপ্রিল ভোরে ফজরের নামাজের জন্য ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা মসজিদে প্রবেশ করতে চাইলে ইসরায়েলি পুলিশ বাধা দেয়। বাধার মুখে শত শত ফিলিস্তিনি মসজিদের আশপাশে ফজরের নামাজ আদায় করেন। আল আকসার সহিংসতার ঘটনা আলোচনার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীনের অনুরোধে রুদ্ধদ্বার এ বৈঠক ডাকা হয়েছে। পবিত্র আল আকসা মসজিদ চত্বরে মুসল্লিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ। আল আকসা মসজিদে ইসরায়েলি পুলিশের হামলা মধ্যপ্রাচ্য শুধু নয়, বিশ্বশান্তির জন্যও এক অশনিসংকেত। ইসরায়েলি শাসক এবং তাদের মুরুব্বিদের মদদে ইহুদিবাদ যেভাবে নব্য নাৎসিবাদের রূপ ধারণ করছে তার পরিণাম ভালো হতে পারে না। জাতিসংঘসহ বিশ্ব সমাজকে এ ব্যাপারে রুখে দাঁড়াতে হবে।