শিরোনাম
শনিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

মোটরসাইকেল ভোগান্তি

ট্রাফিক আইন ভঙ্গ রুখতে হবে

মোটরসাইকেল চালকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে রাজধানীর পরিবহন ব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিশাল দেশের চেয়েও ঢাকার রাজপথে চলাচলকারী মোটরসাইকেলের সংখ্যা বেশি। যানজট এড়িয়ে চলাচলের জন্য মোটরসাইকেল এক সময় আশীর্বাদ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু রাজধানীর লাখ লাখ মোটরসাইকেল এখন ভোগান্তির প্রতিবিম্ব হয়ে উঠেছে। প্রধান সড়ক ও গলিপথে এর চালকদের যথেচ্ছতা যানজটের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। রাইড শেয়ারিং করে যারা রাজধানীতে জীবিকা নির্বাহ করছেন তাদের বেপরোয়া আচরণ প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটাচ্ছে। শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে মোটরসাইকেলের দাপট বাড়ছে বেপরোয়াভাবে। গত বছর সারা দেশে সব ধরনের যানবাহন নিবন্ধন হয়েছে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ১৫১টি। এর মধ্যে শুধু মোটরসাইকেল নিবন্ধন হয়েছে ৫ লাখ ৬ হাজার ৯১২টি, যা এযাবৎকালের রেকর্ড। আর শুধু ঢাকায় মোটরসাইকেল নিবন্ধন হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮৪৮টি। এর আগে ঢাকায় সর্বোচ্চ মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয়েছিল ২০১৮ সালে ১ লাখ ৪ হাজার ৫১টি। আর কোনো বছর মোটরসাইকেল নিবন্ধন লাখ ছাড়ায়নি। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ঢাকায় ২০ হাজার ৭৭১টি ও সারা দেশে ৮২ হাজার ৩২৬টি মোটরসাইকেল নিবন্ধিত হয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত মোটরসাইকেল ও বাইকারদের নিয়ম না মানার প্রবণতা সড়কে ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। পরিসংখ্যান বলছে, দেশের সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর জন্য দায়ী মোটরসাইকেল। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্যানুযায়ী, দেশে ২০২১ সালে ২ হাজার ৭৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ২ হাজার ২১৪ জন, যা সড়ক দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যুর ৩৫ শতাংশ। গত মার্চে ৪৮৬টি দুর্ঘটনায় ৫৬৪ জন নিহত হয়েছেন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহতের পরিমাণ ৩৪.৩৯ শতাংশ। সড়ক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় মোটরসাইকেলের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া জরুরি হয়ে উঠেছে। বিশেষত রাজধানীতে ট্রাফিক আইন ভঙ্গের যে প্রতিযোগিতা চলছে তা শক্ত হাতে রুখতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর