সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

ট্রেনের টিকিট

অনলাইনেও ভোগান্তি

প্রতি বছর ঈদের অগ্রিম টিকিটের জন্য ভোগান্তির দেখা মেলে। পরের দিন সকালে কাউন্টার খুললেই যাতে ট্রেনের টিকিট নামের সোনার হরিণের দেখা পাওয়া যায় তা নিশ্চিত হতে অনেকে ইফতারির পর কমলাপুর রেলস্টেশনে লাইন দেওয়া শুরু করতেন। সাহরিও সম্পন্ন করতেন রেলস্টেশনের লাইনে। এ বছর অনলাইনে টিকিট দেওয়া শুরু হওয়ায় সে ভোগান্তি যে নেই- তা শতভাগ সত্যি। তবে ভোগান্তি চেহারা পাল্টিয়ে টিকিটপ্রত্যাশীদের ঘাড়ে চেপেছে অন্যভাবে। ট্রেনে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রির দ্বিতীয় দিনে শনিবার সার্ভার জটিলতায় ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে টিকিট বিক্রি শুরু হলেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও অনেকে বাংলাদেশ রেলওয়ের ওয়েবসাইটে ঢুকতে পারেননি। আবার কেউ লগইন করতে পারলেও টিকিট সিলেক্ট করার পর পেমেন্ট অপশনে যেতে পারেননি। সব মিলিয়ে রেলের টিকিট ব্যবস্থাপনায় ভোগান্তি লক্ষ্য করা গেছে। এসব তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ভুক্তভোগীরা। এবারের ঈদুল ফিতরের ঈদযাত্রার শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে। সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি রয়েছে রেলের অনলাইন টিকিট ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে। তাদের দাবি, টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়ায় তেমন কোনো সমস্যা হয়নি। তবে সকাল থেকে বেশ কিছু স্বয়ংক্রিয় আইপি থেকে সার্ভারে ঢোকার চেষ্টা করায় সাধারণ টিকিটপ্রত্যাশীদের সামান্য সমস্যা হয়েছে। ঈদে ঢাকা থেকে বহির্গামী ট্রেনের মোট ২৫ হাজার ৭৭৮ আসনের সব টিকিটই অনলাইনে বিক্রি করা হচ্ছে। ঈদে বাড়িফেরা মানুষের সুবিধার্থে বিভিন্ন রুটে ৯ জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনা করা হবে। অনলাইনে ট্রেনের টিকিট পেতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে মানুষ। এ পর্যন্ত ১৫ লাখ যাত্রী জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন। নিবন্ধনদের বাইরে কারোর কাছে ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হবে না। জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট বিক্রির প্রক্রিয়া টিকিট কালোবাজারিতে বাদ সাধবে। তবে এ পদ্ধতি কতটা সুফল দেবে তা নির্ভর করছে সবকিছু স্বচ্ছভাবে সম্পন্ন হবে কি হবে না তার ওপর। বিনা টিকিটে কেউ যাতে ট্রেনে উঠতে না পারে সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর