বৃহস্পতিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

পানি সংকট

সমাধানের উদ্যোগ নিন

দেশ এখন শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ দাবদাহ মোকাবিলা করছে। অসহনীয় গরমে বেড়েছে পানির তেষ্টা। বেড়েছে শরীর ঠান্ডা রাখতে পানির ব্যবহার। অথচ এ সময়ে রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় চলছে পানির সংকট। সবচেয়ে কষ্ট পাচ্ছেন রোজাদাররা। রাজধানীর আদাবর, শেখেরটেক, মেহেদীবাগ, মনসুরাবাদ, মিরপুর কাজীপাড়া, মোহাম্মদিয়া হাউজিংয়ে পানির সংকট চলছে গ্রীষ্মের দুঃসময়ে। বনশ্রী ডি ব্লকের রেডিয়েন্ট কৃষ্ণচূড়া থেকে আশপাশ এলাকায় তিন দিন ধরে পানি সরবরাহ নেই। এ এলাকায় রয়েছে প্রায় ২ হাজার পরিবার। কয়েক দিন ধরে খাওয়া-দাওয়া এবং গোসলের পানি মিলছে না। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওয়াসার কাছে বারবার অভিযোগ করলেও কেউ সাড়া দিচ্ছে না। শেখেরটেকে রাতে কিছু সময়ের জন্য পানি থাকলেও দিনের বেলায় থাকে না। রাজধানীর আহমেদাবাগ এলাকার দ্বিতীয় লেনেও শুধু রাতে কিছু সময়ের জন্য পানি আসে। লোডশেডিংয়ের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পানির সরবরাহ বিঘিœত হচ্ছে। ওয়াসার পানির পাইপ বসানোর কাজ চলমান থাকায় কোথাও কোথাও পানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। বাধ্য হয়ে অনেকে ওয়াসার গাড়ি থেকে পানি কিনছেন। সেখানেও ৪০০ টাকার বদলে ৬০০-৮০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। ঢাকা ওয়াসার দৈনিক পানি উৎপাদন ক্ষমতা ২৬০ কোটি লিটার। চাহিদা থাকে ২১০ থেকে ২৪৫ কোটি লিটার পর্যন্ত। তবে গ্রীষ্মের দাবদাহে এ বছর পানির চাহিদা বেড়েছে ব্যাপকভাবে। বাড়তি চাহিদা মোকাবিলায় ওয়াসাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রাজধানীর কিছু এলাকায় পানি সংকটের পেছনে ওয়াসার পাইপলাইনের উন্নয়ন কাজকে কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। স্বীকার করতেই হবে রাজধানীর জনসংখ্যা স্পুটনিক গতিতে বাড়লেও নাগরিকদের পানি প্রাপ্তির পরিমাণ আগের তুলনায় বেড়েছে। ঢাকা ওয়াসা এ জন্য অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। আমরা আশা করব রাজধানীর যেসব এলাকায় পানি সংকট বিরাজ করছে সেসব এলাকায় পানি সরবরাহ স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। পানির আরেক নাম জীবন। গ্রীষ্মে পানি সংকট  কোনোভাবেই কাম্য হওয়া উচিত নয়।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর