শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

যদ্যপি আমাদের গুরু

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. বায়েজিদ সরোয়ার, এনডিসি (অব.)

যদ্যপি আমাদের গুরু

একদিকে বসন্তের বাতাস। অন্যদিকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জ্ঞানচর্চা ও পান্ডিত্যের ‘লিজেন্ড’ এবং সামরিক সার্কেলে ‘গুরু’ হিসেবে সুপরিচিত মেজর ফরিদ আহমেদ ভুঞার চিরবিদায়ের বিহবল বিউগল। এবার বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি বসন্ত নেমেছে ঢাকা সেনানিবাসের কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব এলাকায়।  এটি যেন ঢাকায় একখন্ড নয়নাভিরাম সুইজারল্যান্ড। ... ঢেউ খেলানো সবুজাভ প্রান্তর। কোথাও স্নিগ্ধ সরোবরে মায়াবি পাখিদের ওড়াউড়ি। কোকিলের ডাকা। কোনো খানে বৃক্ষলতায় লাল-বেগুনি রঙের ফুলের অনুপম উচ্ছ্বাস।

গলফ কোর্সের ঠিক দক্ষিণের দেয়াল ঘেঁষা (বনানী ডিওএইচএস) সাদা রঙের ‘শালমলি’ নামাঙ্কিত বাড়িটিতে থাকতেন মেজর ফরিদ। তার ছয়তলার ফ্ল্যাটটি থেকে গলফ কোর্সের অসাধারণ দৃশ্যে চোখ জুড়িয়ে যায়। এটি জ্ঞানচর্চা, লেখালেখি ও আড্ডার অসাধারণ একটি স্থান বটে। পুরো ফ্ল্যাটটিই নানারকম বইপুস্তকে ঠাসা। তবে ফরিদ আহমেদের জীবনসঙ্গী বা বন্ধুরূপে কোনো প্রিয়দর্শিনীর কলহাস্য এখানে কোনো দিন শোনা যায়নি।

এমন দারুণ বসন্তেই গত ৫ মার্চ, ২০২৩ তারিখে এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন অসাধারণ পন্ডিত, আলোকিত মানুষ ও সেনাবাহিনীর ‘জীবন্ত জ্ঞান কোষ’ মেজর ফরিদ। তাঁর জীবন উৎসর্গিত ছিল জ্ঞানচর্চা ও মানুষকে ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য করায়। ফরিদ আহমেদের লেখালেখি কম, কিন্তু আড্ডা, আলাপচারিতা ও ব্যক্তিগত মিথস্ত্রিয়ার মাধ্যমে সেনাবাহিনীর অন্তত দুই প্রজন্মের সেনা কর্মকর্তা ও অসামরিক পরিমন্ডলের বিদ্যোৎসাহীদের জ্ঞানচর্চায় অনুপ্রাণিত, উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত করেছেন। অসাধারণ মানবিক গুণসম্পন্ন মেজর ফরিদ নিজেই ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। মেজর ফরিদের বয়স হয়েছিল প্রায় ৬৮ বছর। ‘শালমলি’ বাড়িটির চারপাশে এখন শুধুই পাতাঝরার ক্রন্দন।

বিএসএস-১২৯২ মেজর ফরিদ আহমেদ ভুঞা ১৯৫৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর নেত্রকোনার বারহাট্টায় এক বিদ্যানুরাগী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তরুণ ফরিদ, জুন ১৯৭৫ এ কুমিল্লাস্থ বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন এবং ৬ ডিসেম্বর ১৯৭৫ এ দ্বিতীয় শর্ট সার্ভিস কমিশন (এসএসসি-২) এর সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি সেকেন্ড লে. হিসেবে ২৩ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে যোগদান করেন।

তরুণ অফিসার হিসেবে ফরিদ আহমেদ ২৩ ও ৩১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অত্যন্ত নিবেদিতপ্রাণ রেজিমেন্টাল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি রংপুর স্টেশন সদর দফতরে স্টাফ অফিসার হিসেবে নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ থেকে ২০০৩ সালে অবসর গ্রহণের আগ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় তিনি গোয়েন্দা সংস্থায় দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০১-২০০২ এ ইরাক-কুয়েত অঞ্চলে বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন ৮ (২১ ইস্টবেঙ্গল) এর সঙ্গে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী (ইউনিকম-মিশন) হিসেবে কাজ করেছিলেন। চাকরির একপর্যায়ে শারীরিক ফিটনেসগত সমস্যার কারণে তিনি নিম্ন মেডিকেল ক্যাটাগরিভুক্ত হয়ে পড়েন। এর ফলে পরবর্তী পদোন্নতি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল। কিন্তু এসব নিয়ে তার কোনো খেদ, আক্ষেপ ছিল না। চিরকুমার মেজর ফরিদের পৃথিবীতে কোনো চাহিদা ছিল না। একমাত্র চাহিদা ছিল জ্ঞানার্জন ও মানুষের উপকার করা।

অনেকের কাছে তিনি ছিলেন একজন ‘ফ্রেন্ড, ফিলোসফার অ্যান্ড গাইড’। রীতিমতো স্পিরিচুয়াল গাইডও ছিলেন কারও কারও কাছে। সেনাবাহিনীতে জ্যেষ্ঠ-কনিষ্ঠ সবার প্রিয়ভাজন ছিলেন। মেজর ফরিদের সবচেয়ে বিস্ময়কর বিষয় ছিল, বিচিত্র বিষয়ের ওপর পড়াশোনা ও অগাধ জ্ঞান। তাঁর আগ্রহ ছিল বহুমুখী ও দিগন্তপ্রসারী : সামরিক কৌশল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, শাস্ত্রীয় সংগীত, দর্শন, চিত্রকলা, মিথোলজি, সুফিবাদ, আর্ট ফিল্ম, পোস্ট মর্ডানিজম, সাহিত্য, ধর্মবিদ্যা...। তার বই পড়া ও খাদ্যপ্রিয়তার বহু গল্প ও মিথ আছে। তিনি লিখেছেন কম কিন্তু অন্যদের উসকে দিয়েছেন জ্ঞানের বিদ্যুৎস্পর্শে। লাল রঙের ঐতিহ্যবাহী আর্মি হেডকোয়ার্টার্স অফিসার মেসে তাঁর বিখ্যাত ৬ নং রুমে হাস্যমুখর সান্ধ্যকালীন আড্ডা ছিল অসম্ভব আনন্দঘন। এই চলন্ত বিশ্বকোষ, কখনো কখনো ইতিহাসের ঘটনা বর্ণনাকালে কণ্ঠের তারতম্য ঘটিয়ে নাটকীয়ভাবে কথা বলতেন। যা ছিল খুবই মজার। কখনো জেনারেল এম এ জি ওসমানীসহ মুক্তিযুদ্ধের সেনানায়কদের বীরত্বগাথার গল্প, কখনো এক্সারসাইজ আয়রন শিল্ড অথবা ময়মনসিংহ সীমান্ত এলাকায় দায়িত্ব পালনকালীন উত্তেজনাময় দিনগুলোর কথা, সেখান থেকে আবার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘প্রথম আলোয়’ বর্ণিত গঙ্গার তীরে মোরান সাহেবের বাড়িতে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তার প্রিয় বৌঠান কাদম্বরী দেবীর আলাপচারিতা। হয়তো সেখান থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান হেডকোয়ার্টারে ফিল্ড মার্শাল রোমেলের সঙ্গে দুর্ধর্ষ হিটলারের কথোপকথন। তার জ্ঞানগর্ভ দীর্ঘ আলোচনায়ও কখনোই বিরক্তিকর মনে হতো না। কারণ মেজর ফরিদের রসবোধ ছিল অসাধারণ।

মুক্তিযুদ্ধের কথা যখন বলতেন, মনে হতো প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী আর ভারতের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল স্যাম মানেকশর আলাপকালে মেজর ফরিদও উপস্থিত ছিলেন। কখনো বলতেন আমাদের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাধারণ সাহসিকতাপূর্ণ নেতৃত্বের কথা। প্রাচীনকালের চীনা জেনারেল সান জুর গল্প বলার সময়ে মনে হতো আড্ডায় উপস্থিত আমরাও চীনা রাজপ্রাসাদে দিব্যি বেড়াচ্ছি। কখনো খ্যাপাটে চিত্রশিল্পী ভ্যান গঘের ‘সানফ্লাওয়ার’ ও বান্ধবীদের গল্প বলতে বিখ্যাত ‘মাস্টারদের’ আর্ট গ্যালারি ঘুরিয়ে আনতেন। কখনো মেহেদী হাসানের গজল, কোনো একদিন হয়তো আবার জোহান স্ট্রসের ‘দি ব্লু দানিয়ুব’ এর গল্প। কখনো জ্যাক দারিদা-মিশেল ফুকো-নোয়াম চমস্কির কঠিন দর্শনের আলোচনা। তার সঙ্গে গল্প করা মানেই বিশ্ব মনোভ্রমণ...। আড্ডার অপরিহার্য অনুষঙ্গ হলো চা, কফি, জিলাপি, মুড়ি ও বিরানিসহ অন্যান্য খাদ্যের প্রায় বিরতিহীন সরবরাহ। আড্ডার বিষয়ে কবি বুদ্ধদেব বসু একদা লিখেছেন- “আড্ডা দিতে গিয়ে প্রায়ই আমরা পড়া-বিদ্যার আসর জমাই আর নয়তো পরচর্চার চ-ীমন্ডপ গড়ে তুলি।” তবে মেজর ফরিদের আড্ডায় এর কোনোটিই হতো না। এই চিরকুমারের আড্ডা স্বভাবতই ছিল নারীবিবর্জিত। সুরাও নিষিদ্ধ। তবুও কত প্রাণময়, বিনোদনমুখর ও জ্ঞান-অন্বেষী। তবে ছিল প্রচ- খাদ্য-সম্ভারময়। অসামরিক পরিমন্ডলের অধ্যাপক, লেখক, কবি, সাংবাদিক, যারা মেজর ফরিদের সান্নিধ্যে এসেছেন, তারাও মুগ্ধ হয়েছেন তাঁর অসাধারণ পান্ডিত্য ও ব্যক্তিত্বে। ফরিদ আহমেদকে অনেক সময় প্রাচীনকালের দার্শনিকদের মতো মনে হতো। যারা আলাপচারিতার মাধ্যমে জ্ঞান বিতরণ করতেন।

তার কথাবার্তা, চিন্তাভাবনা ও কথোপকথনে আশ্চর্যরকম পরিমিতি বোধ ও ব্যালান্স ছিল। তিনি প্রশ্ন করতে শেখাতেন। কিন্তু সব সময় মনে রাখতেন, এটা সেনাবাহিনী। কখনো হয়তো ‘একাডেমিক ডিসকাশন’ হিসেবে সমাজ, রাষ্ট্র, সেনাবাহিনীর অসংগতি, ভুলত্রুটি, সমস্যা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা করতেন। কিন্তু সে আলোচনায় কখনো উগ্রপন্থা, চরমপন্থা, বিশৃঙ্খলা বা অপেশাদার মনোভাব উসকে দিতেন না। ধর্মপ্রাণ, উদার ও অত্যন্ত আধুনিক চিন্তার মানুষটি কখনো কোনো দলীয় বৃত্তে, সংঘে বা সংগঠনে নিজেকে আত্মসমর্পণ করেননি। মেজর ফরিদ যে কোনো বিষয় আশ্চর্য রকম নির্মোহ ও বস্তুনিষ্ঠভাবে মূল্যায়ন বা বিচার করতে পারতেন।

চির-জ্ঞানপিপাসু মেজর ফরিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে মাস্টার্স করেন ও একই বিভাগ থেকে এম.ফিল ডিগ্রি অর্জন করেন। বিচিত্র বিষয়ে জ্ঞান-অন্বেষী ফরিদ আহমেদ “নন ওয়েস্টার্ন স্ট্রাটেজিক থিংকিং অ্যান্ড ফিলোসপি” বা ‘অপশ্চিমা কৌশলগত চিন্তাভাবনা ও দর্শন’ এর ওপর পড়াশোনা ও গবেষণায় বিশেষ আগ্রহী ছিলেন। প্রাচীন চীনের বিখ্যাত সেনাপতি, সমর কৌশলবিদ, দার্শনিক সান জুর সমর কৌশল, চিন্তাভাবনা ও দর্শনের ওপর তিনি এম.ফিল করেন। এই অসাধারণ গবেষণা কর্মটি পরে “টেকনোলজি, মোরালিটি অ্যান্ড ওয়ার : সান জু অ্যান্ড মর্ডান স্ট্রাটেজিক থিংকিং” শিরোনামে ই-বুক আকারে প্রকাশিত হয়। এটি ইউপিএল ২০১৭ সালে প্রকাশ করে। এম.ফিলে মেজর ফরিদের সুপারভাইজার ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। যতদূর জানা যায়, সান জুর ওপর বাংলাদেশে এটাই ছিল প্রথম একাডেমিক গবেষণাকর্ম। মেজর ফরিদ পিএইচ.ডি করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। চীনের সমর কৌশলবিদ ও দার্শনিক সান জু (আর্ট অব ওয়ার) ও প্রাচীন ভারতের দার্শনিক, কূটকৌশলী রাজনৈতিক গুরু কৌটিল্য বা চাণক্য (অর্থশাস্ত্র) এর চিন্তাভাবনা, দর্শনের সঙ্গে জার্মানির সামরিক তাত্ত্বিক মেজর জেনারেল কার্ল ভন ক্লসউইজট (অন ওয়ার) এর তুলনামূলক আলোচনা ছিল তার পিএইচ.ডির বিষয়। তবে দুঃখজনকভাবে বিভিন্ন কারণে তিনি পিএইচ.ডি সম্পন্ন করতে পারেনি।

প্রতিভাবান মেজর ফরিদের লেখালেখি বা পাবলিকেশনের সংখ্যা বেশ কম। অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ও ফরিদ আহমেদ ভূঞা যুগ্মভাবে লিখেছেন, “স্পল আর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভ ইন বাংলাদেশ, দি প্লাইট অব দি ভিকটিম”। এটি মনোগ্রাফ হিসেবে সেন্টার ফর অলটারনেটিভ থেকে ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়। প্রায় একই সময়ে ড. ইমতিয়াজ আহমেদ ও মেজর ফরিদ আহমেদ ভুঞা যুগ্মভাবে আরও লিখেছেন, “উইপনস টেকনোলজি অ্যান্ড রিকনসেপচুয়েলাইজেশন অব টেররিজম”। এটি ড. ইমতিয়াজ আহমেদ সম্পাদিত- “আন্ডারস্ট্যান্ডিং টেররিজম ইন সাউথ এশিয়া : বিয়ন্ড স্টেটিস্ট ডিসকোর্সেস” বই এ অন্তর্ভুক্ত হয়। (রিজিওনাল সেন্টার ফর স্ট্রাটেজিক স্টাডিস’, কলম্বোর পক্ষ থেকে মনোহার পাবলিশার্স, নিউ দিল্লি থেকে ২০০৬ সালে প্রকাশিত হয়)। এ ছাড়াও সেনানী, সেনাবার্তাসহ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ম্যাগাজিনেও তিনি বেশ কিছু প্রবন্ধ লিখেছিলেন। শেষের দিকে তিনি কবিতাও লিখতেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা বিষয়ে তার বেশ কিছু প্রবন্ধ রয়েছে, যা কখনো আলোর মুখ দেখেনি।

তিনি পঠন-পাঠনে আজীবন নিবেদিত ছিলেন। জীবনের একমাত্র প্যাশন ছিল তার বই পড়া। গত আশি-নব্বইর দশকে ইন্টারনেট এবং লাইব্রেরি সুবিধা এত প্রসারিত ছিল না। সে সময় দেশি-বিদেশি কোর্সে ‘পেপার’ লেখা, উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে সহায়তা ও স্টাডি পিরিয়ডসহ বিভিন্ন ধরনের লেখালেখির জন্য অনেক সেনা কর্মকর্তা মেজর ফরিদের শরণাপন্ন হতেন। তিনি ছিলেন রীতিমতো সার্চইঞ্জিন। অসাধারণ জ্ঞানী মানুষটি ছিলেন অত্যন্ত নিরহংকার।  সদাহাস্য মেজর ফরিদ ছিলেন সর্বজনগ্রহণীয় একজন ব্যক্তিত্ব। তিনি চিরকুমার থেকেও ছিলেন একজন ‘ফ্যামেলি ম্যান’। তার সারা জীবনের প্রিয় বাহন ছিল একটি পুরাতন মোটরসাইকেল।

প্রিয় ফরিদ স্যার ওপারে ভালো থাকুন, শান্তিতে থাকুন। স্যার স্যালুট টু ইউ।  আপনাকে অভিবাদন। পরম করুণাময় আল্লাহ আপনাকে বেহেশত নসিব করুন।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, গবেষক

[email protected]

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর