শনিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

পানির স্তর নামছে

সচেতন হতে হবে এখনই

রাজশাহীতে পানির অভাবে হাহাকার অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। উজানে পানি প্রত্যাহারে রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকায় পানির সংকটে চাষাবাদ বিঘিœত হচ্ছে। খাবার পানির জন্য মানুষ ছোটাছুটি করছে এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে। কয়েক বছর ধরে রাজশাহীতে পানির সংকট বেড়েই চলছে। এ অঞ্চলের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট জটিল আকার ধারণ করছে। এতে দৈনন্দিন ব্যবহার্য পানিসহ সেচের পানি নিয়ে ভাবনার মাত্রা আরও বাড়ছে। রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অধিকাংশ টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। বিশুদ্ধ খাবার পানি নিয়ে মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। রাজশাহীর তানোর উপজেলার মু-ুমালা পৌরসভার মাহালিপাড়া গ্রামে পৌরসভা ও স্থানীয় প্রশাসন ৭০০ ফুট পর্যন্ত বোরিং করেও পানির স্তর পায়নি। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন তারাও। এলাকার অধিকাংশ নলকূপে পানি উঠছে না। তানোরসহ সংলগ্ন এলাকায় আগে থেকেই শুষ্ক মৌসুমে পানি সংকট দেখা দিত। এবার সে সংকট তীব্র হয়েছে। চারঘাট উপজেলায়ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পৌরসভার সরবরাহ লাইনের পানি দিয়ে নাগরিকদের প্রয়োজন মিটছে না। ফলে অনেকে পানির অভাব পূরণে বিকল্প পথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছে। বাংলাদেশকে বলা হয় নদ-নদীর দেশ। কিন্তু উজানে পানি প্রত্যাহার, নদ-নদী ভরাট ও অপদখল, অকল্পিতভাবে বাঁধ নির্মাণ ইত্যাদি কারণে পানি সংকট অনিবার্য হয়ে উঠছে। গত অর্ধ শতাব্দীতে দেশ থেকে শতাধিক নদী অস্তিত্ব হারিয়েছে। নদ-নদী খনন না করায় শুষ্ক মৌসুমে বেশির ভাগ নদী পানিশূন্য হয়ে পড়ছে। ধানসহ ফসল উৎপাদনে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যাপক ব্যবহারে পানির স্তর ক্রমেই নিচে নেমে যাচ্ছে। যা অব্যাহত থাকলে রাজশাহীসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে মরুকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যেতে পারে। এ বিপদ এড়াতে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে আনতে হবে। নদ-নদী জলাশয়ে পানি সংরক্ষণে নিতে হবে কার্যকর ব্যবস্থা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর