বৃহস্পতিবার, ৪ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

সড়ক দুর্ঘটনা

মেনে চলতে হবে ট্রাফিক আইন

ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১৪ দিনে সারা দেশে ২৪০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮৫ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। তবে যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্যানুযায়ী, এ বছর ঈদযাত্রার ১৫ দিনে দেশের সড়ক-মহাসড়কে ৩০৪টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩২৮ জনের মৃত্যু এবং ৫৬৫ জন আহত হয়েছেন। সড়কের সঙ্গে রেল ও নৌপথ মিলিয়ে দুর্ঘটনার সংখ্যা ৩৪১টি। যাতে ৩৫৫ জনের মৃত্যু ও ৬২০ জন আহত হয়েছেন। ঈদযাত্রায় সড়কে ভোগান্তি কমার পাশাপাশি গত বছরের তুলনায় দুর্ঘটনা ১৮ দশমিক ২ শতাংশ, প্রাণহানি ২১ দশমিক ১ শতাংশ এবং আহত ৩৩ শতাংশ কমেছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের হিসাবে, ঈদের আগে-পরে ১৪ দিনে অর্থাৎ ১৬-২৯ এপ্রিল পাঁচটি নৌ-দুর্ঘটনায় আটজনের মৃত্যু ও দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। ১১টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু এবং আহত হয়েছেন ৬১ জন। মারা যাওয়াদের মধ্যে বাসযাত্রী ৯; ট্রাক-পিকআপ-ট্রলি আরোহী ১৫; প্রাইভেট কার আরোহী ২; থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজি-অটোরিকশা-অটোভ্যান-লেগুনা) ৫১; স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী ১০ এবং প্যাডেল রিকশা-রিকশাভ্যান-বাইসাইকেল আরোহী ১৩ জন। গত বছর ঈদুল ফিতর উদযাপনের সময় ১২৮টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এবার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ১৩৩ জনের। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলছে, এবারের ঈদুল ফিতরে রাজধানী ঢাকা থেকে কমবেশি ১ কোটি মানুষ ঘরমুখী যাত্রা করেছে এবং দেশের অভ্যন্তরে প্রায় ৪ কোটি মানুষ যাতায়াত করেছে। ঈদের আগে-পরে যথেষ্ট ছুটি থাকা, পদ্মা সেতু চালু হওয়া, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক কয়েকটি ওভারপাসসহ ফোর লেন হওয়ায় এ বছর ঈদযাত্রা ছিল তুলনামূলকভাবে স্বস্তিদায়ক। গত বছরের তুলনায় ঈদের আগে-পরে দুর্ঘটনা কম হলেও ৩ শতাধিক মানুষের প্রাণহানিকে কোনো অবস্থায় খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। সড়ক-মহাসড়কে চলাচলকারী যানবাহন চালকরা সচেতন হলে এবং ট্রাফিক আইন মেনে চললে বেশির ভাগ দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলা সম্ভব হতো।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর