বুধবার, ১০ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন

মতলববাজদের রুখতে হবে

নষ্ট রাজনীতির শিকারে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা। মতলববাজ কিছু রোহিঙ্গা নেতার কারণে আশ্রিত এই জনগোষ্ঠী সম্পর্কে বাংলাদেশের মানুষের মনেও ভুল ধারণা সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশে এ মুহূর্তে রয়েছে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা। ক্ষুদ্র আয়তনের একটি দেশে বিপুল উদ্বাস্তুর আশ্রয় গ্রহণ দেশের জন্য ভয়াবহ বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কক্সবাজারের পরিবেশের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা। সন্দেহ নেই রোহিঙ্গারা মনেপ্রাণে চায় স্বদেশে ফিরে যেতে। বাংলাদেশও চায় নিজের ঘাড়ে চেপে বসা মামদো ভূত থেকে রেহাই পেতে। চীনের মধ্যস্থতায় প্রত্যাবাসনের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা কাজে লাগাতে চায় রোহিঙ্গাদের বড় একটি অংশ। শুধু রোহিঙ্গাদের বিশেষ একটি গোষ্ঠী যারা বিভিন্ন অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে ও ক্যাম্পে সুযোগ-সুবিধার অপব্যবহারকারীরাই ফিরতে চায় না। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আন্তর্জাতিক সংস্থার মদদপুষ্ট রোহিঙ্গাদের একটি অংশ। দোটানায় পড়ে উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোয় প্রত্যাবাসন ইস্যুতে পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন রোহিঙ্গারা। ৫ মে ২০ সদস্যের রোহিঙ্গা প্রতিনিধি দল মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুতকৃত অবকাঠামো পরিদর্শন শেষে ফিরে সাংবাদিকদের প্রত্যাবাসন বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। তবে তাদের সেই মনোভাবের প্রতি সমর্থন দিতে নারাজ ক্যাম্পের অন্য বাসিন্দারা। রোহিঙ্গাদের সচেতন একটি অংশ বাংলাদেশে আশ্রিত হিসেবে থাকতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে। তারা মিয়ানমারে ফেরার ব্যাপারে ক্যাম্পেইন করে ক্যাম্পের অন্য রোহিঙ্গাদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের অভিমত, নাগরিকত্বসহ মিয়ানমার সরকারের কাছে রোহিঙ্গাদের যেসব ন্যায্য দাবি রয়েছে তা দেশে গিয়েই আদায় করতে হবে।  মিয়ানমার সরকার যেহেতু অভ্যন্তরীণ সংঘাতে বিপর্যস্ত ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপের মুখে রয়েছে সেহেতু রোহিঙ্গারা এ মুহূর্তে দেশে ফেরার সুযোগ পেলে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে। এ জন্য রুখতে হবে মতলববাজদের অপপ্রচার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর