রবিবার, ১৪ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলন

সদস্য দেশগুলোর বন্ধুত্ব দৃঢ় হোক

রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শুক্রবার ষষ্ঠ ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সক্রিয় সমর্থন চেয়েছেন। দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতসহ ২৫টি দেশের উচ্চপর্যায়ের দেড় শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। রোহিঙ্গা সমস্যাকে বৈশ্বিক সমস্যা উল্লেখ করে  প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পক্ষে তাদের বোঝা টানা আর সম্ভব হচ্ছে না। এ সময় বিপুল সম্ভাবনা থাকার পরও ভারত মহাসাগর অঞ্চল অবহেলিত বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশের সরকারপ্রধান। তিনি শান্তি ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় এ অঞ্চলের দেশগুলোকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশগুলো সমুদ্রসম্পদ ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে আরও উপকৃত হবে। প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বর্তমান বিশ্বের ৬০ শতাংশ বাণিজ্য সমুদ্রপথে পরিচালিত হচ্ছে। গত ১৫ বছরে সমুদ্রপথে বাণিজ্য ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রের সম্ভাবনা এখনো অনেকটাই অব্যবহৃত। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কৌশলগত, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। এ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘টেকসই ভবিষ্যতের জন্য শান্তি, অংশীদারি এবং সমৃদ্ধি’ যা অত্যন্ত সময়োপযোগী। ভারত মহাসাগরের ওপর নির্ভরশীল দেশগুলোর সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক এবং তাৎপর্যপূর্ণ। বিশ্ব বাণিজ্যে সমুদ্রপথের গুরুত্ব যেমন বাড়ছে তেমন সমুদ্রসম্পদ বিভিন্ন দেশের সমৃদ্ধির চাবিকাঠিতে পরিণত হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে ভারত মহাসাগরের তীরবর্তী দেশগুলোর সংগঠন ভারত মহাসাগরীয় সম্মেলনের যাত্রা হয় ২০১৬ সালে। গত ছয় বছরে এটি এ অঞ্চলের দেশগুলোর পরামর্শমূলক ফোরাম হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর ২০১৬ সাল থেকে পাঁচটি সম্মেলন হয়েছে। ২০২০ সালে করোনার কারণে সম্মেলন হয়নি। আগের পাঁচটি সম্মেলন হয়েছে যথাক্রমে সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, মালদ্বীপ ও আরব আমিরাতে। ঢাকা সম্মেলন এ অঞ্চলের দেশগুলোর নিরাপত্তা এবং সমুদ্রসম্পদ ব্যবহারের পথ রচনা ও সদস্য দেশগুলোর বন্ধুত্ব জোরদারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখলে তা হবে এক বড় অর্জন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর