রবিবার, ২১ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

পিঁয়াজে ঝাঁজ

সরকারকে তৎপর হতে হবে

নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে বর্তমান সরকার প্রথম ১৩ বছরে যে সাফল্য দেখিয়েছে গত এক বছর তার সবটুকুই গিলে খেয়েছে বিশ্বমন্দা। মন্দার পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে ইন্ধন জুগিয়েছে ভয়াবহ দাবদাহ। যার প্রভাবে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে ব্যাপক হারে। আদা, মরিচ, পিঁয়াজ, রসুনসহ সবকিছুর দাম এখন লাগামছাড়া। এ বছর সন্তোষজনক পিঁয়াজ উৎপাদন সত্ত্বেও ভরা মৌসুমে এ নিত্যপণ্যের কেজি ৮০ টাকায় পৌঁছেছে। দেশের পিঁয়াজ চাষিদের সুরক্ষা দিতে সরকার পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখার যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় তা মুনাফাখোরদের যেভাবে হোক ক্রেতাদের পকেট কাটতে উদ্বুদ্ধ করেছে। দাম না কমালে পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বাণিজ্যমন্ত্রীর এমন উড়ো হুঁশিয়ারিতে কোনো কাজ হচ্ছে না। বাজারে আলুর দাম বেড়ে এখন প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত সপ্তাহেও ছিল ৩৫ টাকা। রোজার ঈদের পরই ধীরে ধীরে আলুর দাম বাড়তে শুরু করে। তখন এ পণ্যটির দাম ছিল প্রতি কেজি ২০-২৫ টাকা। এক মাসের কম সময়ের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ১৫-২০ টাকা। আলুর দাম বাড়ার বিষয়টি উঠে এসেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যেও। সংস্থাটি বলছে, বাজারে এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম ২৯ শতাংশ বেড়েছে। আর বছরের ব্যবধানে দাম বেড়েছে প্রায় ৭৪ শতাংশ। গত বছর এ সময়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ১৮ থেকে ২৫ টাকা, যা এখন ৪০ টাকা। পেঁপের দামও বেড়েছে। সারা বছর পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে কেনা গেলেও এখন ৬০-৭০ টাকার কমে মিলছে না। উত্তাপ ছড়াচ্ছে মাছের বাজারও।

হুট করে সব ধরনের মাছের দাম কেজিপ্রতি ৩০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ৬০০ টাকা কেজির কমে কেনা যাচ্ছে না টেংরা, কই, শিং ও চিংড়ি। চাষের রুই-কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা কেজি। আদার কেজি ২৮০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১৫০ টাকার

নিচে কোনো রসুন নেই, সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি হচ্ছে। নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে চোখে শর্ষে ফুল দেখছে সাধারণ মানুষ। নির্বাচনের বছর সরকার বাজার নিয়ন্ত্রণে কঠোর হবে- এমনটিই দেখতে চান বোদ্ধাজনেরা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর