শুক্রবার, ২৬ মে, ২০২৩ ০০:০০ টা

মানব পাচার

কর্তৃপক্ষের নজরদারি বাড়াতে হবে

টেকনাফে চলছে মানব পাচার চক্রের অবাধ কর্মকান্ড। এ চক্রের সদস্যরা নারী-পুরুষ-শিশুদের পাচার করে ফুলেফেঁপে উঠছে। মালয়েশিয়ায় ভালো চাকরি ও কাজের নামে তারা অভাবী মানুষজনকে প্রভাবিত করছে। টেকনাফ ও উখিয়ার ছয়টি নৌঘাট দিয়ে তারা সাগরপথে মানুষ পাচার করে মালয়েশিয়ায়। পাচারকারীরা এতই প্রভাবশালী যে, তাদের বিরুদ্ধে কেউ টুঁশব্দটি করতেও ভয় পায়। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে মাঝেমধ্যে পাচার সিন্ডিকেটের সদস্যরা ধরা পড়লেও আইনের ফাঁকফোকরে তারা জেল থেকে বেরিয়ে আবারও শুরু করে মানব পাচার। স্থানীয়দের পাশাপাশি মালয়েশিয়ায়ও পাচারভিত্তিক সিন্ডিকেটে যুক্ত হয়েছে রোহিঙ্গারা। পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে দীর্ঘদিন পাচার প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। আবারও পাচারকারী সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায় তাদের খপ্পরে পড়ে অনেক পরিবার নিঃস্ব হচ্ছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজর এড়িয়ে বহু রোহিঙ্গা দালালের মাধ্যমে পাচার হয়ে বর্তমানে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছে। তাদের পরিবারের অনেকেই এখন উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবিরে রয়েছেন মালয়েশিয়ায় যাওয়ার অপেক্ষায়। এখানে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। ওখান থেকে সিগন্যাল এলে তারা এখান থেকে দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাবেন। টেকনাফ ও উখিয়া থেকে মালয়েশিয়ায় পাচারকারীরা নিজেদের বাংলাদেশি বলে পরিচয় দিচ্ছে। অবৈধভাবে তারা সে দেশে ঠাঁই পাওয়ায় বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে তাদের বেআইনি কার্যকলাপ। মানব পাচার এক জঘন্য অপরাধ। টেকনাফ ও উখিয়া থেকে যাদের মালয়েশিয়ায় নেওয়ার নামে পাচার করা হচ্ছে তাদের অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারি বাড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর