পিঁয়াজের ঝাঁজ কমেছে। এ নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেশবাসীকে জিম্মি করছিলেন যে অসৎ ব্যবসায়ীরা, তারা তাদের লোভের লকলকে জিব সংবরণ করতে বাধ্য হয়েছেন। আমদানি করা পিঁয়াজ বাজারে আসার আগেই পাইকারি বাজারে দাম কমেছে কেজি প্রতি ৩০ টাকা। ভারতীয় পিঁয়াজ বাজারে এলে তা ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা সম্ভব হবে বলে আভাস দিয়েছেন আমদানিকাররা। এর ফলে ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসবে। পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার খবরে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পিঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৩০ টাকা কমে গেছে। গতকাল এ বাজারে প্রতি কেজি পিঁয়াজ ৬০-৬২ টাকায় দাম হাঁকিয়েও বিক্রি করতে পারেননি অনেক ব্যাপারি। কৃষকের স্বার্থ সুরক্ষা ও ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে দীর্ঘ ৫০ দিন পিঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখায় পিঁয়াজের দাম সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যায়। বাধ্য হয়ে সোমবার থেকে পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার ঘোষণা দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। এ খবরে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পিঁয়াজের বাজারে রীতিমতো ধস নামে। গত বৃহস্পতিবার খাতুনগঞ্জে ৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে পিঁয়াজ। এরপর শনিবার ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়। রবিবার একলাফে ৯০ টাকা হয়ে যায় প্রতি কেজি পিঁয়াজ। কিন্তু আমদানির অনুমতি দেওয়ার খবরে সোমবার সকালে ৭৮-৮০ এবং দুপুরের দিকে একলাফে ৬০ টাকায় নেমে আসে পিঁয়াজের দাম। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর সোমবার প্রথম দিনই ২ লাখ ৮০ হাজার টন পিঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। পিঁয়াজ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায় গত মাসেই। যে পিঁয়াজ রোজার মাসে বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা, তা ৮০ টাকায় ঠেকে। দেরিতে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ইতোমধ্যে মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে চলে গেছে শতাধিক কোটি টাকা। পিঁয়াজের পাশাপাশি বাজারে চিনিসহ যেসব নিত্যপণ্যের দাম ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে সেসব পণ্য আমদানিতেও দ্বার উন্মোচন করে দেওয়া দরকার। প্রয়োজনে অন্যান্য খাতে খরচ কমিয়ে নিত্যপণ্য সরবরাহ সহজ করতে হবে।