বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

গ্রীষ্মের দাবদাহ

হিটস্ট্রোকের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে

দাবদাহে পুড়ছে সারা দেশ। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের জনজীবন অসহনীয় করে তুলেছে গ্রীষ্মের ভয়াবহ দাবদাহ। দাবদাহে দিনের বেলায় ঘরের বাইরে বেরোনো কষ্টকর হয়ে পড়ছে। কর্মজীবী মানুষ ও স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা আবহাওয়ার অস্বাভাবিক উষ্ণতায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন। সবচেয়ে কষ্টকর অবস্থার শিকার হচ্ছে শিশুরা। গত ৪৪ বছরের মধ্যে টানা ছয় দিন ভয়াবহ তাপপ্রবাহের শিকার হয়েছে দেশের মানুষ। ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। রাজধানীতে গত কয়েক দিন তাপপ্রবাহের পাশাপাশি লোডশেডিংয়ে জনজীবনে বিপর্যস্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলেছেন, দেশজুড়ে যে দাবদাহ চলছে তা আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। তবে একই সঙ্গে রয়েছে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। যা দাবদাহের অবসান ঘটাতে পারে। দাবদাহের তোড়ে রাজধানীসহ সারা দেশে উদরাময় রোগের প্রকোপ বেড়েছে। চিকিৎসকরা কাঠফাটা রোদ ও ভ্যাপসা গরমে হিটস্ট্রোকের বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বাজারে খোলা অবস্থায় বিক্রি হওয়া শরবত বা ঠান্ডা পানীয় ব্যবহার সম্পর্কেও সতর্ক করেছেন। জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে লোডশেডিংয়ে। রাজধানীতেই দিনে গড়ে চার থেকে পাঁচবার লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রামের অবস্থা আরও ভয়ংকর। জ্বালানি ঘাটতির কারণে দেশের বেশির ভাগ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ। এ সংকট লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। জ্যৈষ্ঠের দাবদাহ সাংবাৎসরিক বিষয়। আম-কাঁঠাল পাকার এই মৌসুম যেমন আনন্দ বয়ে আনে ভোজনরসিকের মনে তেমন দাবদাহ বয়ে আনে বিড়ম্বনা। এ বিড়ম্বনা এড়াতে সবাইকে সচেতন হতে হবে। দেশে গাছপালার নিধন আবহাওয়াকে উষ্ণ করে তুলছে। উষ্ণতা থেকে রক্ষা পেতে সারা দেশে বৃক্ষ রোপণে নজর দিতে হবে। গাছপালার নিধন বন্ধেও যত্নবান হতে হবে। অস্তিত্বের স্বার্থেই এ ব্যাপারে জনসচেতনতা গড়ে তোলা জরুরি।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর