বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিদ্যুৎ সংকট

সমাধানের উদ্যোগ জোরদার হোক

বিদ্যুৎ সংকট নিয়ে সরকার এখন ঘরে-বাইরে চাপের মুখে। সরকারি দল আওয়ামী লীগ শুধু নয়, ১৪-দলীয় জোটও এটিকে অশনিসংকেত বলে মনে করছে। সংসদেও বিরোধী দলের সমালোচনার তীর নিক্ষিপ্ত হয়েছে সরকারের দিকে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত একনেকের বৈঠকেও অন্যতম আলোচ্য বিষয় ছিল মূল্যস্ফীতি এবং বিদ্যুৎ ঘাটতি। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে সাফ সাফ বলে দিয়েছেন মূল্যস্ফীতি সামাল দিতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। অসহনীয় বিদ্যুৎ সংকট উপশমেও তিনি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের তাগিদ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার ফলে মানুষ যাতে আরও দুর্ভোগে না ভোগে সে বিষয়ে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে কক্সবাজারের বাঁশখালীর এস আলম গ্রুপের কয়লাভিত্তিক ১৩৫০ মেগাওয়াট কেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলকভাবে ৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে- বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে আরও ২০০ মেগাওয়াট বেশি অর্থাৎ ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দু-এক দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে। চলতি মাসের ২২ তারিখের মধ্যে পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি আবারও উৎপাদনে চলে আসবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বর্তমানে ভারতের আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একটি ইউনিট থেকে সাড়ে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসছে। আশা করা হচ্ছে- চলতি মাসের ২৫ তারিখের মধ্যে আদানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আরও সাড়ে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা সাড়ে ১১ হাজার মেগাওয়াট। বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে ৬ হাজার মেগাওয়াট। বর্তমানে গ্যাসভিত্তিক কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি গ্যাস দিয়ে আরও ১ হাজার মেগাওয়াট বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদনের চেষ্টা চলছে। ফার্নেস তেল থেকে ৪ হাজার মেগাওয়াটের মতো উৎপাদন করা হচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর এই যুগে বিদ্যুৎ হলো মানুষের জীবনযাত্রার অপরিহার্য অনুষঙ্গ। উন্নয়নের জন্য চাই বিদ্যুৎ। অন্ধকার কাটাতেও এর বিকল্প নেই। দাবদাহ থেকে স্বস্তি পেতেও বিদ্যুতের সরবরাহ নিরঙ্কুশ হওয়া দরকার। এটি এখন সরকারের জন্য কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর