ডলার সংকটে বিকল্প মুদ্রা ব্যবহারের বিষয়টি দুনিয়াজুড়েই প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি এই মুহূর্তে ডলার সংকটের ধকলে নিপতিত। হুন্ডির কারণে প্রতিদিনই ঘনীভূত হচ্ছে সংকট। ডলার সংকটের পেছনে বিশ্ব রাজনীতির কুশীলবরা জড়িত এমন ধারণাও করেন অনেকে। নয়া বিশ্ব অর্থ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে যেসব দেশ তৎপর তার মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। পদ্মা সেতু নিয়ে বিড়ম্বনার পর এ বিষয়টি দেশের নীতিনির্ধারকদের মাথায় আসে। অতি সম্প্রতি সরকার ডলার সংকট মোকাবিলায় বিকল্প অর্থ বিনিময়ের ওপর জোর দিচ্ছে। এমনকি এক্ষেত্রে দেশীয় অর্থ টাকা ব্যবহারের বিষয়টিও শুধু পর্যালোচনা নয়, বাস্তবে এসেছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিজস্ব মুদ্রা টাকায় বৈদেশিক বিল পরিশোধ শুরু হয়েছে। বিদেশি মুদ্রার মজুদের ওপর চাপ কমাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেস প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ২০২ কোটি মার্কিন ডলার বা ১৭ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। এ প্রকল্পের ৮৫ শতাংশ অর্থায়ন করছে চীন, যার সুদের হার ২ শতাংশ। ২০ বছরে ধাপে ধাপে এই ঋণ শোধ করবে বাংলাদেশ। চীনের এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক মার্কিন ডলারের মাধ্যমে চীনা ঠিকাদার ও ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনকে এই অর্থ পরিশোধ করে আসছে। সেই প্রকল্পের ১৫ শতাংশ অর্থ টাকায় পরিশোধ করতে চীনকে সম্মত করতে পেরেছে বাংলাদেশ। বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রকল্পটির পরিচালক বলেছেন, চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে টাকায় বিল নেওয়ার জন্য রাজি করানো সম্ভব হয়েছে। এই অর্থ তারা বাংলাদেশেই ব্যয় করতে পারবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে আড়াই শ চীনা নাগরিক ও ১ হাজার বাংলাদেশি কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে- চীনের সঙ্গে লেনদেনের ক্ষেত্রে দুই দেশের অর্থ বিনিময় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হবে।