রবিবার, ১১ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

থার্ড টার্মিনাল

পাল্টে দেবে শাহজালালের চালচিত্র

দেশের প্রধান বিমানবন্দর শাহজালালের থার্ড টার্মিনালের একাংশ অক্টোবরেই উদ্বোধন করা হবে। বর্তমানে মেগা প্রকল্পের ৭৫ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অক্টোবরে শেষ হবে ৯০ শতাংশ কাজ। থার্ড টার্মিনাল চালু হলে ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে সক্ষম হবে। শাহজালাল বিমানবন্দরে বর্তমানের দুটি টার্মিনালের যাত্রীধারণ ক্ষমতা বছরে প্রায় ৭০ লাখ। তৃতীয় টার্মিনাল তৈরি হলে এ সংখ্যা দাঁড়াবে ২ কোটির কাছাকাছি। ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এ টার্মিনালে একসঙ্গে ৩৭টি প্লেন রাখা যাবে। টার্মিনাল ভবন হবে ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটারের। ভবনের ভিতরে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া। নির্মাণাধীন টার্মিনালটিতে বেশ কয়েকটি স্ট্রেইট এসকেলেটর লাগানো হবে। সিঙ্গাপুর, ব্যাংককসহ বিশ্বের অত্যাধুনিক বিমানবন্দরগুলোয় বেশি যাত্রী প্রবাহের জায়গায় এসকেলেটর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এটি যাত্রীদের মসৃণ যাত্রার অভিজ্ঞতা দেয়। বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে মেট্রোরেল। এর মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা যাত্রীরা বিমানবন্দর থেকে বের না হয়েই মেট্রোরেলে নিজ গন্তব্যে যেতে পারবেন। এ ছাড়া ঢাকার যে কোনো স্টেশন থেকে মেট্রোরেলের মাধ্যমে সরাসরি বিমানবন্দরের বহির্গমন এলাকায় যাওয়া যাবে। বাংলাদেশের ১ কোটির বেশি মানুষ বিদেশে থাকে। তারা সুযোগ পেলেই দেশে আসার চেষ্টা করে। হজ, ওমরাসহ অন্যান্য তীর্থযাত্রায় কয়েক লাখ মানুষ বিমানে যাতায়াত করে। ব্যবসা-বাণিজ্যের কারণেও পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে শাহজালাল বিমানবন্দরে চাপ বাড়ছে। যে কারণে সরকারের মাথায় ছিল নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর তৈরির চিন্তাভাবনা। সে ভাবনা থেকে সরে না এলেও আগামী ১৫ বছরের চাহিদা মেটাতে শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রায় ২১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের তিন-চতুর্থাংশ ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপান সরকার। এক-চতুর্থাংশ ব্যয় করছে বাংলাদেশ। আমরা আশা করব থার্ড টার্মিনাল যাত্রীসেবায় কার্যকর অবদান রাখতে সক্ষম হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর