সোমবার, ১২ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

আত্মমর্যাদা বিকিয়ে দেওয়ার রাজনীতি

মহিউদ্দিন খান মোহন

আত্মমর্যাদা বিকিয়ে দেওয়ার রাজনীতি

১৯৭১-এ স্বাধীনতা অর্জনের আগে আমরা প্রায় ২০০ বছর পরাধীন ছিলাম। ১৭৫৭ সালে পলাশী যুদ্ধে মীরজাফরসহ কতিপয় বিশ্বাসঘাতকের  বেইমানির কারণে ইংরেজদের কাছে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর ভারতবর্ষে ইংরেজ বেনিয়াদের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আইন প্রতিপালনে বাধ্য ছিল এ উপমহাদেশের মানুষ।  তাদের সেই শাসন জারি ছিল ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত। ওই বছর সিপাহি বিদ্রোহের ব্যর্থতা, মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ প্রতিনিধি সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের পরাজয় এবং তাকে বার্মায় (বর্তমান মিয়ানমার) নির্বাসনের পর ইংরেজরা ভারতবর্ষে তাদের দখলদারিত্ব কায়েম করে। ওই বছরই পুরান ঢাকার সদরঘাটসংলগ্ন ‘অন্টাঘর’ নামে পরিচিত পার্কে ব্রিটেনের মহারানি ভিক্টোরিয়ার ভারতবর্ষের শাসনভার হাতে নেওয়ার ঘোষণাপত্র পাঠ করে শোনানো হয়েছিল। সেই থেকে পার্কটির নামকরণ হয়েছিল ‘ভিক্টোরিয়া পার্ক’। উল্লেখ্য, সিপাহি বিদ্রোহ ব্যর্থ হওয়ার পর বিদ্রোহে জড়িত ১১ জন সিপাহিকে এ পার্কে ফাঁসি দিয়ে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। সিপাহি বিদ্রোহের ১০০ বছর পূর্তিতে ১৯৫৭ সালে সেই মহান শহীদদের স্মরণে সেখানে চার স্তম্ভের একটি মিনার তৈরি করা হয়। সেই সঙ্গে পার্কটির নাম বদলে রাখা হয় ‘বাহাদুর শাহ পার্ক’। যদিও চার স্তম্ভের ওই সুউচ্চ মিনারের শীর্ষদেশে আগের ‘১৮৫৭ সালের শহীদ স্মরণে’ কথাটি এখন আর লেখা নেই। মুছে ফেলা হয়েছে। ফলে নতুন যারা ওটা দেখবেন তারা বুঝতেই পারবেন না কেন সেটা তৈরি করা হয়েছিল।

১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ মোট ১৯০ বছর আমরা ছিলাম ব্রিটিশদের উপনিবেশ। তাদের কবল থেকে ভারতবর্ষকে মুক্ত করতে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষদের। ব্রিটিশ সরকারের রোষানলে পড়ে শত শত স্বাধীনতাকামী বীরকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। ক্ষুদিরাম, মাস্টার দা সূর্যসেন, প্রীতিলতা, মঙ্গল পান্ডে প্রমুখ বিপ্লবীর নামের সারিতে রয়েছে আমাদের বিক্রমপুরের তিন বিপ্লবী শহীদ বাদল গুপ্ত, বিনয়কৃষ্ণ বসু এবং দীনেশচন্দ্র গুপ্তের নামও। এরা তিনজনই ১৯৩০ সালের ৮ ডিসেম্বর কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিংয়ে সশস্ত্র অভিযান চালিয়েছিলেন। সে অভিযানে নিহত হয়েছিলেন কারা বিভাগের ইন্সপেক্টর জেনারেল লে. কর্নেল সিম্পসনসহ কয়েকজন ইংরেজ কর্মকর্তা। বিপ্লবী তিনজনের প্রথম দুজন ধরা পড়ার হাত থেকে বাঁচতে নিজেদের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মাহুতি দেন। দীনেশ গুপ্ত আত্মহত্যার চেষ্টা করলেও বেঁচে যান। পরে তাকে ফাঁসি দেয় ব্রিটিশ সরকার। এ তিন বিপ্লবীর কথা প্রথম জানতে পারি শৈলেশ দে রচিত ‘অমি সুভাষ বলছি’ গ্রন্থে। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও লেখক-গবেষক মো. জয়নাল আবেদীন তার বই ‘মুক্তিযুদ্ধে বিক্রমপুর’ গ্রন্থেও মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য অকাতরে জীবনদানকারী এ তিন মুক্তিযোদ্ধার কথা সবিস্তারে তুলে ধরেছেন। ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতবর্ষের মুক্তির জন্য এ অঞ্চলের মানুষকে সীমাহীন নির্যাতন ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। সংঘটিত হয়েছে জালিয়ানওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাযজ্ঞ, কলকাতার মনুমেন্ট হত্যাকান্ড। ব্রিটিশ শাসকরা প্রথম কেঁপে ওঠে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদ হিন্দ ফৌজের তৎপরতায়। নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্রিটিশদের তাড়ানো কঠিন, এটা উপলব্ধি করে নেতাজি বেছে নিয়েছিলেন সশস্ত্র যুদ্ধের পথ। সে পথ ছিল বড়ই বন্ধুর। কীভাবে তিনি আফগানিস্তান-রাশিয়া পার হয়ে বার্লিনে পৌঁছে ইংরেজদের শত্রু হিটলারের সান্নিধ্যে এসেছিলেন, তার সাহায্য পেয়েছিলেন, কীভাবে সেখান থেকে সাবমেরিনে চড়ে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা হয়ে সিঙ্গাপুর পৌঁছেছিলেন এবং জাপানে অবস্থানরত আরেক বিপ্লবী রাসবিহারি বসুর কাছ থেকে আজাদ হিন্দ ফৌজের দায়িত্ব পেয়েছিলেন তা আজ ইতিহাসের অধ্যায়। নেতাজির পথ ভ্রান্ত ছিল কি না তা নিয়ে হয়তো বিতর্ক রয়েছে। তবে আমার মতো অনেকের কাছে তিনি দেশপ্রেমের অনন্য প্রেরণা। মাতৃভূমির স্বাধীনতার জন্য তার চিন্তা, কর্মপন্থা এবং শেষ পর্যন্ত আত্মত্যাগ এক বিরল দৃষ্টান্ত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যদি জার্মানি-জাপানের পরাজয় না হতো তাহলে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাস হয়তো অন্যভাবে লেখা হতো। সে ইতিহাসে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু হতেন মহানায়ক।

১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগ হয়ে পাকিস্তান সৃষ্টি হলো। আমরা পাকিস্তানের অংশ হলাম- পূর্ব পাকিস্তান। বলা হলো আমরা স্বাধীন হয়েছি। কিন্তু বাস্তবিক তা ছিল মেকি। সাতচল্লিশের দেশ ভাগের ফলে শাসন-শোষণের হাত বদল হলো মাত্র। ব্রিটিশদের হাত থেকে আমরা পড়লাম পশ্চিম পাকিস্তানিদের শাসন-শোষণের জাঁতাকলে। দীর্ঘ ২৪ বছর তারা আমাদের শোষণ করেছে। পাকিস্তানি শোষণের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আমরা নিরন্তর সংগ্রাম করেছি ২৩ বছর। অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সেই রাহুগ্রাস থেকে আমাদের মুক্তি মেলে। সে জন্য আমাদের দিতে হয়েছে অনেক মূল্য। ৩০ লাখ মানুষ জীবন দিয়েছে, ২ লাখ নারী তাদের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ সম্ভ্রম হারিয়েছে পাকিস্তানি হায়েনাদের হাতে। একাত্তরে আমরা প্রমাণ করে দিয়েছি বাঙালি পরাভব মানার জাতি নয়। তারা মাথা উঁচু করে বাঁচতে জানে। আর এ বাঁচার জন্য উদ্ধত বন্দুকের নলের মুখে দাঁড়াতে তারা দ্বিধা করে না।

যুদ্ধ করে শত্রুকে পরাজিত করে মাতৃভূমিকে স্বাধীন করার জন্য আমাদের যে অহংবোধ ছিল সেটা আজ কতটুকু অক্ষুণ্ণ আছে বা থাকবে তা নিয়ে আমি অন্তত সংশয়গ্রস্ত। সাম্প্রতিককালের রাজনৈতিক ঘটনাবলিদৃষ্টে, বিশেষ করে রাজনৈতিক দলগুলোর হীনমন্যতা ও দলীয় সংকীর্ণতায় যে প্রশ্নটি মনের মধ্যে খেজুর কাঁটার তীব্র খোঁচা দিচ্ছে- আমরা কি আসলেই স্বাধীন? আমাদের জাতীয় রাজনৈতিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কি আমাদের নেই? বিশ্ব মোড়লরা কি ঠিক করে দেবে আমরা কোন কথা বলব, কোন পথে চলব?

রাজনৈতিক দলগুলোর অপরিণামদর্শী চিন্তা-ভাবনা ও অবিমৃষ্যকারী সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের রাজনীতিতে অনেকবার অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। সেসব অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার পেছনে দেশি-বিদেশি শক্তির প্ররোচনার বিষয়টি গোপন থাকেনি। বারবার হোঁচট খাওয়ার পরও বোধোদয় হয়নি আমাদের রাজনৈতিক দল ও এর নেতৃত্বের। তারা বারবার নিজেরা সমস্যার সমাধানে সমঝোতায় আসার পরিবর্তে বিদেশি শক্তির মুখাপেক্ষী হয়েছে। দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক শক্তি এ অভিযোগ অস্বীকার করতে পারবে না। যে কারণে আমরা অনেকবার অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি, গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হয়েছে।

গত ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্র সে দেশে যেতে বাংলাদেশিদের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে। তাতে বলা হয়েছে- সুষ্ঠু ভোটে কেউ বাধা দিলে তাকে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা দেবে না। এ নতুন নীতি ঘোষণা করে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে দুর্বল বা বাধা প্রদানের জন্য দায়ী ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ভিসার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৫ মে ২০২৩)। এ খবর প্রকাশের পর সরকারবিরোধী শিবিরে এক ধরনের উল্লাস পরিলক্ষিত হচ্ছে। তারা মনে করছেন এটা তাদের দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফসল। অন্যদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘এই নীতি বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়ক হবে। আর গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ খুঁটি (নির্বাচন) যে কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বাধাগ্রস্ত হলে যুক্তরাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে সরকার কোনো চাপ অনুভব করছে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণার পরদিনই রাষ্ট্রদূতের আহ্বানে দেশটির ঢাকার দূতাবাসে ছুটে গেছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতারা। সেখানে তারা যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি নিয়ে যার যার দলের অবস্থান ব্যক্ত করেছেন। মার্কিন দূতবাস থেকে বেরিয়ে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ভিসার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আসলে জিনিসটা কী, পদ্ধতিটা কী হবে এসব বিষয় নিয়ে আমাদের একটা ব্রিফ করা হয়েছে। কাউকে টার্গেট করে এটা করা হয়নি। যারা সহিংসতা করবে, নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে চেষ্টা করবে তাদের জন্যই এটা প্রযোজ্য হবে। অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির প্রধান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট বিবেচনায় যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্ত এসেছে। আমরা এটাকে ‘ওয়েলকাম’ করছি। এটা তাদের জন্য একটা মেসেজ। এ মেসেজ না নিয়ে তারা (সরকার) যদি আবার ‘ভোট চুরি’র প্রক্রিয়ায় অব্যাহতভাবে কাজ করতে থাকে তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করা দরকার।’ জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, বৈঠকে বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আনঅফিশিয়াল কথা হয়েছে। তবে মূল বিষয় বাংলাদেশের জন্য আমেরিকার নতুন ভিসানীতি। বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নতুন যে ভিসানীতি, এটা রাষ্ট্রদূত আমাদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন। (বাংলাদেশ প্রতিদিন, ২৬ মে ২০২৩)।

একটি রাষ্ট্রের ভিসানীতি কী হবে সেটা তাদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভর করে। এক্ষেত্রে বাইরে থেকে কারও বলার কিছু নেই। তারা কাকে ভিসা দেবে না দেবে সেটা তাদের এখতিয়ারভুক্ত। তবে যখন একটি দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়কে ইস্যু করে শুধু সে দেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করা হয় তখন সংগত কারণেই প্রশ্ন ওঠে এটা কূটনৈতিক শিষ্টাচারে পড়ে কি না। লক্ষণীয় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি বাংলাদেশের জন্য অবমাননাকর হলেও সরকার কিংবা বিরোধী দল কোনো পক্ষই তা নিয়ে উদ্বিগ্ন নয়। সরকার বলছে, তারা এতে বিচলিত নয়। কারণ তারা সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। আর বিএনপি বলছে, এটা তাদের কূটনৈতিক আন্দোলনের ফসল। তা ছাড়া দেশের প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে যেভাবে ছুটে গেছেন তা দুর্ভাগ্যজনক। রাজনৈতিক নেতৃত্বের এ নতজানু ভূমিকা আমাদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করল কি না তাও ভেবে দেখার প্রয়োজন আছে।

এ নিয়ে কথা বলেছিলাম একজন সাবেক কূটনীতিকের সঙ্গে। তিনি বললেন, সবচেয়ে দুঃখজনক হলো যে আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকদের প্রায় ২৫ শতাংশ বাংলাদেশি; তারা আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দেন, এখানে তারা আমাদের শিক্ষকের ভূমিকায় নেমেছে। তাদের একটা ‘অমর্যাদাকর’ এবং ‘অকূটনৈতিকসুলভ’ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করার সাহস কোনো রাজনৈতিক দল দেখাতে পারল না। উল্টো সব পক্ষই আনন্দে যেন নাচছে। অথচ একাত্তরে আমরা এ আমেরিকাকে গ্রাহ্য না করে স্বাধীনতা অর্জনে সক্ষম হয়েছিলাম।  কেন এমন হলো- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বললেন, একাত্তরে আমাদের ঐক্য ছিল, যে কোনো বাধাকে উপড়ে ফেলার সাহস ছিল।  আর আজ রাজনৈতিক বিভক্তি ও সংকীর্ণতা আমাদের এমনভাবে গ্রাস করেছে যে, দেশের মান-মর্যাদার দিকে তাকানোর ফুরসত কারও নেই। তিনি সখেদে মন্তব্য করলেন, জাতির আত্মমর্যাদা বিকিয়ে দিয়ে হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর স্বার্থ হাসিলের উদগ্র বাসনা আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে সেটাই ভাবনার বিষয়।

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

সর্বশেষ খবর