সোমবার, ১২ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

সিটি নির্বাচন

জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটুক

খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন আজ। নির্বাচন কেন্দ্র করে দুই সিটিতে বিরাজ করছে উৎসবী আমেজ। খুলনার সিটি নির্বাচনে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। এ বছর খুলনা সিটিতে মেয়র পদে পাঁচ এবং ৩১ সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ ও ১০ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। খুলনায় মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের আবদুল আউয়াল, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক। বরিশালে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী নতুন মুখ আবুল খায়ের খোকন। বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন মুফতি মুহাম্মদ ফয়জুল করীম। জাতীয় পার্টি ও জাকের পার্টির মনোনীত মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও লড়ছেন নগরপিতা পদটির জন্য। নির্বাচনে ৭ মেয়র প্রার্থী ছাড়াও ৩০টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১১৯ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৪২ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। বিরোধী দল বিএনপি এবং সমমনা দলগুলো নির্বাচন বর্জন করলেও আজকের ভোটযুদ্ধে তার প্রভাব পড়বে কি না সেটি একটি প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়। আবহাওয়া ভালো থাকলে দুই সিটি করপোরেশনে ৬০ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। গাজীপুর সিটি নির্বাচনের মতো বরিশাল ও খুলনায় সুষ্ঠু নির্বাচন করে কমিশন তাদের সক্ষমতার প্রমাণ রাখবে আমরা এমনটিই আশা করতে চাই। গণতন্ত্রের জন্য সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই এবং এ ব্যাপারে প্রার্থী ভোটার সবারই অঙ্গীকারবদ্ধ ভূমিকা প্রয়োজন। আমাদের বিশ্বাস, দুই সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনআকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটবে এবং ব্যক্তি বা দল নয়, গণতান্ত্রিক চেতনা জয়ী হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর