বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুই সিটি নির্বাচন

দল বা ব্যক্তি নয়, গণতন্ত্রের জয়

দেশের দুই গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সরকার খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী তার ওপর হামলার অভিযোগ করেছেন। তবে এ হামলা নিয়ে ভিন্ন মতও রয়েছে। নির্বাচন কমিশন হামলায় জড়িতদের চিহ্নিত করে সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। অভিন্ন দাবি আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীরও। বরিশাল ও খুলনা দুই সিটি নির্বাচন প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ সমমনাদের বর্জন সত্ত্বেও প্রায় ৫০ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা ছিল এবং তাতে এ নির্বাচন নিয়ে কল্পিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। খুলনার তুলনায় বরিশাল জনসংখ্যায় ছোট হলেও নানা কারণে সেখানকার নির্বাচন সারা দেশে আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়। বরিশালের সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর ছোট চাচা খায়ের আবদুল্লাহ খোকনকে প্রার্থী করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে সাদেক আবদুল্লাহপন্থিরা খোকনের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারে এমন রটনা ছড়িয়ে পড়লেও তা বাস্তবে রূপ নিয়েছে কি না ভোটের ফলাফলে স্পষ্ট হয়নি। বরং খোকনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের একটি বিতর্কিত অংশের অবস্থান তার প্রতি ভোটারদের সহানুভূতিই বাড়িয়েছে। ৫৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন তিনি। বরিশালে বিএনপি ও সমমনাদের বর্জনে সাধারণ মানুষ এমনকি তাদের সমর্থকরা কৌশলগত কারণে সায় দেয়নি। তাদের অনেকেই বরিশালে স্বস্তিকর অবস্থান ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া খোকনের জয় চেয়েছেন এমনটিই মনে হয়েছে ভোটের ফলাফলে। হাতপাখার প্রার্থী তাদের নিজস্ব ভোটের বাইরে বিএনপি সমর্থকদের কিছু ভোট টানলেও তা জেতা দূরের কথা প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য যথেষ্ট ছিল না। খুলনায় তালুকদার খালেক জিতবেন এটি ছিল প্রায় সর্বসম্মত এক ধারণা। নিজের ভোট ব্যাংকের পাশাপাশি দলীয় ভোট পেয়েছেন তিনি। বিএনপি ভোট বর্জন করায় মেয়র নির্বাচন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হয়নি। দেশের দুই সিটি করপোরেশনে দল বা প্রার্থী নয়, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব হওয়ায় গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। জয়ী মেয়র ও কাউন্সিলরদের অভিনন্দন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর