বুধবার, ১৪ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিদ্যুতে স্বস্তি

অপচয়ও বন্ধ করতে হবে

রাজধানীসহ সারা দেশে লোডশেডিং পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বিশ্ববাজারে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি ও ডলার সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ তেল, গ্যাস ও কয়লা আমদানিতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দেয় অস্বাভাবিক খরতাপের ঘটনা। এর ফলে বিদ্যুতের চাহিদা স্পুটনিক গতিতে বৃদ্ধি পায়। চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। বিভিন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বাড়িয়ে এ সমস্যার সন্তোষজনক সমাধানের পথে এগিয়েছে সরকার। বর্ষার প্রলেপে আবহাওয়ায় স্বস্তিজনক পরিবর্তন ঘটায় কেটে গেছে লোডশেডিংয়ের অনাকাক্সিক্ষত অপঘাত। সবারই জানা, ইউক্রেন যুদ্ধের পরিণতিতে দুনিয়াজুড়ে বেড়েছে জ্বালানি তেল, গ্যাস ও কয়লার দাম। ইন্ধন শক্তির ক্ষেত্রে যেসব দেশ পরনির্ভরশীল সেসব দেশ পড়েছে বিপাকে। বাংলাদেশও জ্বালানি সমস্যার অনিবার্য শিকার। দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের বড় অংশ আসে বিদেশ থেকে। জ্বালানি তেল ও কয়লার ক্ষেত্রে দেশ প্রায় পুরোটাই বিদেশনির্ভর। জ্বালানির দাম কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় বিদেশ থেকে আমদানি করে বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুনিয়াজুড়ে ডলার সংকটও ঘোরতর হয়ে উঠেছিল। সে সংকট কাটাতে দ্রুত জ্বালানি আমদানি এবং দেশের গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে সর্বোচ্চ গ্যাস উৎপাদনের কৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। এর ফলশ্রুতিতে বেড়েছে বিদ্যুৎ উৎপাদন। আমদানিকৃত কয়লা দেশে পৌঁছানোর পরপরই সচল হবে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো। এর ফলে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি সংকট পূর্ববর্তী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো এ সরকারের প্রধান কৃতিত্ব। এ কৃতিত্ব ধরে রাখতে দেশের উন্নয়ন বেগবান করতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের বিকল্প নেই। তবে বাস্তব প্রেক্ষাপটে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সবাইকে সাশ্রয়ী হতে হবে। ইজিবাইক ও ব্যাটারি চালিত রিকশায় বিদ্যুৎ ব্যবহারে যারা চৌর্যবৃত্তির আশ্রয় নিচ্ছে তাদের কঠোর হাতে দমন করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর