বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্রবীণ পুষ্টি

চাই পরিবার ও সরকারের দায়িত্বশীলতা

যে কোনো দেশ বা সমাজের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখেন প্রবীণরা। নবীনরা তাদের পরিশ্রম এবং উদ্ভাবনী বুদ্ধি দিয়ে এগিয়ে নেন সমাজ বা দেশকে। আর নবীনদের দিকনির্দেশনা দিয়ে সমাজ গঠনে বড় অবদান রাখেন প্রবীণরা। বটবৃক্ষের মতো তাঁরা ছায়া দিয়ে রাখেন পরিবারকে। অথচ প্রবীণ জনগোষ্ঠী ভয়াবহ অপুষ্টি ও অবহেলার শিকার হচ্ছেন আমাদের দেশে। পরিবারের অন্য সদস্যদের কথা ভেবে তারা নিজেরাই কম খাবার খান। অনেক জায়গায় হন অবহেলিত। অপুষ্টির কারণে তাঁরা আক্রান্ত হন নানা রোগব্যাধিতে। পরিবারের বোঝায় পরিণত হন তাঁরা। অথচ পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারলে প্রবীণ জনগোষ্ঠীকে ভালো রাখার পাশাপাশি সম্পদে পরিণত করা সম্ভব। সরকারের পাশাপাশি পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে বিশেষ নজর দিতে হবে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত প্রবীণ পুষ্টিবিষয়ক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা। জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের কনফারেন্স হলে আয়োজিত বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ। স্বাধীনতার পর গত ৫২ বছরে দেশ যে অভাবনীয় অগ্রগতি লাভ করেছে তার পেছনে অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে মহান মুক্তিযুদ্ধ। বলা যায় বাংলাদেশের সবকিছুই মুক্তিযুদ্ধের অর্জন। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে যারা বেঁচে আছেন তাঁরা সবাই এখন প্রবীণ। আমাদের প্রবীণরা নতুন প্রজন্মের ভাগ্য বিনির্মাণে অবদান রেখেছেন। তাঁদের নির্মিত কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে নতুন প্রজন্ম আরও ওপরে ওঠার চেষ্টা করছে। এ কর্মকাণ্ডে প্রবীণরা তাঁদের অভিজ্ঞতার আলোকে নতুন প্রজন্মকে কীভাবে এগিয়ে যেতে হয় সে শিক্ষা দিতে পারেন। কীভাবে প্রতিকূল অবস্থার মোকাবিলা করতে হয় তা-ও শেখা যায় তাঁদের কাছ থেকে। পরিবার, সমাজ ও দেশের কল্যাণে প্রবীণদের সুরক্ষা আমাদের সবার কর্তব্য হওয়া উচিত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর