শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

সামাজিক ন্যায়বিচার

শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের চাবিকাঠি

একবিংশ শতাব্দীর এই অগ্রসর যুগে বিশ্বের ৮০০ কোটি মানুষের দাবি শান্তি ও স্থিতিশীলতা। সবারই প্রত্যাশা টেকসই উন্নয়ন। শান্তি ও টেকসই উন্নয়ন সংঘাতমুক্ত বিশ্ব প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখতে পারে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্যালেস ডি নেশনসে ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট-২০২৩’ এর পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রত্যাশাই তুলে ধরেছেন। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট পূরণে বিশ্বজোট গঠনের উদ্যোগ হিসেবে ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিটের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী ওই সম্মেলনে বলেন, একমাত্র সামাজিক ন্যায়বিচারই স্থায়ী শান্তি ও টেকসই উন্নয়নের ভিত্তি রচনা করতে পারে। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে পাঁচটি পরামর্শ দিয়েছেন। প্রথমত, এই জোটটিকে একটি মান-নির্ধারক বা দরকষাকষির ফোরামের পরিবর্তে একটি পরামর্শমূলক বা অ্যাডভোকেসি প্ল্যাটফরম হিসেবে গড়ে তোলাই বাঞ্ছনীয় হবে। দ্বিতীয়ত, বর্তমান ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সামাজিক ন্যায়বিচারকে এক আন্তর্জাতিক মহল কর্তৃক অন্য মহলের বিরুদ্ধে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের বিষয়ে এ জোটকে সতর্ক থাকতে হবে। তৃতীয়ত, এ জোটকে একটি নিয়মতান্ত্রিক বহুপক্ষীয় বাণিজ্য ব্যবস্থার আওতায় সামাজিক ন্যায়বিচারকে একটি সংরক্ষণবাদী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার না করে বরং এর ব্যাপক প্রসারে ভূমিকা রাখার বিষয়ে প্রচারণা চালাতে হবে। চতুর্থত, শোভনকর্ম এবং উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্পৃক্ত করার জন্য এ জোটের বিষয়ে আইএলওর নিজস্ব অংশীজনদের থেকে ব্যাপক সমর্থন নিশ্চিত করতে হবে। পরিশেষে আমাদের তরুণ সমাজকে সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রবক্তা হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এ জোটকে মনোযোগী হতে হবে। জেনেভার সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য এবং পাঁচ প্রস্তাব বিশ্বের স্থায়ী শান্তি এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য খুবই প্রাসঙ্গিক। সামাজিক ন্যায়বিচার ছাড়া শান্তির প্রত্যাশা কিংবা টেকসই উন্নয়ন দুটিই ইউটোপিয়া ধারণা। শান্তির স্বার্থে শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে। শিশু অধিকার রক্ষায় কথা ও কাজে সব রাষ্ট্রকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর