শনিবার, ১৭ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

রপ্তানি বহুমুখীকরণ

ব্যবসায়ীদের দায়িত্ব দিন

বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী এটি একটি সুপরিচিত বাংলা প্রবচন। তবে বাঙালি বাণিজ্যে অতীতে খুব একটা আগ্রহী ছিল এটা প্রমাণ করা কঠিন। দুনিয়ার অন্যান্য ভাষায় মনোগ্রাহী বাণিজ্যবান্ধব প্রবচন আছে কি না তা আমাদের জানা নেই। তবে সবার জানা, ইউরোপীয়রা সেই প্রাচীনকাল থেকে বাণিজ্যের মধ্যে তাদের সমৃদ্ধি খুঁজেছে। এমনকি আরব বণিকরাও মরুভূমি ও সাগর পাহাড় পেরিয়ে ভারতবর্ষ এমনকি চীনের সঙ্গে বাণিজ্যে জড়িয়েছে। বাংলাদেশ গত ৫২ বছরে যতটা এগিয়েছে তার পেছনে ব্যবসা-বাণিজ্যের ভূমিকা সর্বাগ্রে। আগামীতে উন্নয়নের কাক্সিক্ষত সোপানে উঠতে হলে এক্ষেত্রে আরও এগোতে হবে। সে সত্যটি মনে রেখে অর্থনৈতিক কূটনীতিকে প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার। সক্রিয় করা হচ্ছে বিদেশি মিশনগুলোকে। রপ্তানি বহুমুখীকরণ ও নতুন বাজার খুঁজতে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলো। ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারে তৈরি পোশাক খাতের বাইরে তেমন কোনো নতুন পণ্যের বাজার তৈরি করতে পারেননি তারা। প্রায় দুই বছর আগে শুরু হওয়া ডলার সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। যার প্রভাবে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতেও সংকট তৈরি হয়েছে। অর্থনীতি শক্তিশালী করতে সরকার নজর দিচ্ছে রপ্তানি খাতে। যার অংশ হিসেবে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার বাস্তবসম্মত পরিকল্পনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলোকে। ২০২৬ সালের মধ্যে রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে চায় সরকার। এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ৪ জুন বিদেশের মিশনগুলোতে পাঠানো হয়েছে। কভিড মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ব অর্থনীতির চাপ দেশের অর্থনীতিতেও পড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ সহসা থামার সম্ভাবনা কম। সংঘাতের কারণে প্রধান পণ্যগুলোর মূল্যবৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতিতে উল্লম্ফন ঘটেছে বিশ্বজুড়ে। আগামীতে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে কি না তা অনিশ্চিত। আগামীতে ইউক্রেনের লড়াই তীব্রতর হলে এবং অন্য দেশ জড়িয়ে পড়লে বিশ্ব অর্থনীতি অত্যন্ত বিপজ্জনক পর্যায়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি বাড়াতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি প্রাসঙ্গিক। তবে এক্ষেত্রে আমলানির্ভরতার বদলে ব্যবসায়ীদের সহায়তা নেওয়া দরকার। বহির্বিশ্বে বাজার খুঁজতে তাদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর