শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

রিজার্ভে সুখবর

আত্মপ্রসাদ নয়, আরও সক্রিয় হতে হবে

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। বিশ্বমন্দার দুঃসময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের এই ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে সুসংবাদ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে চাল, গম, ভুট্টাসহ সব খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে হু হু করে। ভোজ্য তেল ও চিনির দাম বেড়েছে এক বছরের ব্যবধানে দ্বিগুণেরও বেশি। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির জন্য বিসংবাদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ফলে রপ্তানির চেয়ে আমদানি ব্যয় বাড়ছে। আমদানি ব্যয় মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে টান পড়ছে। জুনের শেষ ভাগে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করার পেছনে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের ৪০০ মিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা ছাড় ও পবিত্র ঈদুল আজহার আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধির ভূমিকা রয়েছে। বুধবার রিজার্ভ ৩০ দশমিক ০১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। যা এর আগে ছিল ২৯ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের জুনে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার। বুধবার কিছু বাণিজ্যিক ব্যাংকের আমদানি বিল পরিশোধে সহায়তা করতে ৭৪ মিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপরও এডিবির সহায়তা ছাড় করার কারণে রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়। ঈদ সামনে রেখে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে, যা রিজার্ভ বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছে। চলতি মাসের প্রথম ২০ দিনে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ১৫৩ কোটি ডলার, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার। ২০২০ সালে কভিড মহামারি শুরু হলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। দেশের রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে ওঠা সুসংবাদ হলেও এতে আত্মপ্রসাদের সুযোগ নেই। রিজার্ভ ধরে রাখতে সরকারকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। হুন্ডি বন্ধ, অপ্রয়োজনীয় আমদানিতে বাদ সাধা এবং রপ্তানি বৃদ্ধির মাধ্যমে রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোগার বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর