রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

ওএমএস ও টিসিবি পণ্য

ডিলারদের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখুন

দেশের গরিব ও দুস্থ মানুষকে স্বল্প দামে খাদ্য জোগানের উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছে ওএমএস ও টিসিবির মাধ্যমে পণ্য সরবরাহের ব্যবস্থা। এ জন্য সরকারকে শত শত কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। ওএমএস ও টিসিবির মাধ্যমে নিত্যপণ্য বিক্রি দেশের লাখ লাখ মানুষের জীবনে কিছুটা হলেও স্বস্তি বয়ে এনেছে। তবে সরকারের কড়া নজরদারি সত্ত্বেও ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যপণ্য সরবরাহের কার্যক্রমে ঘটছে দুর্নীতি। ওএমএস ও টিসিবি পণ্যের একাংশ চলে যাচ্ছে কালোবাজারে। সারা দেশে টিসিবির পণ্য বিক্রির জন্য ৭ হাজারের বেশি ডিলার রয়েছেন। খাদ্য অধিদফতরের ওএমএসের পণ্য বিক্রি করছেন আড়াই হাজারের বেশি ডিলার। খাদ্যবান্ধব প্রোগ্রামের ডিলার রয়েছেন ১০ হাজার ১১০ জন। এরা বছরের চার মাসে ১০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি চাল সরবরাহ করছেন। তবে কিছু অসাধু ডিলার এবং সরকারি গুদাম-সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তির সহায়তায় দীর্ঘদিন ধরে তাদের অপকর্ম চালিয়ে আসছেন। অভিযোগ রয়েছে, টিসিবি ও ওএমএস পণ্যের লাইসেন্সধারীরা বৈধভাবেই খাদ্যপণ্য সরকারি গুদাম থেকে সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে কার্ডধারীদের পণ্য না দিয়ে নিজেরা গায়েব করে দেন। স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে কম মূল্যে খোলাবাজারে (ওএমএস) বিক্রির জন্য সরকারি আটা ও চাল নিয়ে যাওয়ার পর তা অনেক সময় সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা হয় না। টিসিবি ও ওএমএসের মাধ্যমে খাদ্যপণ্য বিক্রির বহুমুখী উদ্দেশ্য রয়েছে। প্রথমত, গরিব ও মানুষের জন্য কম দামে খাদ্যপণ্য বিক্রি করে তাদের খাদ্য জোগানে সহায়তা করা। দ্বিতীয়ত, বাজারে খাদ্যপণ্যের অধিমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা। উদ্দেশ্যটি শতভাগ মহৎ হলেও ওএমএস এবং টিসিবি ডিলারদের একাংশ যে সরকারি গুদাম থেকে খাদ্যপণ্য উঠিয়ে তা কালোবাজারে বিক্রি করে দেন এটি একটি ওপেন সিক্রেট। এর ফলে সরকারি অর্থের অপচয় হচ্ছে, গরিব মানুষের খাদ্য চলে যাচ্ছে লুটেরা দুর্নীতিবাজদের পেটে। এ ব্যাপারে সরকারের নজরদারি বাড়াতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর