মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

স্বস্তির ঈদযাত্রা

৭৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়ছে নির্বিঘ্নে

দেশের ইতিহাসে এবারই প্রথম স্বস্তির ঈদযাত্রা উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে ঘরমুখো মানুষ। রাজধানীর অন্তত ৭৫ লাখ মানুষ স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করার জন্য ঢাকা ছাড়ছে। ঢাকা ছাড়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সপ্তাহখানেক আগে। গত শুক্রবারই ঘরমুখো মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে ট্রেন, লঞ্চ, বাস টার্মিনালগুলোয়। তবে অতীতের মতো কোথাও নেই হুড়োহুড়ি। রবিবার ট্রেনের টিকিটের জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনেও দেখা যায়নি দীর্ঘ লাইন। স্টেশনে মাদুর বিছিয়ে আগের দিন থেকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়নি কাউকে। বাস কাউন্টারগুলোয়ও দেখা যায়নি উপচে পড়া ভিড়। অনলাইনে টিকিট বিক্রি বাড়ানোয় কমে গেছে ভোগান্তি। নিজের মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে অনলাইনে অগ্রিম টিকিট কেটে টার্মিনালে গিয়েই বাস বা ট্রেনে ওঠার সুযোগ পাচ্ছেন যাত্রীরা। কমলাপুর রেলস্টেশনে এখন টিকিট ছাড়া প্ল্যাটফরমে কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই প্ল্যাটফরমে নেই অতিরিক্ত চাপ। স্টেশনের ব্যবস্থাপনা ঠিক রাখতে বাঁশ দিয়ে ছয়টি গেট তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ট্রেনের টিকিট ও এনআইডি কার্ড চেক করা হচ্ছে। প্রতিটি ট্রেন ছাড়ার আগে নন-এসি মোট আসন সংখ্যার ২৫ ভাগ স্ট্যান্ডিং টিকিট হিসেবে ছাড়া হচ্ছে। এসব টিকিট নিতে যাত্রীরা কাউন্টারে লাইন ধরলেও খুব বেশি ভিড় নেই। পদ্মা সেতুর কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় বাসে যাতায়াত করা যায় স্বস্তির সঙ্গে। ঈদের জন্য যাত্রীসংখ্যা কয়েক গুণ বাড়লেও প্রয়োজনীয় বাস থাকায় ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাচ্ছে ঘরমুখো মানুষ। এ বছর ট্রেন-বাসের টিকিট নিয়ে কালোবাজারি নেই বললেই চলে। লঞ্চযাত্রায়ও রয়েছে স্বস্তির ছাপ। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করা এ দেশের মানুষের অভ্যাসের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ঈদ এলেই শুরু হতো বাস, ট্রেন, লঞ্চের টিকিট কাটার পুলসিরাত পাড়ি দেওয়ার ভোগান্তি। পদ্মা ও বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ এবং দেশের সড়কপথের দৃষ্টিকাড়া উন্নয়নে সেই ভোগান্তির অবসান ঘটেছে। তবে ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। ঈদযাত্রায় যাতে ট্র্যাজেডির উদ্ভব না ঘটে, সে বিষয়ে সাবধানতার বিকল্প নেই।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর