শিরোনাম
বুধবার, ২৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

দেশে রাজনৈতিক সংকট নতুন কিছু নয়

মেজর জেনারেল মোহাম্মাদ আলী শিকদার (অব.)

দেশে রাজনৈতিক সংকট নতুন কিছু নয়

আগামী জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে একটা রাজনৈতিক সংকট তৈরি হতে পারে এমন কথা এখন প্রায়ই শোনা যায়। এ সংকটের স্বরূপ কেমন হতে পারে তা নিয়ে নানাজনের নানা মত। তবে পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে মানুষ বহু রকমের রাজনৈতিক সংকট এবং তার উত্তরণ ঘটতে দেখেছে। মোটা দাগে সব সংকটের কমন বৈশিষ্ট্য ছিল, পাকিস্তান আমলে পাকিস্তানিরা আর স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা যখন বাঙালি জাতি ও বাঙালি সংস্কৃতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে তখনই সংকটের সৃষ্টি হয়েছে এবং অনেক চড়াই-উত্তরাই পেরিয়ে, অনেক মূল্য প্রদানের মধ্য দিয়ে সব সময়ই বাঙালি জাতিসত্তা ও বাঙালি সংস্কৃতির যে শক্তি তার বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু বাঙালি বিশ্বাসঘাতকদের কোনো শিক্ষা হয়নি। সুযোগ পেলেই তারা ষড়যন্ত্রে নেমেছে। প্রতিটি সংকটেরই উত্তরণ ঘটেছে পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে, আর বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। সেজন্যই বলা হয়- বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন আর শত ঝঞ্ঝা পেরিয়ে সেটাকে রক্ষা করে চলেছেন তাঁরই মেয়ে শেখ হাসিনা। সুতরাং বাঙালি জাতিকে হাই কোর্টের ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না। রাষ্ট্র হিসেবে আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ এখন শক্তিশালী, ঠিক একইভাবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বও আজ শুধু দেশের ভিতরে নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সুপ্রতিষ্ঠিত। সেজন্যই দেখা যায়, কিছুদিন আগে ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের পর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকাশ্যে মিডিয়ায় বলেছেন, বাংলাদেশের সমৃদ্ধির জন্য শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রয়োজন। একটু পেছনে ফিরে তাকালে বোঝা যাবে বিগত সময়ে বাঙালি কী রকম সব সংকটের মোকাবিলা করে এগিয়ে গেছে। যুগে যুগে সাধারণ মানুষ নয়, ক্ষমতাবান রাজনীতিক, বড় বড় ব্যবসায়ী ও অন্যান্য শ্রেণি- পেশার সুবিধাবাদী গোষ্ঠী সুপরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক সংকট তৈরি করেছে। কারণ সংকট তৈরি হলে এদের অনেক লাভ। কেউ রাষ্ট্রক্ষমতার ভাগ পায়, কেউ পায় ধনসম্পদ কুক্ষিগত করার সুযোগ। ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এরা প্রোপাগান্ডা ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত এবং মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করে। ষাটের দশকের শেষের দিকে যখন আগরতলা ষড়যন্ত্র সম্পর্কিত মামলা চলছিল তখন এই বিশ্বাসঘাতক নামধারী বাঙালি গোষ্ঠী এই মর্মে প্রচার চালিয়েছে, লৌহমানব আইয়ুব খানের হাত থেকে এবার আর মুজিবের রক্ষা নেই, ফাঁসিতে ঝুলতে হবে, কেউ তা ঠেকাতে পারবে না ইত্যাদি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের প্রতি আস্থাবান ঐক্যবদ্ধ বাঙালি জাতির কাছে সেদিন আইয়ুব খান পরাজয় মানতে বাধ্য হন। তার পরই এলো একাত্তরের সেই মহাসংকট। এবারও সংকট তৈরি করেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান, তার সঙ্গী হয় কিছু নামধারী বাঙালি বিশ্বাসঘাতক। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান যাকে প্রধানমন্ত্রী করেন সেই শাহ আজিজুর রহমান, জিয়ার মন্ত্রী আবদুল আলিম ও জিয়া-উত্তর নব্য বিএনপি যাকে রাষ্ট্রপতি করেন সেই আবদুর রহমান বিশ্বাস এবং এদের সঙ্গী বাঙালি বিশ্বাসঘাতক গোষ্ঠী প্রোপাগান্ডা চালায় এই বলে যে, পাকিস্তানের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে মুক্তিযোদ্ধারা পরাজিত করতে পারবে না, বাংলাদেশ আর কোনো দিন স্বাধীন হবে না, শেখ মুজিব আর কখনো জীবিত ফেরত আসতে পারবেন না। কিন্তু সব মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডাকে পরাজিত করে মাত্র নয় মাসের মাথায় বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে যায় এবং বঙ্গবন্ধু ফিরে এসে নতুনভাবে যাত্রা করে। কিন্তু ১৯৭৫ সালের জাতীয় ট্র্যাজেডির মধ্য দিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রের সমস্ত ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিকারী হয়ে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, দর্শন, চিন্তা-চেতনা, ইতিহাস-ঐতিহ্য বলতে যা কিছু বোঝায় তার সবকিছুকে সাংবিধানিক ও বাস্তবিকভাবে কবরস্থ করার পরিণতিতে দেশ আবার গভীর সংকটের মধ্যে পড়ে যায়।

একাত্তরের সেই বাঙালিরা, যারা পাকিস্তানের একান্ত সহযোগী শুধু নয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেন, তারা সবাই মিলে জিয়ার সঙ্গী হন। একই মিশন নিয়ে জিয়ার পরে এলেন সামরিক শাসক এরশাদ। এমন সংকট ও অন্ধকারে মানুষের মধ্যে হতাশা আসতে শুরু করে। পরিত্রাণের বোধহয় আর কোনো পথ নেই। কিন্তু সমস্ত সংকট থেকে সব সময় বাংলাদেশকে উদ্ধার করেছে তিনটি সহজাত শক্তি। বাঙালি সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু। যে কারণেই জিয়া, এরশাদ ও নব্য বিএনপি সব সময় এ তিন শক্তিকে বিনাশ করার জন্য সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করেছে এবং এখনো করে যাচ্ছে। জিয়া ও এরশাদ কর্তৃক সৃষ্ট মহাসংকট থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করার জন্য ১৯৮১ সালের ১৭ মে আলোর দিশারি হয়ে রাজনীতিতে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। বাঙালি সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু- এ মহাক্ষমতাবান ত্রিশক্তির পুনরুজ্জীবন ঘটে শেখ হাসিনার হাত ধরে। তার ফলেই সামরিক শাসকের পতন ঘটে। অনেক আশা নিয়ে গণতন্ত্রের নবযাত্রা হয়। ১৯৯১ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসে বিএনপি। কিন্তু উপরোক্ত ত্রিশক্তির বিপরীতে অবস্থান হওয়ায় ক্ষমতা হারানোর ভয়ে বিএনপি সরকার কর্তৃক মাগুরা ও মিরপুরের উপনির্বাচনে সীমাহীন কারচুপি এবং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারহীন একটা নির্বাচন করার পরিণতিতে দেশ আবার রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাঙালি আবার জেগে ওঠে। বিএনপি ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। জনগণের বিজয় হয়। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদান্তে আওয়ামী লীগ সরকার শান্তিপূর্ণভাবে, কোনোরকম সংকট ছাড়াই সংবিধান মোতাবেক সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেয়। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত একসঙ্গে সরকার গঠন করে হিন্দু নিধন অভিযান, আওয়ামী লীগকে চিরতরে শেষ করার জন্য ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড আক্রমণ, রাষ্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় ধর্মান্ধ জঙ্গিগোষ্ঠীর সীমাহীন উত্থান, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের অবাধ পদচারণে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে বিএনপি সরকার কর্তৃক সর্বাত্মক সমর্থন এবং তার সূত্রে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চোরাচালান চট্টগ্রামে ধরা পড়া ইত্যাদি ঘটনার মধ্য দিয়ে ২০০৬ সালে এসে দেশে আবার রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হয়। ক্ষমতা স্থায়ী করার লক্ষ্যে বিএনপি নিজেদের পছন্দের মানুষ তখনকার প্রধান বিচারপতি কে এম হাসানকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার জন্য সংবিধান সংশোধন এবং প্রায় সোয়া কোটি ভুয়া ভোটার তৈরি করার মধ্য দিয়ে ‘সংকট’ আরও চরম আকার ধারণ করে। সেই পথ ধরে আসা ২০০৭-২০০৮ মেয়াদের তথাকথিত নিরপেক্ষ সরকার গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের প্রতিষ্ঠিত সব রাজনৈতিক দলকে বিনাশ করার কার্যক্রম শুরু করলে সংকট আরও ঘনীভূত হয়। শুরু থেকে এ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সব আক্রোশ গিয়ে পড়ে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের ওপর। কিন্তু পাকিস্তান আমলে জেল-জুলুম ও হত্যার চেষ্টায় যেমন বঙ্গবন্ধু জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠেছেন, ঠিক তেমনি প্রথমে জামায়াত-বিএনপি সরকারের হত্যাচেষ্টা এবং পরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কর্তৃক জেল-জুলুমের চেষ্টায় শেখ হাসিনা জনপ্রিয়তার শীর্ষে উঠে যান। সেই জনপ্রিয়তার জনধাক্কায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয় এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিশাল জনম্যান্ডেট নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগ পর্যন্ত যতগুলো উপনির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচন হয়েছে তা নিয়ে দেশের ভিতর অথবা দেশের বাইরের, কোনো পক্ষ থেকেই কোনো অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচন প্রতিহত করার নামে বিএনপি কর্তৃক জ্বালাও-পোড়াও এবং নিরীহ মানুষ হত্যার মধ্য দিয়ে ২০১৪-২০১৫ সময়ে দেশের অভ্যন্তরে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় সর্বদলীয় সরকার গঠনের জন্য সমঝোতার প্রস্তাব দিলে তা বিএনপি প্রত্যাখ্যান করায় রাজনীতিতে একটা অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হয়। মানুষ আবারও শঙ্কিত হয়। কিন্তু শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা, গ্রহণযোগ্যতা, রাজনৈতিক সাহস ও প্রজ্ঞা এবং ধৈর্যশীলতার ফলে বিএনপির সব অপতৎপরতা ব্যর্থ হয়ে যায়। ২০১৮ সালের নির্বাচনে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জোট গঠন বিএনপির জন্য চরম রাজনৈতিক ভুল ছিল, যে কথা তাদের সিনিয়র নেতারাই এখন স্বীকার করছেন। ১০-১২ বছর ধরে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের নামে বিএনপি ব্যাপক সহিংসতাসহ সব রকমের চেষ্টা করেছে। কিন্তু মানুষের সাড়া না পাওয়ায় তাদের সব আন্দোলনই ব্যর্থ হয়েছে। তারপর বিএনপির ডাকে যে মানুষ সাড়া দেবে, তারা কি নির্ভরশীল ও গ্রহণযোগ্য তথ্য-উপাত্ত দিয়ে বলতে পারছে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের চেয়ে বিগত সময়ে তাদের সরকারের পারফরম্যান্স ভালো ছিল। সংগত কারণেই বিএনপি এ কথা একবারও বলে না। শুধু বলে দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে। অথচ সারা বিশ্বব্যবস্থা ও দেশগুলো যেসব বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে চলে সেই বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ বড় বড় মিডিয়া হাউস এবং পণ্ডিত বিশ্লেষকরা বলছেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নতি ঘটেছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলীর তলদেশে পাতালপথ, মাতারবাড়ী ও পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর এগুলোকে রাজনৈতিক বাগ্মিতার মাধ্যমে মানুষের চোখের আড়াল করা যাবে না। বাংলাদেশের গৃহকর্মীর বাসায়ও টিভি, ফ্রিজ ও বিদ্যুৎ আছে। প্রতিটি গ্রাম পাকা রাস্তার দ্বারা সারা দেশের সঙ্গে সংযুক্ত। ইন্টারনেটের অবাধ বিস্তারে বিশ্বব্যাপী থাকা প্রবাসীরা যখন-তখন প্রত্যন্ত গ্রামে স্ত্রী, ছেলেমেয়ে, মা-বাবার সঙ্গে ভিডিওকলের মাধ্যমে শুধু কথা নয়, পরস্পরকে চাক্ষুষ দেখতে পারছে। বিশ্ব অঙ্গনে বাংলাদেশ আজ দারিদ্র্য বিমোচনের উদহারণ। সুষ্ঠু নির্বাচনে কোনো আশা না থাকার কারণেই জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপি ও তার মিত্ররা আবার একটা রাজনৈতিক সংকট তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু আমার ধারণা, বিএনপির সামনে কোনো পথ খোলা নেই, তাদের নির্বাচনে আসতেই হবে। আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ভূরাজনীতির যে সমীকরণ ও বাস্তবতা তাতে কোনো মুরব্বির কাছে বিএনপি ধরনা দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ও শেখ হাসিনাকে কাবু করবে তার আশঙ্কা একটুও নেই। তবে গাজীপুরে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে এবং বরিশালে জয় পেলেও সেখানে মধ্য পর্যায়ের নেতাদের মধ্যে যে রকম অনৈক্য ও বিশৃঙ্খলা দেখা গেছে তা আওয়ামী লীগের জন্য ভালো লক্ষণ নয়। গত ১৪ বছরে ক্ষমতার লোভে যেসব বহিরাগত দলে ঢুকেছে তারাই হতে পারে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বড় শত্রু। তবে তৃণমূলের নিঃস্বার্থ ও নিবেদিত নেতা-কর্মীরাই আওয়ামী লীগের ভরসা। বঙ্গবন্ধুর মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি দলের নেতা-কর্মী এবং জনগণের প্রবল আস্থা ও বিশ্বাস আওয়ামী লীগের বড় শক্তি ও সম্পদ। সংকট আগেও ছিল, আগামীতেও আসতে পারে। তবে আগের মতোই বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাঙালি সংস্কৃতির সহজাত শক্তির বলে এবং শেখ হাসিনার অদম্য নেতৃত্বে সব সংকট জয় করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে এটাই সবার প্রত্যাশা।

লেখক : রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক

[email protected]

সর্বশেষ খবর