বুধবার, ২৮ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

গণতন্ত্রই রুখতে পারে অপশক্তিকে

মহিউদ্দিন খান মোহন

গণতন্ত্রই রুখতে পারে অপশক্তিকে

অপশক্তি বলতে আমরা কী বুঝি? অপশক্তি হলো শুভশক্তির বিপরীত। আর রাজনৈতিক পরিভাষায় অপশক্তি হলো সে শক্তি, যারা জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছার বিপরীতে আবির্ভূত হয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নেয় বা রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। অবশ্য আমাদের পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক দল ও এগুলোর নেতারা একে অপরকে ‘অপশক্তি’ বলে আখ্যায়িত করতে দ্বিধা করেন না। ফলে আমজনতা অনেক সময় দ্বন্দ্বে পড়ে যায়, কে আসলে অপশক্তি? বিশেষ করে যখন উদ্বুত রাজনৈতিক সংকটের ঘোলাপানিতে অজ্ঞাত কোনো অপশক্তির হাতে দেশের রাষ্ট্রক্ষমতার মাছ শিকারের আশঙ্কার কথা বলা হয়, তখন সংগত কারণেই তা জনমনে শঙ্কার সৃষ্টি হয়। কেননা, কোনো অপশক্তির হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা যাক এটা গণতন্ত্রপ্রিয় কারও কাম্য হতে পারে না। ফলে জনগণের প্রত্যাশা হলো, অপশক্তির হাতে দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা যাতে না যায় সেজন্য সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। সম্প্রতি জনগণের এই মনের কথাটিই ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত ৩ মে গণমাধ্যমে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় যথাসময়ে আগামী নির্বাচন হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করে অগণতান্ত্রিক অপশক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না।’ ওবায়দুল কাদেরের বিবৃতিটি পরদিন অর্থাৎ ৪ মে দেশের সব পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর এ বক্তব্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর সংগত কারণেই সচেতন মহলে যে প্রশ্নটি বড় হয়ে দেখা দিয়েছে, হঠাৎ করে তিনি অপশক্তির হাতে রাষ্ট্রক্ষমতা চলে যাওয়ার শঙ্কা ব্যক্ত করলেন কেন? পত্রিকায় ওবায়দুল কাদের সাহেবের বক্তব্য পাঠান্তে এক বন্ধু ফোন করে এর মর্মার্থ কী জানতে চাইলেন। তাকে আমি সেই পুরনো গল্পটিই শুনিয়ে দিলাম। গল্পটি এরকম- ‘এক অঞ্চলের মানুষ তাল চিনত না, খাওয়া তো দূরের কথা। নদীর অন্য পারে দূরের এক গ্রামে আবার তালের প্রচলন ছিল। তো একটি কাকপাকা তালের একটি আঁটি এনে এপারে ফেলল। মাঠে কাজ করছিল এক কৃষক। সে তালের আঁটিটি দেখে বিস্মিত। এমন জিনিস তো বাপের জন্মেও দেখেনি! আঁটিওয়ালা রসালো বস্তুটি হাতে নিয়ে একটু চেখে দেখল স্বাদ মিষ্টি। সে গ্রামের সবাইকে জিনিসটি দেখাল। কিন্তু কেউ-ই তা চিনতে পারল না। অবশেষে সবাই মিলে সে গ্রামের সবচেয়ে বুদ্ধিমান ব্যক্তি নিমাই পণ্ডিতের কাছে নিয়ে গেল। পণ্ডিত জিনিসটি দেখে প্রথমে হেসে দিলেন, তারপর কেঁদে ফেললেন এবং সবশেষে গম্ভীর হয়ে বসে থাকলেন। গ্রামবাসী মুখ চাওয়াচাওয়ি করে পণ্ডিতকে বলল, পণ্ডিত মশাই আপনি প্রথম হাসলেন কেন? পণ্ডিত বললেন, হাসলাম এ জন্য যে, তোরা কত বোকা! এই সাধারণ জিনিসটা চিনতে পারছিস না। গ্রামবাসী প্রশ্ন করল, কিন্তু কাঁদলেন কেন? পণ্ডিত মুখে বেদনার ছায়া ফেলে বললেন, কাঁদলাম এটা ভেবে যে, আমি মারা গেলে তোদের কী অবস্থা হবে? সমস্যা-সংকটে তোরা কার কাছে যাবি? এবার গ্রামবাসী পণ্ডিতকে জিজ্ঞেস করল, তাহলে পরে গম্ভীর হয়ে থাকলেন কেন? একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে পণ্ডিত বললেন, গম্ভীর হয়ে গেলাম, কারণ জিনিসটা যে কী তা আমি নিজেও বুঝতে পারছি না’। গল্পটি এখানেই শেষ। গল্প শুনে বন্ধু সখেদে বললেন, তোর মতো বোকা পণ্ডিতের কাছে পয়সা খরচ করে ফোন করাই বৃথা।

বন্ধুর ঝাড়ি খেয়ে ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথার তাৎপর্য অনুধাবনের চেষ্টা করলাম। পর্যালোচনার সুবিধার্থে তাঁর বক্তব্যকে আমরা দুই ভাগে ভাগ করে নিতে পারি। এক. সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে যথাসময়ে আগামী নির্বাচন করতে হবে। দুই. গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করে অগণতান্ত্রিক অপশক্তির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এ দেশের জনগণ মেনে নেবে না। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের প্রথম অংশ নিয়ে কারও কোনো দ্বিমত থাকার কথা নয়। কেননা, একটি রাষ্ট্র পরিচালিত হয় সংবিধান দ্বারা। সুতরাং নির্বাচনও সাংবিধানিক রীতি ও আইনের আওতায় অনুষ্ঠিত হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দ্বিতীয় অংশ নিয়েই সৃষ্টি হয়েছে বিভ্রান্তির ধোঁয়াশা। ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথায় মনে হতে পারে কেউ বা কোনো চক্র হয়তো দেশের রাষ্ট্রক্ষমতা কোনো অগণতান্ত্রিক শক্তির হাতে তুলে দেওয়ার চক্রান্ত করছে। কিন্তু সেটা কি বর্তমান পরিস্থিতিতে আদৌ সম্ভব? দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় একটি ‘নির্বাচিত’ সরকার। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পরে এ সরকার পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। তা না করে কারা ক্ষমতা অগণতান্ত্রিক শক্তির হাতে হস্তান্তর করবে? তাহলে কি পর্দার আড়ালে এমন কোনো ‘শক্তিধর’ শক্তির অস্তিত্ব আছে, যারা ইচ্ছা করলেই বাংলাদেশের শাসন ক্ষমতা অগণতান্ত্রিক শক্তির হাতে সোপর্দ করতে পারে? প্রশ্নটা মামুলি মনে হলেও এর গূঢ়তা নিয়ে হেলাফেলার সুযোগ নেই। কারণ স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকবার আমরা অগণতান্ত্রিক শক্তির দ্বারা শাসিত হয়েছি। আর গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর ব্যর্থতা, অনৈক্য, অপরিণামদর্শিতা ও একগুয়েমির কারণে অগণতান্ত্রিক শক্তির আবির্ভাব হয়েছিল।

আমাদের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা কখনোই সাবলীল ছিল না। নানা কারণে আমরা গণতন্ত্রকে তার স্বাভাবিক অবয়ব দিতে পারিনি। গণতন্ত্রের সূর্যটি মাঝে মাঝে ঢাকা পড়েছে অশুভ মেঘের আড়ালে। পাকিস্তানি স্বৈরশাসনের কবল থেকে একটি সশস্ত্র যুদ্ধর মাধ্যমে আমরা দেশকে স্বাধীন করতে সক্ষম হলেও গণতন্ত্রকে বাধাহীন করতে পারিনি। এ ব্যর্থতা কার বা কাদের সে বিচারের অবকাশ এখানে কম। স্বাধীন বাংলাদেশেও গণতন্ত্র ফিরে পেতে আমাদের প্রায় এক দশক রাজপথে সংগ্রাম করতে হয়েছে। ১৯৯০-এ স্বৈরশাসক এরশাদের পতনের পর গণতন্ত্রের দ্বার অর্গলমুক্ত হলেও অবারিত হয়নি শেষ পর্যন্ত। এই না হওয়ার জন্য গণতন্ত্রের অংশীজন অর্থাৎ জনগণের কোনো দায় নেই। সব দায় আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের। তারা দলীয় সংকীর্ণতা পরিহার করে জাতীয় স্বার্থে দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত করতে ব্যর্থ হওয়ায় গণতন্ত্র হোঁচট খেয়েছে বারবার। আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্বের একটি বড় নেতিবাচক দিক হলো, তারা একবার রাষ্ট্রক্ষমতায় আরোহণ করলে আর ত্যাগ করতে চান না। তারা যেন ভুলে যান, জনগণের ইচ্ছায় তারা ক্ষমতাসীন হয়েছেন, আবার জনগণ ইচ্ছা করলে তাদের ক্ষমতার বাইরে পাঠানোর ক্ষমতা এবং অধিকার রাখে। যদিও তারা মুখে বলে থাকেন জনগণই ক্ষমতার উৎস। তবে অন্তরে তা কতখানি বিশ্বাস করেন তা বিশ্বাস করা কঠিন।

একটি রাজনৈতিক দল চিরদিন একটি দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকবে বা থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বিশ্বের উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর দিকে তাকালে এটা মনে হবে, সেসব দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতাসীন হওয়ার পরই যেন ক্ষমতা ত্যাগের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকে। তারা জানে ক্ষমতা চিরস্থায়ী কোনো বন্দোবস্ত নয়। এটা জনগণের ম্যান্ডেটের ওপর নির্ভরশীল। জনগণ যতদিন চাইবে একটি দল ততদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে পারবে। এ উপলব্ধিই তাদের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলে। ফলে তারা নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার পথে কোনোরকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির কথা চিন্তা করে না। কিন্তু আমাদের দেশের চিত্রটি ভিন্ন। এখানে রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতাসীন হওয়ার পরই ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত হয়ে পড়ে। কসরৎ করতে থাকে কীভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়। তারই ধারাবাহিকতায় কীভাবে নির্বাচনকে পক্ষপাতদুষ্ট করে গণরায়ের বাতাবরণে পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসা যায় তার উপায় উদ্ভাবনে তারা মনোনিবেশ করেন। ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরে রাখার এই মানসিকতা থেকেই সব বিপত্তির উৎপত্তি।

গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় এক দল সরকারে আসবে আরেক দল বিদায় নেবে এটাই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। জনগণের রায় পেতে ব্যর্থ হলে একটি দল হাসিমুখে বিরোধী আসনে বসবে এটাই প্রত্যাশিত। আর ভোটে হেরে যাওয়া মানেই চিরবিদায় নয়। হেরে যাওয়া মানেই জয়ী হয়ে ফিরে আসার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাওয়া। কিন্তু আমাদের দেশের ক্ষমতাসীন সরকারগুলোর আচরণ-অভিব্যক্তিতে এটা মনে হয় তারা যেন ক্ষমতা ছেড়ে দিতে ভয় পায়। একবার ক্ষমতা হাতছাড়া হলে আর যেন তা ফিরে আসবে না। কিন্তু কেন এই ভয়? গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এ ধরনের ভয় তো থাকার কথা নয়। অবস্থাদৃষ্টে মনে হওয়াটা স্বাভাবিক, ক্ষমতাসীনরা ভাবেন তারা ‘ক্ষমতার বাঘের পিঠে’ চড়ে বসেছেন, সেখান থেকে নামলেই সোজা যেতে হবে বাঘের পেটে। অথচ এমনটি ঘটার কথা নয়। তবে ক্ষমতায় থাকতে যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করেন, প্রতিপক্ষের ওপর জুলুম-নির্যাতনের স্টিম রোলার চালান, তাদের মনে এ ধরনের ভীতি সৃষ্টি হওয়া অস্বাভাবিক নয়। আর এই ভীতি থেকেই যে কোনো উপায়ে ক্ষমতাকে ধরে রাখার প্রয়াসে লিপ্ত হন তারা।

আমাদের জাতীয় জীবনের একটি বড় ট্র্যাজেডি হলো, আমরা এখনো অবধি গণতন্ত্রকে পাকাপোক্ত আসনে বসাতে পারিনি। কেন পারিনি তা ব্যাখ্যা করে বলা নিষ্প্রয়োজন। রাষ্ট্রক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার যে উদগ্র বাসনা রাজনৈতিক দল বা নেতৃত্বের অন্তরে কাজ করে, সেটাই গণতন্ত্রকে বারবার বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেয়। ফলে সময়ে সময়ে গণতন্ত্রের বেঁচে থাকা নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা, এক ধরনের শঙ্কা আমাদের ঘিরে ধরে। সবচেয়ে নির্মম সত্যি হলো, যখনই কোনো অগণতান্ত্রিক শক্তি আমাদের ওপর চেপে বসেছে, তাদের সাহায্য-সমর্থনকারী ও তল্পীবাহকের অভাব হয়নি। আর গণতন্ত্রের পথচলার পথে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হলো একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন পদ্ধতির স্থায়ী অবকাঠামো গড়ে তুলতে না পারা। নব্বইয়ে স্বৈরশাসনের পতনের পরে সে সুযোগ আমাদের এসেছিল। রাজনৈতিক নেতৃত্ব একমত হয়েছিল দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পদ্ধতি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে। অনেক ঘটনা-দুর্ঘটনার পরে ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সে পদ্ধতি; নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু তাও আমরা হারিয়ে ফেলেছি। এখন যে যত কথাই বলুন না কেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের নিশ্চয়তা ছিল। পরপর তিনটি নির্বাচন তার প্রমাণ। কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন ‘সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক’- এ যুক্তিতে তা বাতিল করা হয়। অথচ এ সমস্যা অতি সহজেই সমাধান করা যেত। প্রয়োজন ছিল রাজনৈতিক নেতৃত্বের সদিচ্ছা এবং ঐকমত্য। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব সে সদিচ্ছা দেখাতে পারেননি। আর তার ফলে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে এক ধরনের সংশয়, শঙ্কা, অনিশ্চয়তা আমাদের উদ্বিগ্ন করে তোলে।

ওবায়দুল কাদের ঠিক বলেছেন। কোনো অগণতান্ত্রিক অপশক্তি আবার আমাদের গণতন্ত্রকে বিপর্যস্ত করুক এটা দেশবাসী মেনে নেবে না, কেউ চায়ও না। কোনো রাজনৈতিক দলেরও তা কাম্য হতে পারে না। একটি দেশের গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা টিকে থাকা নির্ভর করে সে দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের উদারতা ও সহনশীলতার ওপর। আর রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হন, তাহলে কখনোই কোনো অপশক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে না।

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

সর্বশেষ খবর