রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

দেশি পশুতেই কোরবানি

চামড়ার দামে ধস নামিয়েছে মুনাফাখোরেরা

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রায় শতভাগ দেশি গবাদি পশু দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে এবারের ঈদুল আজহার কোরবানি। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য, ঈদুল আজহায় চলতি বছর সারা দেশে মোট ১ কোটি ৪১ হাজার ৮১২টি গবাদি পশু কোরবানি হয়েছে। গত বছর সারা দেশে কোরবানি দেওয়া গবাদি পশুর সংখ্যা ছিল ৯৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৩। গত বছরের তুলনায় এবার ৯১ হাজার ৪৯টি গবাদি পশু বেশি কোরবানি হয়েছে। আর ২০২১ সালে এ সংখ্যা ছিল ৯০ লাখ ৯৩ হাজার ২৪২। এ বছর সবচেয়ে বেশি পশু কোরবানি হয়েছে ঢাকা বিভাগে এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী এর পরিমাণ ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১৮৪, চট্টগ্রাম বিভাগে ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৭৭টি, রাজশাহী বিভাগে ২১ লাখ ৩২ হাজার ৪৬৯টি, খুলনা বিভাগে ৯ লাখ ৪৯ হাজার ৫৮১টি, বরিশাল বিভাগে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৬৭৩টি, সিলেট বিভাগে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৩৯টি, রংপুর বিভাগে ১১ লাখ ৪৯ হাজার ১৮৭টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৯০২টি গবাদি পশু কোরবানি হয়েছে। কোরবানি হওয়া গবাদি পশুর মধ্যে ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ৬০টি গরু, ১ লাখ ৭ হাজার ৮৭৫টি মহিষ, ৪৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩২৮টি ছাগল, ৫ লাখ ২ হাজার ৩০৭টি ভেড়া এবং ১ হাজার ২৪২টি অন্যান্য পশু রয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য-উপাত্তের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ থাকলেও স্বীকার করতে হবে, পশুর হাটগুলোয় চাহিদার বিপরীতে পশুর সংখ্যা ছিল পর্যাপ্ত। তবে দাম ছিল দেশের সিংহভাগ মানুষের ক্রয়সীমার বাইরে। দুই প্রতিবেশী দেশের তুলনায় গড়ে তিন গুণ দাম হওয়ায় গরু, ছাগল, মহিষ, মেষ পালন অতি মুনাফার ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। যে কারণে অনেকে বাড়তি মুনাফার লোভে পশুপালনে উৎসাহী হচ্ছে। ঈদে কোরবানির পশু বিদেশ থেকে আমদানি না হওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় রোধকে সাফল্য বলে বিবেচনা করা যায়। তবে চামড়ার দামে ধস নামিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে মাদরাসা ও এতিমখানার মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে। ট্যানারি মালিকদের অশুভ জোট শত শত কোটি টাকা বাড়তি মুনাফা করেছে চামড়ার দামে ধস নামিয়ে। কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দিলে এ লুটেরা কর্মকান্ড রোধ করা যেত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর