রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

দেশজুড়ে ভারী বর্ষণ

খরার পর বৃষ্টির উৎসব

আষাঢ় বৃষ্টির মাস। এ মাসে বৃষ্টি হবে এটাই স্বাভাবিক। দীর্ঘ খরার পর এ বছর বর্ষা মৌসুম এসেছে কিছুটা দেরিতে। তবে মাঝ আষাঢ়ে সারা দেশ মুখরিত হচ্ছে বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আট বিভাগেই চলমান বৃষ্টিপাত কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৩৯, নেত্রকোনায় ১০৫, নিকলীতে ১০৩ ও তেঁতুলিয়ায় ১০০ মিলিমিটার সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় বৃহস্পতিবার সকালে বৃষ্টির কারণে ঈদের জামাত বিঘ্নিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে বৃষ্টি না হলেও দুপুরের পর বৃষ্টি শুরু হয়। আবহাওয়া অফিসের ভাষ্য, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে। রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গা এবং খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় কয়েক দিন ধরে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ বছর আষাঢ় শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে অন্য বছরের চেয়ে অনেক কম। তীব্র খরায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শাকসবজির আবাদ। খরায় মরিচ উৎপাদন দীর্ঘ অর্ধশতাব্দীর মধ্যে সর্বনিম্নে পৌঁছেছে। যে কারণে কাঁচা মরিচ আমদানি করতে হয়েছে ভারত থেকে। এ আমদানির পরও মরিচ বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা কেজিতে। দেরিতে বর্ষা মৌসুম শুরু হলেও এ মুহূর্তের বিবেচনায় মনে হচ্ছে এ বছর ভারী বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে আসা ঢলে দেশে বন্যা ছোবল হানতে পারে। এ ব্যাপারে এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আবহাওয়ায় অশুভ পরিবর্তন অনিবার্য হয়ে উঠছে। খরা ও অতিবৃষ্টির কারণে ভোগান্তির মুখে পড়ছে মানুষ। এ অবস্থায় সবাইকে পরিবর্তনশীল আবহাওয়ার সঙ্গে সংগতি রেখে চলার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর