শিরোনাম
সোমবার, ৩ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

রহস্য পুরুষের বিদায় ও রহস্য দলের উদয়

মেজর নাসির উদ্দিন আহাম্মেদ (অব.) পিএইচডি

রহস্য পুরুষের বিদায় ও রহস্য দলের উদয়

রোদ, বৃষ্টি, মেঘ, ঝড় ও বজ্রপাতের মধ্যে প্রকৃতিতে বহমান রহস্যময় আবহাওয়া। দেশ-বিদেশ ও আঞ্চলিক রাজনীতিতেও চলছে রহস্যময় সময়। শিষ্টাচার ভঙ্গ করে রাজনৈতিক কুশীলবদের মতো রহস্যময় আচরণ করছেন একশ্রেণির কূটনীতিবিদ। দেশের অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা নিয়েও রহস্যময় আলোচনা ও কানাঘুষা বিরাজমান। এমনি ধরনের একাধিক রহস্যের সময়েই চলে গেলেন দেশের রাজনীতির ‘রহস্যময় পুরুষ’ নামে খ্যাত ও রাজনৈতিক পরিবর্তনের তাত্ত্বিক গুরু সিরাজুল আলম খান। গত ৯ জুন ২০২৩, শুক্রবার, রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার্ধক্যজনিত নানাবিধ শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত সিরাজুল আলম খান ওরফে দাদাভাই ৮২ বছর বয়সে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও চূড়ান্ত বিজয় যে কজন মানুষের কাছে বিশেষভাবে ঋণী, সিরাজুল আলম খান তাঁদেরই একজন। দেশীয় রাজনীতির এ তাত্ত্বিক গুরুর হাত ধরে একদা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের ঝান্ডা উড়িয়েছিলেন বাম ঘরানার বহু রাজনীতিবিদ। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডসহ বহু রাজনৈতিক বাঁক অতিক্রম ও রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের নেপথ্যে তাঁর ভূমিকা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়। তবে এসব ঘটনা, দুর্ঘটনা ও কিছু মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের পেছনে তাঁর প্রকৃত অবদান বা সম্পৃক্ততা নিয়ে রহস্যের কূলকিনারা আজও হয়নি, হয়তো হবেও না কোনো দিন। যে দেশের মুক্তির জন্য তিনি জীবনবাজি রেখেছেন সে দেশেই পলাতক জীবনযাপন করেছেন বহুদিন। তারপরও আশির দশকে স্বাধীন দেশে তিনি জেলে ছিলেন। এবার জগৎ নামের জেল থেকেই চিরতরে ছাড়া পেলেন একজন সিরাজুল আলম খান, যার আত্মার শান্তি চিরদিন কামনা করবে স্বাধীনতার ইতিহাস জানা মানুষ।

দীর্ঘ এক দশক পর সরকারের অনুমতি নিয়েই খোদ রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে সমাবেশ করল দেশীয় রাজনীতির রহস্যময় দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল ৫ জুন। তবে ৫ জুনের সমাবেশের অনুমতি লাভের প্রত্যাশায় আবেদনপত্র নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ের সামনে গেলে আটক করা হয় জামায়াতের তিন নেতাকে। পেশায় আইনজীবী এ তিন নেতাকে কোন কারণে সসম্মানে মুক্তি দেওয়া হলো সেই রহস্য জানা যায়নি। এরই মধ্যে সরকারি অনুমতি নিয়ে ৫ তারিখের বদলে ১০ তারিখে স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জনাকীর্ণ এ সমাবেশ হয়। জামায়াতের শত সহস্র নেতা-কর্মী এদিন মিলনায়তন ছাড়িয়ে আশপাশের সব রাস্তা ও খোলা জায়গায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেয়, নেতাদের আবেগময় বক্তব্য শুনে আপ্লুত হয় ও দিকনির্দেশনা নিয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরে। পথে পুলিশকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর ভিডিও পাওয়া যায় ইউটিউবের কল্যাণে। জামায়াতের নেতা-কর্মীর সংখ্যা এবং জনসমর্থনের ব্যাপ্তি নিয়ে রহস্য রয়েছে। আরও রহস্য রয়েছে জামায়াতের কয়জনের বিরুদ্ধে কয়টি মামলা রয়েছে সেই পরিসংখ্যান নিয়েও। কদিন আগেও কোনো রেস্তোরাঁয় একসঙ্গে খেতে বসলে এমনকি সামাজিক অনুষ্ঠানের নামে সমবেত হলেও নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনার অজুহাতে তাদের গ্রেফতার করা হতো। অথচ এত বড় সমাবেশ ও রাজপথে অবস্থানের পরও জামায়াতের কাউকে গ্রেফতার বা হয়রানি করার অভিযোগ ওঠেনি। ছিপি খুলে বোতলবন্দি জিন বা ভূত ছেড়ে দেওয়ার মতো নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিল হওয়া জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়া এবং সভা, সমাবেশ ও রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি কিংবা উৎসাহ দেওয়ার নেপথ্যের কারণ নিয়ে রহস্য ক্রমেই ঘনীভূত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল হলেও জামায়াত কোনো নিষিদ্ধ দল নয়। এ সংক্রান্ত একটি মামলাও বর্তমানে উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। দীর্ঘদিনেও এ মামলার নিষ্পত্তি হয়নি রহস্যময় কারণে। দেশে নিবন্ধনবিহীন শতাধিক দলের অফিস আছে, যেখানে নিয়মিত যাতায়াত করেন নেতা-কর্মীরা। অথচ জামায়াতের অফিসে রয়েছে তালা ঝোলানো। প্রশাসন ১০ বছর পর জামাই আদরে সমাবেশ করার অনুমতি ও সুব্যবস্থা করে দেওয়ার কারণে জামায়াত আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারে এ ধারণা জোরদার হয়ে উঠেছে। দলের মর্যাদা দেওয়ার পথেই সরকার হাঁটছে বলে ধারণা করছেন কেউ কেউ। আবার নতুন নামে দলীয় কিংবা স্বতন্ত্রভাবে জামায়াতের কিছু নেতাকে নির্বাচনে নামানো এবং সেসব আসনে আওয়ামী লীগ বা তাদের জোটের দুর্বল প্রার্থী দিয়ে তাদের সংসদে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলেও গুঞ্জন রয়েছে। এমন সুযোগ জামায়াত লুফে নেবে বলেই ধারণা। অন্যদিকে এর ফলে আওয়ামী লীগ পরমত ও বিরোধী মতবাদ সহিষ্ণু রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম হিসেবে নিজেদের উপস্থাপনের সুযোগ পাবে বিধায় এমনটি ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। জামায়াতকে এমন সুযোগ দেওয়ার নেপথ্যে আওয়ামী লীগ বিদেশি চাপকে চিহ্নিত করার সুযোগ পাবে, যা জনমনে অনেকটাই গ্রহণযোগ্যতা পাবে। তবে আওয়ামী লীগ এ ধরনের গালগল্প নাকচ করে দিয়েছে। অন্যদিকে অবস্থা বুঝে নতুন নামে জামায়াত বা তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে হাত মেলাতে পারে বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টিও। জামায়াতের নেতাদের বিচার ও ফাঁসিজনিত আবেগের কারণে জামায়াতও বিএনপি কিংবা জাতীয় পার্টির পথে হাঁটতে পারে। সব মিলিয়ে বলা যায়, জামায়াতের সাম্প্রতিক পুনরুত্থান রহস্যজনক। ঠিক এ সময়ে দলটির এমন পুনরুত্থানের নেপথ্য রহস্য জানতে ভবিষ্যতের অপেক্ষায় থাকতে হবে।

বাংলাদেশে প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে আগে রহস্যময় কিছু দলের উত্থান বা পুনরুত্থান এবং নিত্যনতুন জোটের উৎপত্তি ও সম্প্রসারণ রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। বিশেষত বিগত কয়েকটি সংসদ নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরানোর প্রবণতা ছিল লক্ষ্য করার মতো। মাত্র কিছুদিন আগে বিএনপির পাঁচজন সংসদ সদস্য পদত্যাগ করেন। তাদেরই একজন বিএনপি থেকে ইস্তফা দিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিজ নির্বাচনী এলাকায় উপনির্বাচনে আবারও অংশগ্রহণ করেন এবং বলা যায় ক্ষমতাসীনদের কল্যাণে জয়লাভ করেন। তখন থেকেই জোর গুঞ্জন ওঠে যে বিএনপি পরবর্তী নির্বাচনে না এলে তাদের বি-টিম নির্বাচনে আসবে এবং তারা কয়েকটি আসনও লাভ করবে। ইতোমধ্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও উপদেষ্টা সিনিয়র সাংবাদিক শওকত মাহমুদ ‘জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটি’ নামে নতুন দল গঠন এবং রাজপথ ও প্রেস ক্লাব এলাকায় শোডাউন করেছেন। ফলে তাকে বহিষ্কার করে বিএনপি। ইদানীং শওকত মাহমুদ ও তার দলের তৎপরতার নেপথ্য রহস্যের সন্ধান করছেন কেউ কেউ। বিএনপিতে এক সময় উজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছিলেন একঝাঁক প্রাক্তন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী কর্মকর্তা। তাদের অনেকেই সেনাজীবনে গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুবাদে নানাবিধ রহস্যের সমাধান করেছেন। আজ তাদের অনেককে নিয়েই রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। তাদের আঁতুড় ঘরে জন্ম নিয়েছে নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট’ (বিএনএম)। তারা জাতীয়তাবাদ এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে চান, তবে রহস্যময় কারণে বর্তমান বিএনপির নেতৃত্বে নয়, পৃথক সত্তায়।

অতীতে পীর-মাশায়েখরা সবাইকে ধর্মের পথে ডাকতেন। তাদের অলৌকিক ক্ষমতা ছিল বলে বিশ্বাস করা হতো এবং কোনো কোনো মাজার বা আস্তানা নিয়ে রহস্যও ছিল। আজ পীরেরা মানুষকে রাজনীতির পথে ডাকেন এবং কখন কাকে কী সুবিধা দিতে এ ডাক দেন তা নিয়েই যত রহস্য। এমনই একজন পীরের দল জাকের পার্টি বার্ষিক সম্মেলনের নামে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্প্রতি ব্যাপক জনসমাবেশ ঘটিয়েছে। অন্যদিকে ‘যত গর্জে তত বর্ষে না’ প্রবাদের বাস্তবতা দেখা যায় চরমোনাইয়ের ভক্ত ও অনুসারীদের মধ্যে। তাদের পীর মুফতি মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীমের নেতৃত্বাধীন দলের নাম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আর দলটির প্রতীক হলো- হাতপাখা। এ হাতপাখা গরমের দিনে শীতল বাতাসের জন্য ব্যবহৃত হওয়ার কথা। বাস্তবে প্রায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হতে যাওয়া উপনির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলটি মাঠে নেমেছে এবং ব্যবহার করছে তাদের দলীয় প্রতীক হাতপাখা। তবে তারা নিজেরা মাঠে নেমেছে না তাদের নামানো হয়েছে- সে রহস্য রয়েই গেল। আরেক ইসলামী দল হেফাজতে ইসলামের নীরবতা নিয়েও রহস্য ঘুরপাক খাচ্ছে। সব দল যখন নির্বাচনমুখী নানা তৎপরতায় ব্যস্ত তখন হেফাজতে ইসলাম দূরে বসে কার সঙ্গে কী হিসাব করছে বা ভবিষ্যতে কী করবে এ রহস্যময়তা ভাবাচ্ছে সচেতন মহলকে।

’৯০-এ ক্ষমতা হারানোর পর থেকে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাণপুরুষ প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কার্যকলাপ আগাগোড়াই ছিল রহস্যাবৃত। তিনি নিজ মুখেই বলেছিলেন, ‘আমি স্বাধীন নই, আমি শৃঙ্খলিত।’ তিনি সকাল-বিকাল তার কথা, মত বা সমর্থন পরিবর্তন করতেন কোনো এক রহস্যপুরীর সুতার টানে। আজ ৩৩ বছর পর তারা হা-হুতাশ করে বলতেই পারে ‘কেউ কথা রাখেনি, ৩৩ বছর কাটল, কেউ কথা রাখেনি।’ তাই বলা যায় জাতীয় পার্টি আদতে কখন কী চায় তা নিয়ে বরাবর রহস্য ছিল এবং এখনো আছে। এ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে ব্যক্তিগত সুবিধা আদায় ও অতীতের মতো লোক দেখানো ও আজ্ঞাবহ বিরোধী দল সৃষ্টির জন্য তাদের সংসদীয় নেতা রওশন এরশাদ, তার পুত্র ও অনুসারীরা প্রস্তুতি নিয়েই রেখেছেন বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। তবে একের পর এক রহস্য জন্ম দিচ্ছেন দলের আরেক অংশের নেতা ও দলটির বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও তার অনুসারীরা। তিনি ঘন ঘন বিদেশি দূতাবাসে আমন্ত্রণ পাচ্ছেন এবং বর্তমান সরকারের জন্য অস্বস্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন। সরকারবিরোধী এসব বক্তব্য তার নিজ উপলব্ধিজনিত নাকি বিদেশিদের শেখানো, নাকি নির্বাচনে যাওয়ার আগে নিজ ও দলীয় সুবিধা আদায়ের কৌশল- এ নিয়েও রহস্য ঘুরপাক খাচ্ছে।

রহস্য নামের ভূত ভর করেছে ‘গণ অধিকার পরিষদ’ নামের নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফরমেও। জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দলের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া ও সদস্যসচিব নুরুল হক নূরের দ্বন্দ্বে টালমাটাল গণ অধিকার পরিষদ। ২০ জুন ২০২৩ তারিখে নুরুল হক নূর ও যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন রেজা কিবরিয়া। আর রেজা কিবরিয়াকেও সাময়িক অব্যাহতি দিয়েছেন নূরের অনুসারীরা। তাদের মতে, রেজা কিবরিয়া আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর এজেন্ট এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিএনপি ভাঙার মিশনে থাইল্যান্ড ষড়যন্ত্রে জড়িত। সম্প্রতি ড. রেজা কিবরিয়ার বাসার ছাদে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়ার আলোচিত-সমালোচিত ইনসাফ কমিটির মিটিংয়ে যাওয়া ও সদস্যসচিব নুরুল হক নূরের ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের কথিত সদস্য মেন্দি সাফাদির সঙ্গে দেখা করার কারণ ও ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। এতে উত্তেজনা দেখা দিলে সভার সভাপতি রেজা কিবরিয়া সভাস্থল ত্যাগ করেন এবং সঞ্চালক সভা মুলতবি ঘোষণা করেন। রেজা ও নূর পরস্পরের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগও করেছেন। নূরের অপর এক বক্তব্য মোতাবেক রেজা কিবরিয়া নেপাল ও থাইল্যান্ডে মাসুদ করিম ও এনায়েত করিম নামের দুজন বাংলাদেশি গোয়েন্দা কর্মকর্তার সঙ্গে মিটিং করেছেন। এ গোয়েন্দারা রেজা কিবরিয়ার মাধ্যমে উকিল আবদুস সাত্তারের মতো নির্বাচনে আগ্রহী বিএনপি নেতাদের নিয়ে একটি পৃথক রাজনৈতিক প্ল্যাটফরম গড়ার কাজ করছে। তারুণ্যনির্ভর গণ অধিকার পরিষদের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের এমন কাদা ছোড়াছুড়ির রহস্য ভাঙতে তদন্ত করছে দলেরই আরেকটি অংশ।

চারদিকে রহস্যমানব দেখে এক রহস্যময় সময়ে কবি রফিক আজাদ তাঁর বিখ্যাত ও বিতর্কিত ‘ভাত দে হারামজাদা’ কবিতাটি লিখেছিলেন। এ কবিতারই একটি অংশ স্মরণ করে ইতি টানব- “অনেকে অনেক কিছু চেয়ে নিচ্ছে, সকলেই চায়ঃ/ বাড়ি, গাড়ি, টাকা কড়ি- কারো বা খ্যাতির লোভ আছে / আমার সামান্য দাবী পুড়ে যাচ্ছে পেটের প্রান্তর- / ভাত চাই- এই চাওয়া সরাসরি- ঠান্ডা বা গরম / সরু বা দারুণ মোটা রেশনের লাল চাল হলে / কোনো ক্ষতি নেই- মাটির শানকি ভর্তি ভাত চাইঃ”

লেখক : গবেষক, বিশ্লেষক ও কলামিস্ট

email: [email protected]

সর্বশেষ খবর