শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

হাসপাতাল বিড়ম্বনা

চোর-মহাচোরদের নিরস্ত করুন

সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের অব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো কিছু বলাই বাহুল্য। এ অব্যবস্থাপনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। দেশবাসীর ট্যাক্সের টাকায় সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। চিকিৎসাসামগ্রী কেনা হয় তাদের দেওয়া টাকায়। কিন্তু সেখানে কর্মরতদের একাংশের কারসাজিতে হাসপাতালের যন্ত্রপাতি কেনার বছর না কাটতেই এমনকি অনেক সময় মাস না ঘুরতেই অচল হয়ে যায়। বাইরের বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী পাঠানোর কমিশন খেতে অচল করে রাখা হয় হাসপাতালের যন্ত্রপাতি। অনেক সময় যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করা হয়। বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পাঁচটি যন্ত্রের তিনটিই নষ্ট। গর্ভবতী মা কিংবা জরুরি রোগীদের বসে থাকতে হচ্ছে দীর্ঘ সিরিয়ালে। জীবন বাঁচাতে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ছুটছে মানুষ। রোগী নিয়ে দৌড়াদৌড়িতে বাড়ছে ভোগান্তি, বাড়ছে খরচের বোঝা। শুধু ঢাকা মেডিকেল নয়, রাজধানী থেকে শুরু করে দেশের সব বিভাগীয়, জেলা, উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালের নিত্যচিত্র এটি। একবার যন্ত্রপাতি নষ্ট হলে আর সারানোর ব্যবস্থা হয় না। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে শত কোটি টাকার যন্ত্র নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। অনেক জায়গায় যন্ত্র কেনার পর বাক্সবন্দি অবস্থায় থেকে নষ্ট হয়ে গেছে। টেকনিশিয়ান নিয়োগ না দিয়ে পাঠানো হয় যন্ত্রপাতি। ফলে কাক্সিক্ষত সেবা পায় না রোগী। ২১ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় জানানো হয়, দেশের তিনটি প্রধান সরকারি হাসপাতালে প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যের ২৩৮টি যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। এর মধ্যে অনেক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অনুপযোগী। বলাই বাহুল্য, সরকারি হাসপাতালে যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার যে উৎসব চলে, তা ঘটে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের গাফিলতিতে। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের চোর-মহাচোরদের নিরস্ত করা জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর