মঙ্গলবার, ৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ক্যান্সার প্রতিরোধে ত্রিফলা

ক্যান্সার প্রতিরোধে ত্রিফলা

ক্যান্সারের মতো মরণ রোগের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে প্রাচীন আয়ুর্বেদকেই এবার হাতিয়ার করতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও স্টেট ইউনিভার্সিটির একদল বিজ্ঞানীর সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, ম্যালিগন্যান্ট টিউমার ছড়ানো রুখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে ত্রিফলা চূর্ণের। দীর্ঘদিন নিয়মিত ত্রিফলা চূর্ণ সেবনে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ক্যান্সার প্রতিরোধ সম্ভব বলে তাঁরা দাবি করেছেন। মরণ রোগের মোকাবিলার ক্ষেত্রে এই ত্রিশক্তির দাপটের বিষয়টি এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক সায়েন্স জার্নাল ‘পাস ওয়ান’-এ প্রকাশিত হয়েছে। ত্রিফলা অর্থাৎ আমলকী, হরীতকী, বহেড়া। কী তাদের ভূমিকা? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, দেহে নতুন রক্তজালিকা বা ক্যাপিলারি সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে বলা হয় অ্যানজিওজেনেসিস। এর থেকেই অনেকাংশে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার থাকলে তার বৃদ্ধির হার বাড়িয়ে দেয় অ্যানজিওজেনেসিস প্রক্রিয়া। চিকিৎসার পরিভাষায় যার নাম ভাস্কুলার অ্যান্ডোথেলিয়ান গ্রোথ ফ্যাক্টর। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, রক্তজালিকার ওই বৃদ্ধি শুধু ক্যান্সার নয়, রেটিনোপ্যাথি (রেটিনার ক্ষয়) ও এন্ডোমেট্রিওসিসের (মহিলাদের এক ধরনের অসুখ, যা থেকে বন্ধ্যত্বও হতে পারে) জন্যও দায়ী। ত্রিফলা এ রক্তজালিকা বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকেই রোধ করতে সাহায্য করে। সেগুলোয় অতিরিক্ত কোষ বিভাজনের ফলে টিউমার তৈরি হয়। কোষ বিভাজন যত দ্রুত হয়, তত বেশি ক্যান্সার হয়, সেগুলোয় অতিরিক্ত কোষ বিভাজনের ফলে টিউমার তৈরি হয়। কোষ বিভাজন যত দ্রুত হয়, তত বেশি ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

টিউমাররের কোষগুলোয় খাদ্য সরবরাহ করে রক্তজালিকা। তাই টিউমার যত বড় হতে থাকে, ততই সংখ্যা কোনোভাবে কমিয়ে আনা গেলে টিউমারের কোষগুলোয় রক্ত সরবরাহ কমে যায়। ফলে ওই কোষগুলো তখন আর পর্যাপ্ত অক্সিজেন ও খাদ্য পায় না। তাই একসময় ওরা মরে যায়। রক্তজালিকার বাড়বৃদ্ধি আটকে দিয়ে টিউমারের কোষগুলো মেরে ফেলার এ কাজটাই করে ত্রিফলা।

সর্বশেষ খবর