বুধবার, ৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

রপ্তানি আয় বেড়েছে

মন্দার দুঃসময়ে সুখবর

করোনার পর ইউক্রেন যুদ্ধে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বেশির ভাগ দেশের অর্থনীতি। বিশ্বমন্দার মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মন্দা মোকাবিলায় কঠিন সংগ্রামে লিপ্ত। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। স্বস্তির কথা মন্দা মোকাবিলা এবং অর্থনৈতিক ধস ঠেকানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য অনেক অগ্রসর দেশের চেয়েও ভালো। বিশ্বমন্দার দুঃসময়ে ইউরোপ-আমেরিকায় চাহিদা কমার পরও আগের তুলনায় সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে দেশের পণ্য খাতে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি করে অর্জিত আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি মার্কিন ডলারে। বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাতে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ২০৮ কোটি মার্কিন ডলার। আগের অর্থবছরের তুলনায় ৩৪৭ কোটি মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় বেড়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরের পণ্য খাতের রপ্তানি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। আগের তুলনায় রপ্তানি আয় বাড়লেও সরকার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল তা অর্জন হয়নি। প্রায় ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য পণ্য খাতে ৫৮ হাজার মার্কিন ডলার রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৪ দশমিক ২১ শতাংশ বা ২৪৫ কোটি মার্কিন ডলার রপ্তানি কম হয়েছে বিদায়ী অর্থবছরে। দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান গন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়ায় প্রত্যাশিত রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। তবে ভারত, জাপান, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলোয় পণ্য রপ্তানি বেড়েছে, যা ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সহায়তা করেছে এবং যা একটি ভালো লক্ষণ। বরাবরের মতো সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরেও সবচেয়ে বেশি রপ্তানি আয় এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে, যার পরিমাণ ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি মার্কিন ডলার। এর মধ্যে নিট গার্মেন্ট থেকে ২ হাজার ৫৭৩ কোটি মার্কিন ডলার এবং ওভেন গার্মেন্ট থেকে ২ হাজার ১২৫ কোটি মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় এসেছে। বিদায়ী অর্থবছরে দেশের মোট রপ্তানির প্রায় চার-পঞ্চমাংশই এসেছে তৈরি পোশাক খাত থেকে। বিশেষ পণ্যের ওপর দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের নির্ভরতা টেকসই অর্থনীতির স্বার্থেই এড়াতে হবে। নিতে হবে রপ্তানি বহুমুখীকরণের উদ্যোগ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর