রবিবার, ৯ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

মধুবালা, পাবনার সুচিত্রা, কুমিল্লার মীরা ও অর্থহীন লড়াই

নঈম নিজাম

মধুবালা, পাবনার সুচিত্রা, কুমিল্লার মীরা ও অর্থহীন লড়াই

জগৎ সংসার বড়ই রহস্যময়। সুখ-দুঃখকে মাড়িয়ে আমাদের পথ চলতে হয়। জীবনের চাওয়াপাওয়ার হিসাবগুলোও বড় অদ্ভুত। সব হিসাব মিলবে তারও কথা নেই। সময় পরিস্থিতি পরিবেশ অনেক কিছু বদলে দেয়। আজ যা চাওয়ার হিসাব কাল তা না-ও থাকতে পারে। রাজনীতি, সমাজ- সংস্কৃতিতে একদল মানুষ আড়ালে থাকে। আরেক দল সামনে থেকে সবকিছু সামাল দেয়। শচীনের মতো কুমিল্লার কৃতী সন্তানদের আরেকজন মীরা দেববর্মণ। তাঁর লেখা গান গেয়ে খ্যাতি পেয়েছিলেন শচীন দেববর্মণ। বিয়ের আগে নাম ছিল মীরা দাশগুপ্ত। বিয়ের সামাজিক রীতি অনুযায়ী নাম বদলে গেল। স্বামীর নাম ও বংশ যুক্ত হলো নিজের নামের সঙ্গে। এ নিয়ে তাঁর কোনো আপত্তি ছিল না। মীরা কখনো নিজের স্বীকৃতির জন্য সামনে আসেননি। লড়েছেন পুরো জীবনটাই। বড় অযত্ন, অবহেলায় শেষ জীবন কাটিয়েছিলেন, তার পরও কারও সামনে গিয়ে করেননি টুঁ শব্দ। স্বামীর পর পুত্রশোক তাঁকে তছনছ করে দিয়েছিল। নিজের সবকিছু থেকে আড়াল হয়ে গেলেন।

একটা সময় শখ ও স্বপ্ন ছিল বড় শিল্পী হওয়ার। গাইতেন, লিখতেন। কয়েকটি হিন্দি ছবিতে সহকারী সংগীত পরিচালক ছিলেন। শচীনের সঙ্গে অনেক হিন্দি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন। তার পরও মীরা দেবী লাইমলাইটে আসেননি। শচীনের গাওয়া বিখ্যাত বাংলা গানের বেশির ভাগ স্ত্রী মীরার লেখা। মীরা এ নিয়ে কখনো বড়াই করেননি। প্রচার করেননি নিজের নাম। বরং একটার পর একটা গান লিখে গেছেন। শচীনকে ভালোবেসে লিখেছিলেন, ‘শোনো গো দখিনো হাওয়া প্রেম করেছি আমি...’। একটা সময় এ গানটা সবার মুখে মুখে ছিল। সবাই শচীনকে জানল। মীরা আর সামনে এলেন না। তার পরও নিজের গানের জগৎ, স্বামী সংসার নিয়ে মীরার প্রথম জীবনটা আনন্দের ছিল, শেষটা ভয়ংকর করুণ। বৃদ্ধাশ্রমে শেষ সময়টা কাটিয়েছিলেন। হারিয়েছেন স্মৃতিশক্তিও। সেই সময়ে একবারের জন্যও কাউকে বলতে পারেননি একটু বাজিয়ে শোনাও, ‘নিটোল পায়ে রিনিক ঝিনিক, পায়েলখানি বাজে, মাদল বাজে সেই সংকেতে, শ্যামা মেয়ে নাচে’। বলতে পারেননি, ‘বর্ণে গন্ধে ছন্দে গীতিতে...’ এসব গানের ইতিহাস। দূর থেকে ছেলে আর ডি বর্মণের কণ্ঠে কোনো গান শুনলে নড়েচড়ে বসতেন। করুণ চোখে চারদিকে তাকাতেন। বৃদ্ধাশ্রমের অনেকে জানতেন না তিনি আর ডি বর্মণের মা। আশা ভোঁসলের শাশুড়ি। শচীন দেবের স্ত্রী।

মানুষের জীবনটা বড় অদ্ভুত। জীবনের কোনো কোনো অংশে যশ-খ্যাতি কোনো কিছুর গুরুত্ব থাকে না। বিখ্যাত অনেক লেখক, সাহিত্যিককে দেখেছি শেষ বয়সটাতে চুপসে যেতে। কবি নজরুল চিরতরে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন খুব কম বয়সে। অজানা কারণে, অজানা রোগে তাঁর এ স্তব্ধতা। ছেলের মৃত্যু মীরাকে ভেঙে দিয়েছিল। অথচ একটা সময় তাঁর লেখা গান হইচই ফেলত। কুমিল্লার মেয়ে হিসেবে বাংলাদেশকে ভালোবাসতেন। বোম্বে বাস করলেও ভোলেননি বাংলাকে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনন্দ তাঁকে উদ্বেলিত করেছিল। হয়তো মনে পড়েছিল ছোটবেলার স্মৃতিগুলো। আনন্দ ভাগাভাগি করতে তিনি লিখলেন। গাইলেন শচীন দেববর্মণ- ‘তাকডুম তাকডুম বাজাই, আমি তাকডুম তাকডুম বাজাই, বাংলাদেশের ঢোল। সব ভুলে যাই, তাও ভুলি না বাংলা মায়ের কোল’। তিনিই লিখেছেন, ‘কে যাস রে ভাটি গাঙ বাইয়া/ আমার ভাইধন রে কইও নাইওর নিতো বইলা’। মীরার জন্ম না হলে হয়তো এ দুটি গান আমরা পেতাম না। শচীন দরদ দিয়ে গান দুটি গেয়েছিলেন।

শচীন দেববর্মণ ও মীরার জন্ম কুমিল্লায়। তখন নাম ছিল ত্রিপুরা। সালটা ১৯২৩। মার্চে জন্ম নেওয়া মীরার দাদু ছিলেন তখনকার সময়ে ঢাকা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি। বাবা-মায়ের জীবনে অশান্তি ছিল। মীরা বড় হয়ে ওঠেন দাদুর কাছে। তারপর পড়াশোনার জন্য ছুটে যাওয়া কলকাতায়। বেড়ে ওঠেন সাউথএন্ডে। গানের প্রতি ভীষণ আগ্রহ ছিল। নাতনির সবকিছুতে সায় ছিল দাদু ও দিদার। তারা উৎসাহ জোগাতেন। বলতেন, তোকে যেতে হবে অনেক দূর। বিখ্যাত অনেক ওস্তাদের কাছে গান শিখলেন। গানের একটা গলা ছিল। শাস্ত্রীয় সংগীতের মূর্ছনায় মুগ্ধ করতেন সবাইকে। ১৯৩৭ সালে একবার সংগীত নিয়ে একটা সম্মেলনে যোগ দিলেন। সেখানে পরিচয় শচীন দেববর্মণের সঙ্গে। মীরা বললেন, আপনার মতো আমিও কুমিল্লার মেয়ে। শচীন বললেন, কুমিল্লার মেয়ে এতদূর এসেছে! আলাপ-পরিচয়ের সেই সূত্রটা বাড়তে থাকে। কলকাতা এসে বাড়তে থাকে সম্পর্কের ডালপালা। সেই সম্পর্ক গড়ায় বিয়েতে। বিয়ের পরই শচীন আর মীরার কোলজুড়ে আসেন তাঁদের একমাত্র সন্তান রাহুল। পরে যিনি খ্যাত হয়েছেন রাহুল দেববর্মণ নামে। বাবার মতো আর ডি বর্মণও ভারতবর্ষ কাঁপালেন।

ছেলের প্রতি মায়ের স্নেহটা বেশি ছিল। আশা ভোঁসলে বিয়ে করলেন আর ডি বর্মণকে। সংসারে সবকিছু ঠিক রেখেই গান করতেন, লিখতেন মীরা। কিন্তু তাঁর গায়কী অবস্থান স্বামী, সন্তান, পুত্রবধূর তুলনায় খ্যাতি পায়নি। এমনকি তাঁর লেখা, শচীনের গাওয়া বিখ্যাত গানগুলোর গীতিকার কে তা-ও অনেকে জানেন না। সব ধরনের গান লিখতেন মীরা। তাঁর লেখা ‘ও বাঁশি, ঘাটে লাগাইয়া ডিঙ্গা পান খাইয়া যাও’ আলোড়ন তুলেছিল। এ গানটি ভীষণ দরদ দিয়ে গেয়েছেন শচীন দেববর্মণ।

মীরার লেখা সব গান বাংলা গানের জগতে এখনো কিংবদন্তি হয়ে আছে। মীরার কথা কেউ জানে না। তাঁর শেষ জীবনের খবরও কেউ রাখত না। স্বামীর মৃত্যুর আঘাত মীরা সয়ে ছিলেন কষ্টে। ছেলে রাহুল দেববর্মণের মৃত্যু তাঁকে তছনছ করে দেয়। রাহুলকে হারিয়ে দিশাহারা হয়ে ওঠেন মীরা দেবী। মন ও শরীর ক্ষয়ে যেতে থাকে। ভারসাম্য হারান। এই সময়ে শুধু রাহুল দেববর্মণের গানের শব্দে চমকে উঠতেন। চারদিকে তাকাতেন ব্যাকুলতা নিয়ে। পুত্রবধূ বিখ্যাত শিল্পী আশা ভোঁসলে নিজের গানের জগৎ নিয়ে ব্যস্ত। শাশুড়িকে দেওয়ার মতো সময় কোথায়? তাই মীরা দেববর্মণের ঠাঁই হয় বৃদ্ধাশ্রমে। পুত্রবধূ গোপনে শাশুড়িকে সেখানে রেখে আসেন। বৃদ্ধাশ্রমের সাদামাটা জীবন। একবার ত্রিপুরা সরকার সিদ্ধান্ত নিল পুরস্কৃত করবেন মীরা দেবীকে। তারা মুম্বাই গেলেন। তারা বাড়িতে খুঁজে পেলেন না মীরা দেবীকে। অনেক কষ্টে বের করলেন বৃদ্ধাশ্রম। তারপর ত্রিপুরা সরকার তাঁকে হাসপাতালে পাঠায়। মীরা দেববর্মণ মারা যান ২০০৭ সালের ১৫ অক্টোবর।

মানুষের জীবনের অনেক রহস্য থাকে যার কূলকিনারা নেই। মীরা দেবীর জীবন ছিল সেরকম। মধুবালার আরেক। গানের জগতের আরেক কিংবদন্তি কিশোর কুমার বিয়ে করেছিলেন মধুবালাকে। সেই বিয়েতে তিনি কি সুখী ছিলেন? দরিদ্র পরিবারের সন্তান মমতাজ জাহানের নাম বদলে চলচ্চিত্রে হয় মধুবালা। পঞ্চাশের দশক কাঁপানো মধুবালা অনন্যসুন্দরীদের একজন। ছবি মেলাতে গেলে মধুবালা না মেরিলিন মনরো কে বেশি সুন্দরী বলা মুশকিল। মধুবালার সঙ্গে দিলীপ কুমারের অমর প্রেম দুনিয়াজুড়ে এখনো আলোচিত। ‘বড় প্রেম শুধু কাছেই টানে না, ইহা দূরেও ঠেলিয়া ফেলে।’ মধুবালার জীবনেও তাই হয়েছিল। বাবার অতিলোভের বলি হলো দিলীপ কুমার-মধুবালার প্রেম। একজন প্রযোজকের কাছ থেকে আগাম টাকা নিয়েছিলেন মধুবালার বাবা। সেই টাকা ফেরত চাইলে মধুবালার বাবা দেননি। এ নিয়ে মামলা হলো। দিলীপ কুমার সাক্ষ্য দিলেন মধুবালার বাবার বিরুদ্ধে। ব্যস, পারিবারিক বিরোধের আঘাত পড়ল প্রেমে। ঝগড়া-বিবাদের জেরে দিলীপ কুমার শর্ত দিলেন তাঁদের বিয়ে হতে হলে মধুবালাকে পরিবার ও সিনেমা ছাড়তে হবে। রাজি হলেন না মধুবালা। ভেঙে গেল সবকিছু।

পাকিস্তানের তখনকার তরুণ রাজনীতিবিদ ব্যারিস্টার জুলফিকার আলী ভুট্টোসহ আরও অনেক ঘাটের জল ঘোলার পর মধুবালার বিয়ে হয় কিশোর কুমারের সঙ্গে। বিয়ের পর লন্ডনে গিয়ে তাঁরা জানলেন জন্মগতভাবে মধুবালার হৃৎপিণ্ডে একটা ছোট ছিদ্র রয়েছে। তিনি এক বছর বাঁচবেন। তার পরও নয় বছর বেঁচে ছিলেন। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মুঘল-ই-আজমের অমর অধ্যায়ের মধুবালা চলে গেলেন। এই অল্প সময়ের জীবনে মধুবালা দুনিয়া কাঁপালেন। কিন্তু শান্তি পেলেন না। স্বস্তি পেলেন না। দিলীপ কুমারের সঙ্গে টানাপোড়েনের পর ভেঙে পড়েছিলেন। তার পরও সংসারের দায়িত্বের কারণে তাঁকে থাকতে হয়েছিল চলচ্চিত্রে। মানুষের জীবনটা এমনই। অনেক কিছু মানতে না চাইলেও মানতে হয়।

এবার আসি সুচিত্রা সেনের কথায়। পাবনার মেয়ে সুচিত্রা সেন। ঢাকার গেন্ডারিয়ার একটি সড়কের নাম দীননাথ সেন রোড। এ সড়কটি সুচিত্রার শ্বশুরের নামে। স্বামী ছিল। সংসার ছিল। বাংলা ও বোম্বাই একসঙ্গে কাঁপিয়েছেন সুচিত্রা। তাঁর চলনে-বলনে একটা স্টাইল ছিল। দেমাগ ছিল। হেঁটে গেলে মাটি কেঁপে উঠত। তছনছ হয়ে যেত চারপাশটা। এখনো হারানো সুর, শিল্পী, শাপমোচন, দীপ জেলে যাই, সাত পাকে বাঁধা, সাগরিকা, দেবদাস, আলো আমার আলো, পথে হলো দেরি, চাওয়া পাওয়ার মতো ছবি দেখে অনেকে নস্টালজিক হন। বাংলা চলচ্চিত্রে সুচিত্রা আসলেই স্বাপ্নিক এক অভিনেত্রী। তিনি চরিত্রের সঙ্গে মিশে যেতেন। খ্যাতিমান এই অভিনেত্রীর শেষ জীবনটা ছিল রহস্যময়। তিনি দুনিয়াদারি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। নাম, যশ, খ্যাতি আর উপভোগ করলেন না। চলে গেলেন সবকিছুর আড়ালে। কালো পর্দার আড়ালে ঢাকা বাড়িতে নিজেকে বন্দি করলেন। কারও সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন না। কোনো ছবি তুলতেন না। সূর্যের আলোর মুখ দেখতেন না। নিজের ঘরের ভিতরেই কাটাতেন পুরোটা সময়। এক বন্দিজীবন। কেউ জানেন না কী অজানা অভিমানে সুচিত্রা অন্তর্ধানে চলে গেলেন। এ নিয়ে অনেক লেখা হয়েছে। সুচিত্রার ঘনিষ্ঠ একাধিক সাংবাদিকও কিছু লেখা লিখেছেন। তার পরও কোনো লেখাই পাঠকের মনে দাগ কাটতে পারেনি। বের হয়নি আসল রহস্য।

কারও মতে উত্তম কুমারের মৃত্যুতে সুচিত্রার জীবন বদলে গিয়েছিল। নিজেকে গুটিয়ে নেন তিনি। দীর্ঘ কষ্টের অর্জন তাঁর কাছে জীবিতকালেই মূল্যহীন হয়ে গেল। তিনি ধীরে ধীরে সবকিছু ছেড়ে দেন। চলে যান লোকচক্ষুর আড়ালে। বদলে ফেলেন চাওয়াপাওয়ার হিসাব। চার দেয়ালের বৃত্তে নিজেকে নিয়ে যান। স্বেচ্ছায় কাটান একটা বন্দিজীবন। মানুষ কি এভাবে নিজেকে গুটিয়ে নিতে পারে?

মৌর্য সম্রাট অশোক বীর যোদ্ধা হিসেবে একটার পর একটা দেশ জয় করেন। চোখের সামনে মানুষকে কচুকাটা হতে দেখলেন। রাজ্য জয়ের নেশায় অশোক কোনো কিছুর তোয়াক্কা করেননি। তারপর একদিন দেখলেন দুই দিনের দুনিয়ায় সবকিছুই মূল্যহীন। এত ক্ষমতা, বিশাল সাম্রাজ্য, নেশার মতো দেশ জয়, হানাহানি, সংঘাত, খুনোখুনির কোনো মানে খুঁজে পেলেন না তিনি। একদিন ভাবলেন অনেক হয়েছে। আর না। অশোক সব ছাড়লেন। সংসার ছাড়লেন আগে। তারপর রাজত্ব। চলে গেলেন বনে। মগ্ন হলেন ধ্যানে। দুনিয়ার কোনো কিছুর প্রতি আর আকর্ষণ থাকল না। নিজেকে বিলিয়ে দিলেন ধ্যানে। প্রচার করতে থাকলেন ধর্মের। বলতে থাকলেন মানবতার কথা।

ছোট্ট একটা জীবনে কেন এত লড়াই? অনেকে বলেন আগে ভালো ছিলাম। কথাটা মোটেও ঠিক নয়। মানুষ সৃষ্টির পর থেকেই হানাহানিতে লিপ্ত হয়। দুনিয়ার প্রথম মানব আদম (আ.)-এর দুই সন্তানের একজন আরেকজনকে খুন করেন। হিংসা নিয়েই মানুষ বেড়ে ওঠে। তার মাঝে একদল লোক কাজ করে। আরেক দল শুধু হিংসা-বিদ্বেষ ছড়ায়। অন্যের উত্থানে হারাম করে নিজের ঘুম। নিজে চেষ্টা করে না কিছু করতে। একজন সেদিন বললেন, ১৯৭১ সালে সামাজিক মাধ্যম থাকলে হয়তো দেশটা স্বাধীন হতো না। জ্ঞানী মানুষরা অখণ্ডতা আর সংবিধানের ব্যাখ্যা দিতে দিতে ঠেকিয়ে দিত মুক্তিযুদ্ধ। এখন কারও ভালো কিছু চোখে পড়ে না। নিজের কাজ বাদ দিয়ে অন্যকে গালাগাল দিয়ে কেউ কেউ একটা জীবন কাটিয়ে দেয়। কবি নজরুল বলেছেন, ‘হেথা সবে সম পাপী, আপন পাপের বাটখারা দিয়ে অন্যের পাপ মাপি।’

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

সর্বশেষ খবর