শিরোনাম
রবিবার, ৯ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিশুরা ডেঙ্গুর টার্গেট

দুই সিটি কর্তৃপক্ষের গাফিলতির পরিণতি

ডেঙ্গু ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়েছে দেশের রাজধানী মেগাসিটি ঢাকা থেকে সারা দেশে। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এ বছর দেশজুড়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নথিভুক্ত রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ২৯৮ জন। হাসপাতালের বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন এমন রোগীর সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার কথা। চলতি বছর শুধু হাসপাতালেই মারা গেছেন ৬৫ জন। বর্তমানে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২ হাজার ১৬৫ জন। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে আছেন ১ হাজার ৫২৮ জন। সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে। ভর্তি ২ হাজার ৫২০ জনের মধ্যে শিশু এক-চতুর্থাংশ। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৪৩ শিশু ভর্তি আছে। এর মধ্যে এক শিশু আইসিইউতে, দুটি শিশু এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন। হাসপাতালে অধিকাংশ শিশু খারাপ অবস্থায় আসছে। দেরিতে আসায় জটিলতা বাড়ে। তাই পেটে ব্যথা, বমি, কিছু খেতে না পারা, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত হাসপাতালে আসতে হবে। জ্বর এলে তিন দিনের মধ্যে ডেঙ্গু টেস্ট করাতে হবে। আক্রান্ত হলে পর্যাপ্ত পানি, তরল খাবার, স্যুপ খেতে হবে। ডেঙ্গু হলে খাবার ও পুষ্টির দিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা। ওই সময় ক্যালোরি চাহিদা বেড়ে যায়। তাই ক্যালোরিযুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে। এ সময় মুখে রুচিও থাকে না। তাই এমন খাবার দিতে হবে যা অল্প খেলেও চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। ঈদের ছুটি শেষে আজ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে। দীর্ঘ ছুটিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কোনো কার্যক্রম ছিল না। ঈদের সময়ে দেশে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে এডিস মশা বেড়েছে এবং ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভিতর বা বাইরে নানা ধরনের পাত্রে পানি জমা হয়ে এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। মশা নিধনের উদ্যোগ না নিয়ে স্কুল খোলা হলে শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গুর থাবা ভয়াবহভাবে বেড়ে যেতে পারে। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের সবচেয়ে কার্যকর পন্থা বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই মশা নিধন কার্যক্রম জোরদার করা। সে ক্ষেত্রে দুই সিটি কর্তৃপক্ষের গাফিলতি থাকায় জনস্বাস্থ্য এখন হুমুকির মুখে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর