রবিবার, ৯ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

রোহিঙ্গা বিষফোঁড়া

দুর্বৃত্ত দমনে তৎপর হোন

বাংলাদেশের ওপর পশ্চিমা বিশ্বের চাপানো বিষফোঁড়ার নাম রোহিঙ্গা সমস্যা। জাতিসংঘ ও বিশ্বমোড়লদের অনুরোধের ঢেঁকি গিলে ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিতে বাধ্য হয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মধ্য থেকে চাপ সৃষ্টি করেছিল একটি পরজীবী গোষ্ঠী। গত ছয় বছরে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রতিবেশী দেশের এ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সদস্যরা আশ্রয়দাতাদের প্রতি শুধু কৃতঘ্নতার পরিচয় দিয়েই চলছে। তারা বাংলাদেশে মাদক আগ্রাসনের বাহকের ভূমিকা পালন করছে। দেশের প্রধান পর্যটন এলাকা কক্সবাজারের গাছপালা পাহাড় টিলা ধ্বংস করে পরিবেশের বিপর্যয় ডেকে আনছে। বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতির দেশ বাংলাদেশে ১২ লাখ মানুষের আশ্রয় দেশের খাদ্য চাহিদা পূরণে সংকট সৃষ্টি করছে। দুর্বিনীত এই ভিনদেশিরা প্রায়ই নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। শুক্রবার ভোরেও উখিয়ার একটি ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের দুটি গ্রুপের গোলাগুলিতে পাঁচজন নিহত হয়েছে। ক্যাম্প-৮ পশ্চিমের এ ঘটনায় নিহতের প্রত্যেকেই মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মি, আরসা সদস্য বলে জানিয়েছে পুলিশ। ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা নিহত চারজনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন। তাদের একজন আরসা কমান্ডার, একজন জিম্মাদার ও বাকিরা সাধারণ সদস্য। পরে বিকাল ৫টার দিকে একই ক্যাম্প থেকে সানাউল্লাহ নামে আরও এক রোহিঙ্গার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, মিয়ানমারের সঙ্গে গোপন সমঝোতায় সন্ত্রাসী সংগঠনের ২ হাজারের বেশি সদস্য অপতৎপরতায় জড়িত। উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পকেন্দ্রিক অস্থিরতার মিশনে জড়িত ৩০টির বেশি সশস্ত্র গোষ্ঠী। শুধু চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ক্যাম্পে খুনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯-এ। এ নিয়ে ২০১৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৮২ জন খুন হয়েছে। আরসা এবং সমমনা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো মিয়ানমার সরকারের মতলব পূরণে কাজ করছে। রোহিঙ্গারা যাতে স্বদেশে ফিরে না যায় এটাই তাদের লক্ষ্য। এ দুর্বৃত্তদের দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হবে এমনটিই প্রত্যাশিত।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর