পুদিনা পাতা প্রাচীনকাল থেকেই বেশ জনপ্রিয় ওষুধ হিসেবে পরিচিত। বহু রোগের আরোগ্য এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পুদিনা পাতা এক ধরনের সুগন্ধি গাছ। এই গাছের পাতা তরিতরকারির সঙ্গে সুগন্ধি হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। বিশ্বের অনেক দেশেই পুদিনার গাছ জন্মে। এর পাতা সুগন্ধি হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়।
পেটের পীড়া- এটি ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম (আইবিএস) এবং দীর্ঘস্থায়ী বদহজমের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকর। এ ছাড়া পুদিনা কোলনের বেশি সংকোচন নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যাজমা-পুদিনায় রোজমেরিক অ্যাসিড নামের এক ধরনের উপাদান থাকে। এটি প্রাক-প্রদাহী পদার্থ তৈরিতে বাধা দেয়। ফলে অ্যাজমা হয় না। এ ছাড়াও এই পাতা খেলে শ্বাসনালি পরিষ্কার থাকে। অ্যান্টিক্যান্সার-পুদিনায় আছে মনোটারপিন নামক উপাদান। যা স্তন, লিভার এবং প্যানক্রিসায়ের ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। নিয়মিত খেলে ফুসফুস, কোলন এবং ত্বকের ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পুদিনার ভেষজগুণ-পুদিনা খুবই উপকারী একটি উদ্ভিদ। আমাদের শরীরের নানা রোগ-প্রতিরোধে পুদিনা কার্যকর ভূমিকা পালন করে থাকে। মুখের স্বাদ বাড়াতেও এটি খুব কার্যকর। আরও যেসব ক্ষেত্রে পুদিনার পাতা ব্যবহার করা যায়, তা হলো- পুদিনার তাজা পাতা পিষে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর যদি তা ধুয়ে ফেলা যায়, তাহলে মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে যায়। ব্রণ ওঠাও বন্ধ হয়। পুদিনার পাতা পিষে রস করে তার ভিতরে দু-তিন ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে পান করলে ক্লান্তিভাব দূর হয়। কোনো কারণে ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তার নাকের কাছে কিছু তাজা পুদিনা পাতা ধরুন। দেখবেন লোকটি জ্ঞান ফিরে পেয়েছে। পুদিনার পাতা ভালো করে পিষে তার রস ভালো করে মাথায় ব্যবহার করুন। যাদের চুলে উকুন আছে তারা উপকার পাবেন। শরীরের ব্যথা দূর করতে পুদিনা পাতার চা খুব উপকারী। মাথা ও পেটব্যথা নিরাময়েও পুদিনার পাতা অব্যর্থ। যাদের মাঝে-মধ্যে হেঁচকি ওঠে, তারা পুদিনা পাতার সঙ্গে গোলমরিচ পিষে তা ছেঁকে নিয়ে রসটুকু পান করুন। দেখবেন হেঁচকি বন্ধ হয়ে গেছে।
