মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

প্লাস্টিক ও পলিথিন

পরিবেশের জন্য বিপদ ডেকে আনছে

পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্যে বড় বড় শহরগুলো মারাত্মক দূষণের শিকার হচ্ছে। এ দ্ইু পণ্যের ব্যবহার মাত্রাহীনভাবে বেড়ে যাওয়ায় দেশের নগর এলাকাগুলো বর্জ্যরে ভাগাড় হয়ে উঠছে। নদনদীতে প্লাস্টিক বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নির্বিচারে। এ ব্যাপারে শীর্ষে রয়েছে চট্টগ্রামের প্রাণ অনিন্দ্যসুন্দরী কর্ণফুলী নদী। খুলনা মহানগরীর রূপসা নদীও প্লাস্টিক বর্জ্যরে নির্মম শিকার। রাজধানীর বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা কোনোটিই এ ব্যাপারে পিছিয়ে নেই। রাজধানীর খাল লেক বিলগুলো প্লাস্টিক বর্জ্যরে ভাগাড়ে পরিণত হতে চলেছে। চট্টগ্রামে সিটি করপোরেশনের খাল দিয়ে নদীতে গিয়ে পড়ে তরল ও কঠিন বর্জ্য। প্লাস্টিক ও পলিথিন তার মধ্যে অন্যতম। চাক্তাই, রাজাখালী ও মহেশখাল দিয়ে সিংহভাগ আবর্জনা যায় নদীতে। ভারতের মিজোরামে উৎপত্তি হয়ে পাহাড়ি দুহিতা কর্ণফুলী বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম হয়ে চট্টগ্রামে প্রবেশ করে। কালুরঘাট সেতু থেকে নদীর মোহনা চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার নির্মম দূষণের শিকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্লাস্টিক ও পলিথিনের কারণে কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিংয়ে সমস্যা হয়েছে। এ দুটির বর্জ্য বিপুল পরিমাণে নদীর তলদেশে জমা হচ্ছে। নদী থেকে যেসব মাটি তোলা হয়, তাতেও পলিথিন ও প্লাস্টিক দ্রব্য পাওয়া যায়। নদীর জীববৈচিত্র্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর প্রক্রিয়া সৃষ্টি করছে প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য। ব্যবহার বন্ধ না করলে নদী কখনো প্লাস্টিক ও পলিথিনমুক্ত করা সম্ভব নয়। কর্ণফুলীর মতো রূপসাও এক প্রাণবন্ত নদী। দেশের যেসব নদনদী প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্যরে নির্মম শিকার খুলনা মহানগরীর অন্যতম প্রধান নদী রূপসা তার অন্যতম। খুলনা মহানগরীর জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ প্লাস্টিক ও পলিথিন বর্জ্য। মহানগরীর খাল ও ড্রেনগুলো ক্ষতিকর বর্জ্যরে ভারে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ছে। বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা অনিবার্য হয়ে উঠছে। দেশে পলিথিনের ব্যবহার প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। এর উৎপাদন, বিপণন নিষিদ্ধ হলেও তা দেখার কেউ নেই। প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারও শনৈ শনৈ বাড়ছে। গত দেড় দশকে এর ব্যবহার বেড়েছে দ্বিগুণ। নদনদী-জলাশয়ের অস্তিত্বের জন্য প্লাস্টিক ও পলিথিন পণ্য যেখানে সেখানে ফেলার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর