মঙ্গলবার, ১১ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

কোরআন আলোর পথ দেখায়

আবদুল্লাহ আল মামুন আশরাফী

কোরআন আলোর পথ দেখায়

আল কোরআনুল কারিম। মানব জাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে শ্রেষ্ঠ উপহার। কোরআনের স্পর্শ ছাড়া মানবজনম অর্থহীন। কোরআন সফলতার মৌলিক পাথেয়। কোরআন সঠিক পথের দিশারি। হাজার বছর ধরে কোরআনের দেখানো বিমল পথে অটল থেকে সফলতার স্বর্ণোজ্জ্বল মনজিলে পৌঁছে গেছে অসংখ্য বনি আদম। কোরআনের এই স্নিগ্ধ অফুরন্ত ঝরনাধারা সবার জন্যই অবারিত। কোরআন সফলতার দিকে পথ প্রদর্শন করতে থাকবে মহাপ্রলয়কাল পর্যন্ত। কোরআন নিজেই নিজের পরিচয় পেশ করেছে। নিজের পরিচয় উল্লেখ করতে গিয়ে কোরআন বলে, ‘নিশ্চয় এটা সম্মানিত কোরআন, যা আছে এক সংরক্ষিত কিতাবে, যারা পাকপবিত্র, তারা ছাড়া অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না’ (সুরাতুল ওয়াকিয়া : ৭৭, ৭৮, ৭৯) অন্যত্র ইরশাদ হয়েছে, ‘বরং এটা সম্মানিত কোরআন। লওহে মাহফুজে লিপিবদ্ধ’ (সুরাতুল বুরুজ : ২১, ২২) কোরআন নির্দিষ্ট কোনো গোত্র, সম্প্রদায় বা দলকে সঠিক পথ দেখায়, এমন না। বরং কোরআন কেয়ামতের আগ পর্যন্ত আগত প্রতিটি মানুষকেই সফলতার বিমল পথে অগ্রগামী হওয়ার নির্দেশনা দেয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘রমজান মাসই হলো সে মাস, যাতে নাজিল করা হয়েছে কোরআন, যে কোরআন মানুষের জন্য হেদায়েত এবং সত্যপথ যাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথনির্দেশ আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী’ (সুরাতুল বাকারা-১৮৫) কোরআন সরল সঠিক পথ দেখায়। কোরআনের পথ প্রদর্শনে কোনো ভুল নেই। ইরশাদ হয়েছে, ‘এই কোরআন এমন পথ প্রদর্শন করে, যা সর্বাধিক সরল এবং সৎকর্মপরায়ণ মুমিনদের সুসংবাদ দেয় যে, তাদের জন্য মহাপুরস্কার রয়েছে’ (সুরা বনি ইসরাইল-৯) কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো রজ্জু বা রশি। এ রশি যারাই মজবুতভাবে ধরে রাখবে তারাই সফলতার পথে অগ্রগামী হতে পারবে। ইরশাদ হয়েছে, ‘আর তোমরা সবাই আল্লাহর রজ্জুকে মজবুতভাবে আঁকড়ে ধর। কখনো বিচ্ছিন্ন হইও না’ (সুরা আলে ইমরান-১০৩) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় হাফেজ ইমাদুদ্দিন আবুল ফিদা ইসমাইল ইবনে উমর ইবনে কাসির (রহ.) তাঁর তাফসির গ্রন্থে উল্লেখ করেন, হজরত আবু সাইদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কিতাবুল্লাহ তথা কোরআন হচ্ছে আকাশ থেকে জমিনে পাঠানো আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি রজ্জু বা রশি।’ এমনিভাবে আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘নিঃসন্দেহে এই কোরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে পাঠানো সুদৃঢ় রশি। এটি একটি বিমল আলোকরেখা। একটি উপকারী প্রতিষেধক। যারা এ কোরআন আঁকড়ে ধরবে তারা সব বিভ্রান্তি, পথভ্রষ্টতা থেকে বেঁচে থাকবে। যারা কোরআনের নির্দেশনা মেনে চলবে তারা চিরকালীন (জাহান্নাম থেকে) মুক্তি লাভ করবে।’ (তাফসিরুল কুরআনিল আজিম ১/৪৭৮ দারুল হাদিস কায়রো, মিসরের সংস্করণ)

লেখক : খতিব, আউচপাড়া জামে মসজিদ, টঙ্গী, গাজীপুর

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর