শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ

আত্মপ্রসাদে ভুগলে চলবে না

সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ উঠবে উন্নয়নের আরেক সোপানে। বিশ্ব মন্দার মধ্যেও সবাই দেখবে এগিয়ে যাওয়া এক বাংলাদেশকে। পদ্মা সেতু, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্রোরেল লাইন-৬ ইতোমধ্যে বাংলাদেশকে পশ্চাৎপদ অবস্থা থেকে নিয়ে গেছে সমীহ অর্জন করা অবস্থানে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেল যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে সেপ্টেম্বরে। এটিই হবে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল। ঢাকা-কক্সবাজার সরাসরি রেলসংযোগও চালু হতে যাচ্ছে সেপ্টেম্বরে। এর মাধ্যমে পর্যটকসহ সাধারণ যাত্রীদের যাতায়াত ব্যবস্থা আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশও খুলবে সেপ্টেম্বরে। অক্টোবরে চালু হবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের একাংশ। এ টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে বিশ্ববিখ্যাত লন্ডনের হিথ্রো, নিউইয়র্কের জন এফ কেনেডি, সিঙ্গাপুরের চেঙ্গি, আরব আমিরাতের দুবাই বিমানবন্দরের আদলে। ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হবে পদ্মা সেতুতে রেলসংযোগ প্রকল্প। যার মাধ্যমে জাতির আরেকটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটবে। সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের দ্বাদশ নির্বাচন চলতি বছরের ডিসেম্বর বা আগামী বছরের জানুয়ারির শুরুতে। তার আগে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেই আরও অন্তত চারটি মেগা প্রকল্পের দ্বার খুলে সরকার দেশবাসীর মনে নিজেদের অবস্থান মজবুত করতে চাচ্ছে। ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের যাতায়াত ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এবং অবকাঠামোর উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়ে পদ্মা সেতুসহ আটটি মেগা প্রকল্প হাতে নেয় বর্তমান সরকার। পরে অবশ্য মেগা প্রকল্পের সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ ছিল বিশ্বের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া দেশ। তলাবিহীন ঝুড়ি বলে বাংলাদেশকে ব্যঙ্গ করত বিশ্বমোড়লদের কেউ কেউ। সে অবস্থা থেকে অর্ধশতাব্দীর ব্যবধানে উন্নয়নের সোপানে ওঠা এক বিশাল অর্জন। তবে এতে আত্মপ্রসাদে ভুগলে চলবে না। মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার পূরণে আরও এগিয়ে যাওয়ার নিরন্তর প্রয়াস চালাতে হবে।

 

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর