শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

আলু কারসাজি

প্রয়োজনে আমদানির সিদ্ধান্ত নিন

পিঁয়াজের পর আলু নিয়েও মুনাফাখোরদের লোভের লক লকে জিহ্বা ভোক্তাদের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনছে। অসৎ ব্যবসায়ীরা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে আলু। গত মৌসুমে দেশে আলু উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ৯০৫ মেট্রিক টন। দেশে মোট চাহিদা প্রায় ৮৯ দশমিক ৯২ লাখ মেট্রিক টন। চাহিদার তুলনায় ২১ দশমিক ৯৯ লাখ মেট্রিক টন আলু বেশি উৎপাদন হওয়ার পরও ১৫ দিন ধরে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ সবজিটির দাম বাড়ছে। ১০ জুলাই পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম ছিল ৩০ থেকে ৩৩ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। এটি গত এক মাসের তুলনায় ৮ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং এক বছরের তুলনায় প্রায় ৫৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি। কৃষি বিপণন অধিদফতর বলছে, অসাধু ব্যবসায়ীরা সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলতে কৃত্রিমভাবে অপকৌশল অবলম্বন করে আলুর বাজারমূল্য বৃদ্ধি করছে। সংস্থাটির প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছর হিমাগারে মোট ২৪ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সংরক্ষিত আছে ২২ লাখ ২৩ হাজার মেট্রিক টন। কৃষক পর্যায়ে ঘরে কোনো আলু সংরক্ষণে নেই। জুন পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ২৮ হাজার ৫৭২ মেট্রিক টন। কৃষি বিপণন অধিদফতর বলছে, হিমাগারগুলোয় সংরক্ষণের প্রায় ৮৯ শতাংশ আলু এখনো মজুদ আছে। হিমাগার মালিকরা আরও দাম বাড়ার আশায় আলু ছাড়ছেন না। কৃষি বিপণন অধিদফতরের হিসাবে কৃষক পর্যায়ে আলু উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ৫১ পয়সা। ব্যাপারী, পাইকার এবং খুচরা ব্যবসায়ীদের হাত ঘুরে তা এখন ভোক্তারা কিনছেন ৪০/৪৫ টাকা কেজি দরে। মূল্য বৃদ্ধির পেছনে অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজির পাশাপাশি সরকারকে বিব্রত করার অপকৌশল জড়িত থাকতে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশে আলু নিয়ে যে অপতৎপরতা শুরু হয়েছে তার ইতি ঘটাতে আলু রপ্তানি বন্ধ করে প্রয়োজনে আমদানির সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অসৎ ব্যবসায়ীদের মুনাফার লক লকে জিহ্বা সংবরণে এমন অপ্রিয় সিদ্ধান্তের বিকল্প নেই। আমরা চাই বাংলাদেশের কৃষিপণ্য বাইরের দুনিয়ায় রপ্তানি হোক। দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা বয়ে আনুক। কিন্তু যারা ভোক্তাদের জিম্মি করে পকেট স্ফীত করতে চায় তাদের ঠেকানোও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর