শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

রপ্তানির উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা

সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টিও জরুরি

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭২ বিলিয়ন বা ৭ হাজার ২০০ কোটি ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশের মুদ্রায় এ পরিমাণ অর্থ ৮ লাখ কোটি টাকারও বেশি। গত অর্থবছরে পণ্য ও সেবা মিলিয়ে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সাময়িক হিসাব অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আয় হয়েছে ৬৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে পণ্য খাতে আয়ের পরিমাণ ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। পণ্য ও সেবা খাতের এই আয়ের ওপর সামগ্রিকভাবে ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরে চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে পণ্য রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ এবং সেবা রপ্তানি খাতে ১১ দশমিক ১১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে। বিদায়ী অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার কম রপ্তানি হওয়া সত্ত্বেও ৬৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার থেকে ৭৬ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণকে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা বলে মনে করেন ব্যবসা খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি কাস্টমস ও এনবিআরের ব্যবসাবান্ধব আচরণ নিশ্চিত করাও জরুরি। স্মর্তব্য, লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলেও বিগত অর্থবছরে বৈশ্বিক মন্দা সত্ত্বেও রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় সন্তোষজনকহারে বেড়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোতে মন্দার মধ্যে রপ্তানি কিছু কমলেও অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৩১ দশমিক ৩৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়ে ৮৩৭ কোটি ডলার হয়েছে। অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ভারত। এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের এই তিনটি দেশ থেকে রপ্তানি আয় ১০০ কোটি ডলারের মাইলফলক অর্জন করেছে। রপ্তানির যে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে তা পূরণে নজরদারি বাড়াতে হবে। বিগত অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ যেসব দেশে রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে সেসব দেশে কীভাবে রপ্তানি বাড়ানো যায় সে উদ্যোগ নিতে হবে। নতুন বাজার খুঁজে বের করাও জরুরি। দেশের অর্থনীতির স্বার্থেই বিষয়টি প্রাসঙ্গিক।

সর্বশেষ খবর