শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা

টেকসই সমাধান প্রত্যাশিত

চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খরচ হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা। তবে জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র বন্দরনগরী মুক্ত করার ক্ষেত্রে অর্জিত সাফল্য প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। চলতি বছর এখনো পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরীতে সেভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় জলাবদ্ধতার উদ্ভব হয়নি। তবে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা স্বীকার করেছেন চলতি বছর বেশির ভাগ এলাকায় ভোগান্তির আশঙ্কা না থাকলেও ১০টি এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে। চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে সুষ্ঠুভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে জলাবদ্ধতা সমস্যার ইতি ঘটানো সম্ভব হবে নগরবাসীর মধ্যে এমন আস্থাও সৃষ্টি হয়েছে। তারা জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় ৩৬টি খালের কাজ করছেন। এর মধ্যে ১৬টির কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ৯টির কাজ মাসখানেকের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বাকি ১১টির মধ্যে চাক্তাই খাল, হিজলা খাল, বাকলিয়া খাল এলাকার ভূমি অধিগ্রহণ এখনো হয়নি। যে কারণে সংশ্লিষ্ট এলাকায় পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ হচ্ছে না। ফলে ওইসব এলাকায় চলতি বছর বর্ষায় জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে। ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সিডিএর ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন দেয় একনেক। তিন বছর মেয়াদি এই প্রকল্প ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেষ করা যায়নি। এ প্রেক্ষাপটে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন ও ব্যয় বাড়িয়ে ১০ হাজার কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০১৮ সালের ৯ এপ্রিল সেনাবাহিনীর সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে সিডিএ। এরপর ২৮ এপ্রিল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। বর্তমানে প্রকল্পের ৭৬ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। আমরা আশা করব চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জলাবদ্ধতা নিরসনে টেকসই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে পারলে সাংবার্ষিক ভোগান্তির অবসান ঘটবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর