রবিবার, ১৬ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন

পরিবেশ সংকটের এই মুহূর্তে বিশ্ব পরিবেশবিদদের ভাবনা সমুদ্রপৃষ্ঠের আশঙ্কাজনক উত্থান যার ফলে পৃথিবীর একাংশ ক্ষুদ্র দ্বীপ ও স্থলভাগ ক্রমেই তলিয়ে যাচ্ছে সমুদ্রগর্ভে। সমুদ্রবিজ্ঞান গবেষণা সংস্থাগুলোর সতর্কবাণীতে বলা হচ্ছে, বিগত এক শতাব্দীর ব্যবধানে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বেড়েছে ৪ থেকে ৮ ইঞ্চি অর্থাৎ ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার। প্রতি বছর ০.১৩ ইঞ্চি অর্থাৎ ৩.২ মিলিমিটার সমুদ্রপৃষ্ঠোচ্ছ্বাস ঘটে চলেছে, যা কি না প্রকৃতই সংকটের প্রতিধ্বনি। সমুদ্রপৃষ্ঠের এই ক্রম উচ্ছ্বাস প্রকৃতপক্ষে তিনটি ফ্যাক্টরনির্ভর। তবে পুরোদস্তুর এই সংকটের কারণ অবশ্য মানবসভ্যতার স্বার্থান্বেষী লালসা আর তার পরিণামে আবহাওয়া ও বিশ্ব জলবায়ুর ধারাবাহিক অবনতি। সমুদ্রপৃষ্ঠের সংকট উচ্ছ্বাসের প্রধানতম যে তিনটি কারণকে বিবেচনা করা হয়, ওই ত্র্যহস্পর্শগুলো যথাক্রমে, সমুদ্রজলের উত্তাপ বৃদ্ধি, মেরু বরফের মাত্রাধিক্য গলন এবং গ্রিনল্যান্ড ও পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকার বরফের চাঁইতে ভাঙনের ফলে সমুদ্রের জলে ভাসমান বরফের চাঁইয়ের সংখ্যাধিক্য। পানি পৃথিবীর বৈ কি গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রেক্ষিতেই যারপরনাই এক বিস্ময়কর জীবরসায়ন। ১৭৮১ সালে বিজ্ঞানী ক্যাভেনডিশ প্রমাণ করেছিলেন, পানি প্রকৃতপক্ষে ২ আয়তন হাইড্রোজেন আর ১ আয়তন অক্সিজেনের মিলিত যৌগ রূপ। বিস্ময়কর এই পার্থিব পদার্থের জন্যই পৃথিবী গোটা ব্রহ্মাণ্ডের মধ্যে ‘একমেবাদ্বিতীয়ম’। পৃথিবীর গোটা দেহের ৪ ভাগের ৩ ভাগজুড়েই রয়েছে পানি। শুধু কি গোটা পৃথিবীর দেহ, জীবদেহেরও একই ধরন। জীবদেহেরও ৪ ভাগের ৩ ভাগই পানি, শতাংশের হারে প্রায় ৭০ শতাংশ।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর