সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী

ইতিবাচক পরিবেশ বজায় রাখতে হবে

প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারকে ব্যবসাবান্ধব সরকার বলে অভিহিত করেছেন। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। এ বদলে যাওয়া দেশকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। আর সে দায়িত্ব ব্যবসায়ীদের ওপর। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’ প্রবাদটিও স্মরণ করিয়ে দেন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন আয়োজিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যবসায়ী সম্মেলন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য খুবই প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যের দাবিদার। বাংলাদেশ গত দেড় দশকে এগিয়েছে ঈর্ষণীয়ভাবে। হাজার বছরে জাতি অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যতটা এগিয়েছে মাত্র দেড় দশকের অর্জন তার চেয়েও বেশি। এ অর্জনের প্রধান কারণ সরকারের ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব নীতি। এই নীতির বদৌলতে দেড় দশকে হাজার হাজার শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রতিদিনই নিজেকে অতিক্রম করছে। দেশের অন্য সব বিষয়ে সমালোচনা থাকলেও বাংলাদেশ যে সমৃদ্ধির পথে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে এ বিষয়ে কোনো ভিন্নমত নেই। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বলেই ইতোমধ্যে হতদরিদ্র অবস্থা থেকে মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাবান অর্থনৈতিক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান শ্যাক্স বলেছে, ২০৭৫ সাল নাগাদ বাংলাদেশ বিশ্বের ১৬তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। সোজা কথায় আজ বাংলাদেশের মানুষ যেসব দেশে অভিবাসী হিসেবে যাওয়াকে স্বপ্ন বলে ভাবছে সেসব দেশের অবস্থানও বাংলাদেশের পেছনে থাকবে। বাংলাদেশ গত দেড় দশকে যে ইন্দ্রজালিক অগ্রগতি লাভ করেছে তা দেশের শিল্পায়ন তথা ব্যবসা-বাণিজ্য দ্রুত সম্প্রসারণের ফলশ্রুতি। যে দেশের রপ্তানি আয় ছিল স্বাধীনতার আগে মাত্র ২০০ কোটি টাকা, সে দেশ ৮ লাখ কোটি টাকারও বেশি রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে চলতি অর্থবছর। বাংলাদেশকে উন্নতির শিখরে উঠতে হলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চলমান ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য নামের যে আলাদিনের চেরাগ দেশকে এগিয়ে নিচ্ছে তার অগ্রযাত্রা বহাল রাখতে হবে। কোনো কিছুতেই যাতে এ ইতিবাচক পরিবেশ বিঘ্নিত না হয় সে ব্যাপারে সচেতন থাকাও জরুরি।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর