মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র : একটি স্বপ্নের পূর্ণতা

সাজ্জাদুল হাসান

শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র : একটি স্বপ্নের পূর্ণতা

নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাহাম গ্রামে নির্মিত হয়েছে শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এ কেন্দ্রটি যার নামে নির্মিত হয়েছে সেই শৈলজারঞ্জন মজুমদার কে, নির্মাণ করার উদ্দেশ্যই বা কী- এ বিষয়গুলো বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে মাঝেমধ্যে উঠে এসেছে। নিশ্চয়ই অনেকের নজরেও এসেছে। যারা নেত্রকোনার বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করেন তাদের কেউ কেউ ইতোমধ্যে নির্মিত স্থাপনাটি স্বচক্ষে দেখেও এসেছেন। এরপরও কেন আজকের এই লেখা স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসতে পারে।  এর কারণ হিসেবে বলা যেতে পারে, আমাদের স্মৃতিশক্তি খুব প্রখর নয়। তাও যদি সেটা হয় দীর্ঘদিনের পুরনো, তাহলে তা মনেই আসে না। কিন্তু পুরনোকে ভুলে গিয়ে নতুনের দিকে সমাজ এগোবে কী করে? তাই বারবারই জানানোর প্রয়াস নিতে হবে। আরও একটি কথা আমরা সবাই জানি, যে জাতিতে গুণীদের কদর নেই, সে জাতি মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে না। শৈলজারঞ্জন মজুমদার এমন একজন মানুষ ছিলেন যার কর্ম ও জীবন সম্পর্কে নিজেকে জানতে হবে, নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। এ কৃতী পুরুষটির বিষয়ে এ জন্যই বারবার লেখা প্রয়োজন। তাই আজকের এ লেখায় শৈলজারঞ্জন মজুমদারের সংক্ষিপ্ত জীবন ও কর্ম এবং তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য স্থাপিত সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বৈশিষ্ট্য, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরছি।

শৈলজারঞ্জন মজুমদারের জন্ম ১৩০৭ বঙ্গাব্দের ৪ শ্রাবণ, ১৯০০ সালের ১৯ জুলাই অখ- বাংলার ময়মনসিংহ জেলার নেত্রকোনা মহকুমার বাহাম গ্রামে। যা বর্তমানে বাংলাদেশের ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার বাহাম গ্রাম। শৈলজারঞ্জন মজুমদারের পিতা রমণী কিশোর দত্ত মজুমদার, মাতা সরলা সুন্দরী। তার শৈশব কেটেছে বাংলাদেশে। ১৯১৮ সালে নেত্রকোনার দত্ত হাইস্কুল থেকে মেট্রিক পাস করে ভর্তি হন কলকাতার বিদ্যাসাগর কলেজে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়ন শাস্ত্রে এমএসসি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ স্থান অর্জন করেন। অতঃপর আইন পাস করে সবে ওকালতি শুরু। ১৯৩২ সালে রসায়নের শিক্ষক হিসেবে বিশ্বভারতীতে যোগদান, ১৯৩৯ সালে সংগীত ভবনের অধ্যক্ষ হন। অবসরের পরও জাতীয় অধ্যাপক হিসেবে আবার যুক্ত হন বিশ্বভারতীর সংগীত ভবনে। রবীন্দ্র ভারতীর ডিলিট, বিশ্বভারতীর দেশিকোত্তম উপাধিতে সম্মানিত শৈলজারঞ্জন মজুমদারের সারা জীবনের ধ্যান ও তপস্যা ছিল অবিকৃত সুরে ও উচ্চারণে রবীন্দ্রনাথের গানের প্রচার করা।

১৯৩২ সালের মার্চ মাসে তাঁর জীবনের গতিপথ ঘুরে যায়। বিশ্বভারতীর ইকোনমিকসের লেকচারার প্রভাত গুপ্ত তাকে শান্তিনিকেতনে নিয়ে যান। সেখানে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাকে গান শেখান। এ সূত্র ধরেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ পরিচয় হয়। দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে লেখা ১৪টি গান দিয়ে তিনি ১৯৩২ সালে নেত্রকোনার দত্ত উচ্চবিদ্যালয়ের সংস্কৃতিকর্মীদের অংশগ্রহণে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম জন্মদিন উদযাপন করেন। শান্তিনিকেতনের বাইরে পৃথিবীর কোথাও এটিই প্রথম রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন যার স্বীকৃতি একটি চিঠির মাধ্যমে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দিয়েছিলেন। তার লেখনীতে রয়েছে, নেত্রকোনার ‘দত্ত হাইস্কুল’-এ রবীন্দ্রজয়ন্তী উদযাপন করা হতো। কয়েকটা ক্লাসের মাঝখানের পার্টিশন তুলে একটা হলঘর হতো। হলঘরের চালটা ছিল টিনের। ২৫ বৈশাখ কালবৈশাখীর সময় আকাশে মেঘের ঘনঘটা, বিদ্যুতের ঝলকানি। একেক বছর প্রচন্ড বৃষ্টি নামত অঝোরে। হলঘরের টিনের চালে বৃষ্টির এমন ঝমঝম শব্দের মধ্যে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হতো। এ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে তার রয়েছে চমকপ্রদ কথোপকথন। তাই গুরুদেবের কাছে অনুযোগ করেছি- এমন দিনে জন্মেছেন যে খালি ঝড়বাদল, দুর্যোগ!

তার উত্তরে উনি হাসতে হাসতে বলেছেন, “বড় ভুল হয়ে গিয়েছে। এবার তো চুকে গেল, এবারে তো আর উপায় নেই। তোমার কথা মনে রেখে আগামীবার অন্য সময় জন্মাবার চেষ্টা করব।”

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অত্যন্ত স্নেহধন্য শৈলজারঞ্জন রবীন্দ্র সংগীতের বিশেষজ্ঞ সাধক ও প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন অদ্বিতীয়। অবিকৃত সুরে ও বিশুদ্ধ উচ্চারণে নিজের গানের প্রচার-প্রসারে শৈলজারঞ্জন মজুমদারের ওপর পরম আস্থা রেখেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মৃত্যুর পরও এ কাজটি একান্ত নিষ্ঠার সঙ্গে করে গেছেন শৈলজারঞ্জন মজুমদার। রবীন্দ্রসংগীতের শুদ্ধ রূপ নিয়ে ছুটে গেছেন ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে। শান্তিনিকেতনে থাকাকালীন গ্রীষ্মের ছুটিতে বাংলাদেশের নেত্রকোনায় বারবার ছুটে এসেছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও বৃদ্ধ বয়সে তিনবার এদেশে আসেন। তিনি দেশের নানা প্রান্তে ঘুরে শিল্পীদের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান অবিকৃত ও শুদ্ধ রূপে ছড়িয়ে দিয়েছেন। শৈলজারঞ্জন মজুমদার কর্তৃক রচিত ‘যাত্রাপথের আনন্দ গান’ বইয়ে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্য লাভের বর্ণনা দিয়েছেন। শৈলজারঞ্জন মজুমদার বলেন, “ইচ্ছে ছিল আবার একবার জন্মভূমিতে যাব; কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুতে সে ইচ্ছে বিসর্জন দিতে হয়েছিল। মনে পড়ে, তিনি বারবারই বলেছিলেন থেকে যেতে। বলেছিলেন ‘আপনারে আর ছাড়ুমই না।’ উত্তরে বলেছিলাম, আমার গ্রামের বাড়িতে উদ্বাস্তু, শহরের বাড়িতে মসজিদ হয়েছে, থাকার জায়গা কোথায়? উত্তরে জোর দিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘ছাইড়া দেন। আমি আপনারে বাড়ি দিমু, গাড়ি দিমু, ডোমিসিল দিমু।’ তিনি বলেছিলেন, ‘আপনার জায়গার অভাব হবে না। সে আমিও আমার অন্তরের অন্তস্থলে উপলব্ধি করেছি।” (পৃষ্ঠা ১৩৪ যাত্রাপথের আনন্দ গান)।

শৈলজারঞ্জন স্থায়ীভাবে তার জন্মভূমি মোহনগঞ্জে বসবাস করেননি। বিপুল ও বিচিত্র কর্মযজ্ঞ তাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্টির ভুবনে। কিন্তু তিনি জন্মভূমিকে, দেশের মাটিকে কখনো ভুলে যাননি।

যাত্রাপথের আনন্দ গান বইয়ে উল্লেখ আছে- ১৯৭৫ সালে তিনি সর্বশেষ তার জন্মভিটা বাহাম গ্রামে গিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ফুলের মালা হাতে মহিলারা প্রস্তুত ছিলেন। আমি যখন বাড়ির উঠোনে গিয়ে দাঁড়ালাম তখন আমাকে তারা সেই মালা পরাতে যাচ্ছিলেন। আমি তাদের বললাম, আমাকে মাটির তিলক পরিয়ে দিন। বৃষ্টির জলে ভেজা মাটির তিলক তারা আমার কপালে পরিয়ে দিলেন।”...

মোহনগঞ্জে আমরা যে বাড়িতে ছিলাম সেই বাড়ির গৃহস্বামী ডা. আখলাকুল হুসেন আহম্মেদ সস্ত্রীক আমাকে যেভাবে আদর-আপ্যায়ন করেছেন তা কোনো দিন ভুলবার নয়।

এ বইটিতে আরও লিখেছেন- অশ্রু ভারাক্রান্ত হৃদয়ে ফিরে এলাম। ফিরে আসার দিনের কথা মনে পড়ে; ছেলেমেয়েরা দুই ভাগ হয়ে মাঝখানে আমাকে নিয়ে মিছিল করে হাঁটতে হাঁটতে স্টেশনে এলো। স্টেশনে আসতে আসতে সামনের দল বলছে- ‘শৈলজারঞ্জন! শৈলজারঞ্জন!’ পেছনের দল প্রতিধ্বনি করছে, ‘ফিরে এসো, ফিরে এসো!’

এভাবেই আনন্দ-বেদনায় উদ্বেল হয়ে আমি আমার দেশের মাটিকে প্রণাম জানালাম-

“ও আমার দেশের মাটি,

তোমার ’পরে ঠেকাই মাথা।”

যতবার বাংলাদেশে এসেছেন নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের মাটিতে মাথা ঠেকিয়েছেন, আবেগে অশ্রুসিক্ত হয়েছেন। জন্মভূমির নাম বহির্বিশ্বে উজ্জ্বল করেছেন। জন্মভূমির মানুষ তাকে হৃদয় উজাড় করে ভালোবেসেছে। এ কীর্তিমান মনীষীর অবদান নেত্রকোনার নামকে বহির্বিশ্বে সমুজ্জ্বল করেছে। ১৩৯৯ বঙ্গাব্দের ১০ জ্যৈষ্ঠ, ১৯৯২ সালের ২৪ মে এ মহান পুরুষের প্রয়াণ হয়।

আনন্দের বিষয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একান্ত প্রাণের স্বজন, রবীন্দ্রসংগীত আচার্য শৈলজারঞ্জন মজুমদারের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মোহনগঞ্জ উপজেলার বাহাম গ্রামে ২.২০ একর জায়গা নিয়ে আনুমানিক ৩৯ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রাক্কলন সংবলিত যে প্রকল্পটির ২০১৮ সালের ২ নভেম্বর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন, সেই নান্দনিক ও শৈল্পিক প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ১১ মার্চ উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাকে জানাই অশেষ কৃতজ্ঞতা। সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে অডিটোরিয়াম ভবন, ওপেন এমফিথিয়েটার, প্লাজা গ্রাউন্ড, অডিটোরিয়ামের পেছনে এবং প্লাজা গ্রাউন্ডের পাশে রয়েছে একটি পুকুর। এ ছাড়া তিন তলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবনে জাদুঘর, গ্রন্থাগার, ক্লাসরুম, মিনি সভাকক্ষ, নাচ, গান ও আবৃত্তির শেখানোর কক্ষ, অতিথি কক্ষ, ডাইনিং ও কিচেনসহ অন্যান্য সুবিধাদিও বিদ্যমান রয়েছে।

শৈলজারঞ্জনের স্মৃতি ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখার পাশাপাশি এ কেন্দ্রে পুনরুজ্জীবিত হবে বাংলাদেশ তথা হাওর বাংলার ভাটি অঞ্চলের সংস্কৃতি। একটি সচেতন সাংস্কৃতিক উদ্দেশ্য ও তৎপরতা থেকেই নির্মিত হয়েছে শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে এ কেন্দ্রটি পরিচালিত হবে। ট্রাস্টের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো- ১) শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রকে রবীন্দ্রসাহিত্য, সংগীতচর্চা ও অনুশীলনের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করা। ২) দেশীয় ও আঞ্চলিক সংস্কৃতির ক্রমবিকাশ ও চর্চাসহ সার্বিক উৎকর্ষ সাধন, স্থানীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে লালন করা ও তার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা। ৩) শিল্প সাহিত্যে সংগীতাচার্য শৈলজারঞ্জন মজুমদারের অবদান, বিশেষ করে রবীন্দ্রসংগীতের সুরকার হিসেবে তার স্বীকৃতি দেশবাসীর কাছে উপস্থাপন করা, তার স্মৃতি রক্ষা করা এবং সংগীত ও শিল্পে অবদানকে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করা। ৪) রবীন্দ্র ও নজরুলজয়ন্তীসহ অন্য সব ধরনের সংগীত এবং নেত্রকোনা তথা বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিল্প সংস্কৃতি বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের উৎসব আয়োজন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রতিক একাধিকবার বলেছেন, শিল্প সংস্কৃতিচর্চাকে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। সংস্কৃতিচর্চা যদি শুধু রাজধানী ও গুটিকয়েক বড় শহরে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়ে তবে সেই সংস্কৃতির সম্প্রসারণ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একটা জাতিকে সংস্কৃতিমনস্ক করে গড়ে তুলতে হলে তৃণমূল পর্যায়ে সংস্কৃতিচর্চার ধারাকে বেগবান করতে হবে। সেক্ষেত্রে নেত্রকোনা জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলায় প্রতিষ্ঠিত এ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসরত শিল্পী, সাহিত্যিকদের প্রতিভা বিকাশে অত্যন্ত সহায়ক হবে।

রসায়ন শাস্ত্রের কৃতী ছাত্র শৈলজারঞ্জনের অনন্য সংগীত প্রতিভা দেখে তার এক জন্মদিনে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন- “বিজ্ঞানের রসায়ন / রাগ রাগিনীর রসায়নে / পূর্ণ হল তোমার জীবনে।” ২০২৩ সালের ১৯ জুলাই (৪ শ্রাবণ) আরেক জন্মদিনে আমাদের স্বপ্ন পূর্ণতা পাচ্ছে। এ স্বপ্নের নাম শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কর্তৃক এ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের যাত্রা শেষে আজ আমরাও আনন্দে উদ্বেলিত।

ওই কেন্দ্রটি উপমহাদেশের এমন একজন মহান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের স্মৃতি ও আদর্শ ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিয়ে তাদের সংস্কৃতিমনস্ক ও দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে প্রেরণা জোগাবে। এ প্রতিষ্ঠানটি বৃহত্তর ময়মনসিংহের তথা বাংলাদেশের এক অনন্য সম্পদ।  আশা করছি শিগগিরই বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনে শিল্পী, কলাকুশলী, অগণিত দর্শকের সমারোহে প্রাণচাঞ্চল্যে মুখরিত হয়ে উঠবে শৈলজারঞ্জন সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এ প্রতিষ্ঠানটির সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ ও সমৃদ্ধি সাধনের জন্য সংস্কৃতি অনুরাগীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই এগিয়ে আসবে এ প্রত্যাশা রইল।

 

লেখক : সাবেক সিনিয়র সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়

সর্বশেষ খবর