শিরোনাম
বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

ওই দেখা যায় নির্বাচন...

মহিউদ্দিন খান মোহন

ওই দেখা যায় নির্বাচন...

ভীষণ মন খারাপ নিয়েই এ লেখাটা লিখতে বসেছি। আমার বাল্যবন্ধু এবং সহপাঠী মাহমুদ হাদী ইন্তেকাল করেছে গত ৮ জুলাই। সকালবেলা খবরটি পেয়েই একেবারে মুষড়ে পড়লাম। ক্লাস ওয়ান থেকে এসএসসি পর্যন্ত একসঙ্গে ছিলাম আমরা। কত স্মৃতি ওর সঙ্গে আমার! পাশাপাশি গ্রামের ছেলে আমরা। তাই বন্ধুত্ব প্রগাঢ় হতে সময় লাগেনি। আমাদের বন্ধুত্বের শিকড় প্রোথিত হয়েছিল বই পড়াকে কেন্দ্র করে। শ্রীনগর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন স্কুল লাইব্রেরি থেকে বই নিয়ে ভাগাভাগি করে পড়তাম আমরা। স্কুলজীবন থেকেই দুজনে ছিলাম রাজনীতির দুই মেরুর বাসিন্দা। আমি বিপ্লবী ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী আর হাদী ছাত্রলীগের। তবে রাজনীতির এ বৈপরীত্য আমাদের বন্ধুত্বের মাঝখানে কখনো দেয়াল হতে পারেনি। তর্ক-বিতর্ক হতো, মতান্তর হতো। তবে তা কখনো মনান্তরে রূপ নেয়নি। মনে পড়ে তখন এরশাদবিরোধী আন্দোলন চলছে। শহীদ দিবসের রাতে আমরা দুই বন্ধু একসঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ঘুরে বেড়াতাম। হাদীর বুকে ঝুলত বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ব্যাজ, আমার থাকত জিয়াউর রহমানের ছবি। আমি বলতাম, দোস্ত, তুই ১৫ দল, আর আমি ৭ দলের প্রতিনিধি। আমরা দুজনে মিলে ২২ দল। ঐক্য তো হয়েই গেছে। সে ঐক্য হয়েছিল শেষ পর্যন্ত। ১৯৯০-এ এসে। অবশ্য হাদী তখন জীবিকার অন্বেষায় সুদূর জাপানে। সেখানেও সে দলীয় আদর্শের কথা ভোলেনি। বঙ্গবন্ধু পরিষদের জাপান শাখা প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিল। দেশে অবস্থানরত আরেক বন্ধু আলম শহীদের (এক সময়ের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা ও পরে অধ্যাপক) মাধ্যমে সংকলন ছাপিয়ে জাপানে নিত। সে সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জাপান সফরে গেলে ওরা ব্যাপক আয়োজন করেছিল। দেশে ফিরে হাদী সংশ্লিষ্ট হয়েছিল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে। শ্রীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক ছিল কয়েক বছর। তারপর ধীরে ধীরে রাজনীতির সঙ্গে সম্পর্ক কমিয়ে দেয়। আওয়ামী লীগ নেতা নূহ্-উল আলম লেনিনের সঙ্গে অগ্রসর বিক্রমপুর নামে একটি সামাজিক সংগঠনে সক্রিয় ছিল আরও কয়েক বছর। তারপর অসুস্থতাজনিত কারণে সবকিছু থেকেই ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিল। আমার আজকের এ লেখাটি বন্ধু মাহমুদ হাদীকে উৎসর্গিত।

বন্ধু হাদীর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে ছুটে গেলাম ওদের গ্রামের বাড়ি হোগলাগাঁওয়ে। সেখানে দেখা হলো বন্ধু আলম শহীদের সঙ্গে। অনেকদিন পর দেখা। আমি পৌঁছেছিলাম দুপুরে। জানাজা হবে বাদ মাগরিব। মাঝখানের এ দীর্ঘ সময়ে নানা স্মৃতিতর্পণ আর কথাবার্তা। আমাদের দেশের যা ট্র্যাডিশন। দু-দশজন মানুষ একত্র হলেই এ কথা সে কথার পরে অবধারিতভাবে মধ্যমণি হয়ে আসন গ্রহণ করে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ। বিয়েবাড়ি হোক কিংবা মৃতের বাড়ি, ব্যতিক্রম নেই কোথাও। ঠিক তেমনি হাদীর কাফনে ঢাকা মরদেহের অদূরে বসে আমরা রাজনৈতিক আলোচনায় ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। বন্ধু আলম শহীদের প্রশ্ন- দোস্ত বল তো, তোদের দল কি নির্বাচনে যাবে? বললাম, আমার তো কোনো দল নাই। সে হেসে বলল, আরে পুরনোকে কি এত সহজেই ত্যাগ করা যায়? তুই কি জানিস, এখনো কোথাও তোর প্রসঙ্গ উঠলেই মানুষ বলে, কে, ওই বিএনপির মোহন? সো, এত সহজে গন্ধ ছাড়তে পারবে না বন্ধু। আলম শহীদের কথা একেবারে মিথ্যে নয়। যাক সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ। মৃতের বাড়িতে কোনো আলোচনাই জমে না। তাই আমাদের রাজনৈতিক আলোচনাও জমল না।

দলের মূল শক্তি যে তৃণমূল সংগঠন, বিএনপিতে সেখানে এখনো বিরাজ করছে অগোছালো অবস্থা। প্রতিটি জেলায় নেতৃত্বের কোন্দল প্রায় প্রকাশ্য। এমন কোনো জেলা-উপজেলা নেই যেখানে দুই বা ততধিক গ্রুপ পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে নেই
তবে বন্ধু আলম শহীদের প্রশ্নটি গেঁথে ছিল মনে। হিসাব মতো নির্বাচনের আর বাকি আছে সাকুল্যে ছয় মাস। নির্বাচনী বছরে এ সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মকাণ্ড সাধারণত কেন্দ্রীভূত হয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। প্রতিটি আসনে জরিপ চালিয়ে যোগ্য প্রার্থী বের করা, নির্বাচনী ইশতেহার রচনা, যদি জোট করার দরকার হয় সে বিষয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ, নির্বাচনে প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলার কর্মকৌশল ঠিক করা, সর্বোপরি নির্বাচনী প্রচারাভিযানের কৌশল নির্ধারণ এ সময়ে সবচেয়ে জরুরি কাজ হিসেবে ধরা হয়। মনে আছে, ২০০১ সালে নির্বাচনের প্রায় বছর দেড়েক আগে থেকেই বিএনপি ভোটের প্রস্তুতি নিয়েছিল। বনানীর ‘হাওয়া’ নামের সে বাড়িটিতে চেয়ারপারসনের অফিস স্থাপন করে শুরু হয়েছিল নির্বাচনী প্রস্তুতির কাজ। বলা নিষ্প্রয়োজন সেবার ওই নির্বাচনী প্রচারাভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন দলের তৎকালীন ১ নম্বর যুগ্ম মহাসচিব তারেক রহমান। আমরা তার নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করেছি। একটি সমন্বিত কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সেবার আওয়ামী লীগের মতো একটি শক্তিধর দলকে পরাজিত করা বিএনপির পক্ষে সম্ভব হয়েছিল।

এবার কি বিএনপির সে রকম কোনো প্রস্তুতি আছে? দলটির শীর্ষনেতারা অবশ্য বলে চলেছেন নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া দলটি অংশ নেবে না। আর সে জন্য তারা এই চলতি মাস থেকেই এক দফার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। অনেকের কাছে বিদ্যমান সময়টুকু আন্দোলন ও নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট নয়। অবশ্য বিএনপি সমর্থকদের কেউ কেউ মনে করেন, সরকার যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেয়, তাহলে ন্যূনতম সময়ের মধ্যেও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে, সে প্রস্তুতি তাদের রয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে অনেকেরই ধারণা, মুখে নির্বাচন বর্জন বা প্রতিহত করার কথা বললেও ভিতরে ভিতরে বিএনপি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ বিষয়ে গত ৫ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিনের ‘প্রার্থী বাছাই ও ইশতেহারে ব্যস্ত বিএনপি’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচন এবং নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলন প্রস্তুতি একসঙ্গে নিচ্ছে বিএনপি। মাঠের কর্মসূচির পাশাপাশি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। তলে তলে প্রতিটি আসনে চলছে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজও। তৈরি করা হচ্ছে নির্বাচনী ইশতেহার। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিটি আসনের বিপরীতে তিনজন করে প্রার্থী প্রাথমিকভাবে বাছাই করে ৯০০ জনের একটি তালিকা পাঠানো হবে লন্ডনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে। নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরে সেখান থেকে ৩০০ প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, ‘বিএনপি দেশের একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। তাই গণতান্ত্রিক দলের নির্বাচনের প্রস্তুতি সব সময়ই থাকে। বিএনপিরও আছে। তবে এই মুহূর্তে নির্বাচন নয়, রাজপথের আন্দোলন নিয়ে ভাবছে বিএনপি। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে শিগগিরই যুগপৎ আন্দোলন শুরু করা হবে।’ বিএনপি মহাসচিবের কথায় একটি সত্য বেরিয়ে এসেছে, তাঁরা আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন এবং সে পরিপ্রেক্ষিতে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠাকে প্রাধান্য দিলেও নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিতে শুরু করেছেন। যাতে যে কোনো পরিস্থিতিতে দল নির্বাচনে অবতীর্ণ হতে পারে। অন্তত ২০১৮ সালের মতো অপ্রস্তুত অবস্থায় যাতে অংশ নিতে না হয়। এর আগে গত ১৮ জুনে বাংলাদেশ প্রতিদিন ‘মুখে না, ভিতরে ভোট প্রস্তুতি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তাতেও বলা হয়েছিল, কেন্দ্রীয়ভাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও বন্ধ নেই দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিজ নিজ এলাকায় আগাম প্রস্তুতি কার্যক্রম। দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ বলেছেন, বিএনপি সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এ দল কখনোই নির্বাচনের বিরুদ্ধে নয়। তবে বিএনপি এবার সেই নির্বাচনে যেতে চায়, যে নির্বাচনে জনগণ তাদের নিজের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে পারবে। এ জন্যই নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলন করছি।

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করে আসছে প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে। কিন্তু সেই আন্দোলন চূড়ান্ত কোনো পরিণতি পায়নি। এই এক দশকের আন্দোলনের নিকাশ করতে গেলে ব্যালেন্সশিট মিলবে না মোটেও। কেননা, এ আন্দোলন থেকে বিএনপি অর্জন করতে পারেনি কিছুই। যদিও সরকারের নমনীয় অবস্থানের কারণে গত বছরের শেষ ভাগ থেকে বিএনপির সমাবেশগুলোতে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মীর উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সঙ্গত কারণেই সমাবেশে বিপুলসংখ্যক মানুষের উপস্থিতি দলটিকে অধিকতর আস্থাশীল করে তুলেছে এক দফার আন্দোলনে প্রবৃত্ত হওয়ার ক্ষেত্রে। ইতোমধ্যে দলটি ঘোষণা দিয়েছে চলতি জুলাই মাসেই তারা সমমনা দলগুলোকে নিয়ে এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু করবে। তবে শরিক দলগুলোর সঙ্গে এখনো পুরোপুরি সমঝোতা হয়নি এমন কথা প্রচারিত আছে।

এদিকে একটি রাজনৈতিক দলের মূল শক্তি যে তৃণমূল সংগঠন, বিএনপিতে সেখানে এখনো বিরাজ করছে অগোছালো অবস্থা। প্রায় প্রতিটি জেলায় নেতৃত্বের কোন্দল প্রায় প্রকাশ্য। এমন কোনো জেলা-উপজেলা নেই যেখানে দুই বা ততধিক গ্রুপ পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধংদেহী মনোভাব নিয়ে দাঁড়িয়ে নেই। এরই মধ্যে আবার কোনো কোনো সংসদীয় আসনে আনঅফিশিয়ালি আগামী নির্বাচনের প্রার্থী মনোনয়ন ঘোষণা করা হয়েছে। মনোনীতদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট আসনের বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কমিটি গঠনের। ফলে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। তেমনি একটি আসন চাঁদপুর-৪ (কচুয়া)। সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. এহছানুল হক মিলন এ আসন থেকে দুবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেই আসনে হঠাৎ করে ২০১৮ সালে তাকে বাদ দিয়ে একজন আদম ব্যবসায়ীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়; যিনি নির্বাচনের সময় এলাকায় পা রাখার সাহস করেননি। এবারও নাকি তাকে ওপর থেকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। আর তার পথ নিষ্কণ্টক করতে মিলনকে পদাবনতিসহ নানাভাবে অপদস্থ করা হয়েছে। অথচ ওই আসনে এহছানুল হক মিলন এখনো বিপুল জনপ্রিয় একটি নাম। একই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে। সেখানে একজন বিতর্কিত ব্যবসায়ীকে নাকি মনোনয়নের আশ্বাসসহ এলাকা গোছানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজের মনের মতো করে এলাকা গোছাতে গিয়ে দলের সাংগঠনিক শক্তি প্রায় ঘুচিয়ে ফেলতে বসেছেন। ফলে এলাকার নিবেদিতপ্রাণ বিএনপি নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ। যে কোনো সময় ঘটতে পারে বিস্ফোরণ।

এক সময় দলটির কেন্দ্রীয় দফতরে কাজ করার সুবাদে সারা দেশেই নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক হয়েছিল আমার। এখনো অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ আছে। তাদের কাছ থেকেই নানা ধরনের খবর পাই। গাইবান্ধা, রংপুর, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, নওগাঁ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, বাগেরহাট সবখানেই একই পরিস্থিতি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, কেন্দ্রীয় নেতারা আন্দোলনের কথা বললেও তৃণমূল নেতারা আন্দোলনের চেয়ে নির্বাচনের ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে আগ্রহী। আন্দোলনের নামে একত্র করার চেষ্টা হলেও নির্বাচন প্রশ্নে দ্বিধা বা ত্রিধা বিভক্ত হয়ে পড়ছে দলটি।

এ অবস্থা বিদ্যমান রেখে বিএনপি তাদের লক্ষ্যে কতটা এগিয়ে যেতে পারবে তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করা অসমীচীন নয়। আর সে জন্যই মানুষ বলাবলি করছে, নির্বাচন তো দেখা যাচ্ছে, কিন্তু বিএনপি সেখানে সাফল্যের সঙ্গে পৌঁছতে পারবে তো?

লেখক : সাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর