বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

সমস্যার নগরী ঢাকা

দায়িত্বশীলদের দিবানিদ্রা ভাঙুক

দেড় কোটি মানুষের মহানগরী ঢাকা এখন দুনিয়ার অন্যতম মেগাসিটি। এ পরিচিতি কলঙ্কিত হচ্ছে একের পর এক সংকট আর সমস্যার কবলে পড়ে। ঘর থেকে বের হয়ে গণপরিবহনে উঠতে গিয়ে নগরবাসীকে পড়তে হয় ভোগান্তির মুখে। একদিকে সংকট অন্যদিকে কে কার আগে যাবে গণপরিবহনে এমন প্রতিযোগিতা প্রতিদিনই অহরহ চোখে পড়ছে। রাস্তায় বের হলে বায়ু আর শব্দদূষণে বিপর্যস্ত হওয়া আর ঘরে ফিরলে পানি বা গ্যাস সংকটে নাকাল হতে হয়। অপরিকল্পিত খোঁড়াখুঁড়ি ও জলাবদ্ধতায় নাকাল রাজধানীবাসী বছরের পর বছর ধরে। বর্তমানে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত এডিসবাহিত ডেঙ্গু মশার কারণে। নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই ঘটছে প্রাণহানি। এ নিয়ে সরকার ও সিটি করপোরেশন নানা উদ্যোগ নিলেও কোনো সুফল মিলছে না। একের পর এক সংকটে নাকাল ঢাকার বাসিন্দারা। সরকার ও বিভিন্ন সংস্থা থেকে সমস্যা নিরসনে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তার সুফল মিলছে না। দিনকে দিন নতুন নতুন জটিলতায় নগরজীবনের সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। ঢাকা মহানগরীর গণপরিবহনে শৃঙ্খলা আনতে বাস রুট রেশনালাইজেশনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল পাঁচ বছর আগে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে যে কমিটি করা হয়েছে তারা শুধু সভা করে চলছে। কিন্তু রুট মেনে বাস পরিচালনা ও কোম্পানি গঠনের কাজ সামান্যই এগিয়েছে। বৃষ্টি হলেই জলজট ভোগান্তিতে পড়তে হয় রাজধানীবাসীকে। হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমে যায় বেশ কিছু এলাকায়। রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে চলছে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। কোথাও বিদ্যুৎলাইন, আবার কোথাও স্যুয়ারেজ লাইন, কখনো ওয়াসার পানির লাইন সংস্কারে চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সড়কে সমন্বয়হীন খোঁড়াখুঁড়িতে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী। রাজধানীতে যেসব সমস্যা দানা বেঁধে উঠেছে তার পিছনে অনেকাংশে দায়ী কর্তাব্যক্তিদের দায়বোধের অভাব। ফলে ঢাকা পরিণত হচ্ছে অচল নগরীতে। যানজট, বায়ুদূষণ-শব্দদূষণ নগর জীবনের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনছে। এ ব্যাপারে দায়িত্বশীলদের দিবানিদ্রার অবসান চান নগরবাসী।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর