বুধবার, ১৯ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাড়ছে ডেঙ্গুর থাবা

হাসপাতালে ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই অবস্থা

বাংলাদেশ এখন ডেঙ্গুর অভয়ারণ্য। বিশ্বে এখন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হার আমাদের দেশেই সবচেয়ে বেশি। মশা নিধনে গাফিলতি এমন পরিণতি অনিবার্য করে তুলেছে। সোমবার দেশের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে আটজন। দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে এক দিনে মৃত্যুর হার এটিই সর্বোচ্চ। এ নিয়ে এ বছর সাড়ে ছয় মাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১৪। সোমবার দেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১ হাজার ৫৮৯ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৩ বছরের প্রথম সাড়ে ছয় মাসে এ বছরই সর্বাধিকসংখ্যক রোগীর মৃত্যু হয়েছে এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ বছর গত সোমবার পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২২ হাজার ৪৬৭ জন রোগী। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, ঢাকা শিশু হাসপাতাল ও মিটফোর্ড হাসপাতালে একটি শয্যাও খালি নেই। দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে সবচেয়ে বেশি ২৮১ জন রোগী মারা যায়। এর আগে ২০১৯ সালে মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের। ২০২০ সালে সাতজন এবং ২০২১ সালে ১০৫ জন মারা যায়। গত বছর জুলাইয়ে এ সময় পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের, ২০২১ সালে ১২ জন, ২০২০ সালে কারও মৃত্যু হয়নি, ২০১৯ সালে মৃত্যু হয় ৩৫ জনের। ২০১৩ সাল থেকে গত ১১ বছরে জানুয়ারি থেকে মধ্য জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এ বছর সবচেয়ে বেশি ২২ হাজার ৪৬৭। এর আগে ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি ১৮ হাজার ৪৬১ রোগী আক্রান্ত হয়। ডেঙ্গু রাজধানীসহ সারা দেশের জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মৌসুমি জ্বরে কেউ আক্রান্ত হলেও ডেঙ্গুর ভয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ব্যয় করতে বাধ্য হচ্ছে। ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা এবং এ জন্য অভিভাবকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। ডেঙ্গু ঢাকা থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লেও এটি এখনো পর্যন্ত নগরকেন্দ্রিক রোগ। বড় বড় নগর এবং শহরে ডেঙ্গুর থাবা বিস্তার লাভ করেছে মশা নিধনে গাফিলতির সুযোগে। এডিসের আগ্রাসন থেকে রক্ষা পেতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বড় নগরগুলোতে জোরেশোরে মশা নিধন অভিযান চালাতে হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর